করোনা পরিস্থিতিতে পর্তুগালে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বৈধতা
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পর্তুগালের সকল রাষ্ট্রীয় সেবা নিশ্চিত করে বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে অভিবাসন প্রত্যাশীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পর্তুগালের অভিবাসন অধিদফতরে (এসইএফ) যাদের বৈধ হওয়ার আবেদন করা ছিল শুধু তারা এ সুযোগের আওতায় পড়বেন বলে জানা যায়।
শুক্রবার (২৭মার্চ ২০২০) রাতে একটি আদেশে এমনটি জানিয়েছেন পর্তুগালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডুয়ার্ডো ক্যাব্রিতা। তিনি বলেন- ‘করোনা সংকটের সময় এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
২৭ মার্চ পর্যন্ত যাদের আবেদন করা আছে তাদের রেসিডেন্স কার্ড প্রদানের জন্য ১ জুলাই থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।
আদেশে জানানো হয়, পর্তুগালের অভিবাসন অধিদফতরে আবেদনের কাগজটি এখন থেকে অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট হিসেবে গণ্য হবে। এই প্রমাণ বা আবেদনের কাগজ দিয়ে আবেদনকারীরা এখন থেকে পর্তুগালের সকল রাষ্ট্রীয় সেবা নিতে পারবেন বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা। পর্তুগালে যারা রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ধরনের আশ্রয়ে আছেন তারাও এই আদেশের আওতায় পড়বেন।
দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে যে, সকল অভিবাসী যাদের অভিবাসন অধিদফতরে আবেদন অপেক্ষমাণ রয়েছে তারা এখন থেকে নিয়মিত বলে বিবেচিত হবেন এবং অন্যান্য নাগরিকের মতো সামাজিক অধিকারসহ সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই আদেশটি কার্যকর হবে ২৮ মার্চ থেকে, যেদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পর্তুগালে জরুরি আইন জারি করা হয়।
এর আওতায় এখন থেকে আবেদনকারীরা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার অধিকার, সামাজিক সহায়তা সুবিধা, ইজারা চুক্তিতে স্বাক্ষর, কর্মসংস্থান চুক্তি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা চুক্তিসহ সকল নাগরিক সুবিধা পেতে অস্থায়ী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস সারাবিশ্বের ন্যায় পর্তুগালেও ছড়িয়ে পড়লে ২০টি অভিবাসী সংগঠনের দাবি ছিল, যারা পর্তুগালে বৈধভাবে কাজ করছেন এবং সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখছেন তাদের বৈধতা দেয়া দরকার। তাদের দাবিতে সাড়া দিয়েছে সরকার।
সংগৃহীত