কাজী শাহেদ বিন জাফর-এর কবিতা “বরাক নদীর উদ্ভোধন”
বরাক নদীর উদ্ভোধন
কাজী শাহেদ বিন জাফর
কোন সে মহৎ বিঁধল নজর
তব দেহে মন জুড়ে,
ওঠল মেতে তীর বাসী তোর
মনের মাঝে মন পুরে।
উতল হিয়ায় এতোই মোহে
এলোই মম আঙ্গিনায়,
ডাকলো কে বোন বরাক নামে
বলশুনিরে কে আমায়।
বনো আঁচল সবুজ শাড়ি
জারুল ফুলেই ভাসছে রে,
ফুল গুলো দেখ স্বীয় সাজে
দখিন হাওয়া দোলছে রে।
ফুটবে হাসি চাষির মুখে
ভরবে ফসল মাঠ খানা,
নবীন সাজে সাজবে নদী
হয় খুশিতে আটখানা।
কেনই আজি এতোই খুশি
তা’ও কী তুমি জানোই বোন,
নব-সাজে রাঙিয়ে তোমায়
করবো আজি উদ্ভোদন।
দেখ পাবসস তব গাঁয়
উঝার করে মনে বিলে,
তোর পিরিতে জায়িকারাই
আমার সাথেই হাত মিলে।
ভীড় করেছে বন শালিকে
তব স্নেহের উদ্ভাসে,
ফিরেই যখন পাবে যৌবন
সোহাগ দিও উদ্ভাসে।
দেখনা চেয়ে আমবাগে ঐ
হাসছে মুকুল ঝলমলে,
জলের ভেতর গায়ের ছবি
ঢেউয়ের তালে খলখলে।
ঝিঁঝিঁরা ও নতুন সাজে
তর মোহনায় বাজায় বীণ,
লক্ষী মেয়ে যাদের ঘরে
তাঁরাই সুখে কাটছে দিন।
অবুঝ যাঁরা তদের মাঝে
তাঁরাই হয়ত বুঝবে না ,
ভালো যদি মা থাকো বোন
তয় ভালো কেউ বাসবে না।
মা মানে হয় শিশু লালন
বুক জড়ানো মায়ের কোল,
বোনকে যত সোহাগ দানো
মায়ের মুখে হাসির রোল।
ভাবছ কী যে ম-ম লেখায়
রহস্য কী তা’ বুঝলে না,
নদী হলোই বোনের মতো
মায়ের মতোই দেশটা না।