রামাদানে প্রতিদিন: দিন ১
রামাদান মাস কোরআন নাজিলের মাস, সুতরাং আমাদের উচিত হবে কোরআনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্বি করা , স্টাডি করা , তেলায়াত করার চেষ্টা করা। কম করে হলে ও প্রতিদিন একটি আয়াত মুখস্ত করা, একটি হাদিস পড়া ও একটি দোয়া শিক্ষা করা।
কোরআন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যাতে তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার“।
(সুরা ২ আয়াতঃ ১৮৩)
হাদিস
হজরত সালমান ফারসি (রা) হতে ৰর্ণিত তিনি বলেন, একদা সাবান মাসের শেষ দিনে রসুল (স) আমাদের উদ্দেশে্ একটি ভাষন দিলেন, হুজুর (স) বল্লেন, হে মানব মন্ডলী তোমাদেরউপরে ছায়া বিস্তার করছে একটি মহান মুবারক মাস, এ মাসে একটি রাত আছে যেটা হাজারমাসের চেয়েও উত্তম । এ মাসের রোযাকে আল্লাহ ফরয করেছে আর রাত জেগে নামাজ পড়াকেকরেছে নফল ।যে ব্যাক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এ মাসে একটি নফল কাজ করবে সেঐ ব্যাক্তির সমতুল্য হবে যে অন্য মাসে একটি ফরজ কাজি করল। আর যে এই মাসে একটিফরজ কাজ করবে সে ঐ ব্যাক্তির সমতুল্য হবে যে অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ কাজ করল ।এটাহল সবরের মাস আর সবরের প্রতিদান হল জান্নাত। এটা হল পরস্পরের সহানুভুতি প্রদশ`নেরমাস ।এটা হল সেই মাস যে মাসে মুমিনের রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মাসে কেউ যদি কোনরেজারারকে ইফতার করায়, তা হলে তার গুনাহ মাফ করা হবে এবং তাকে জাহান্নাম থেকেবাচান হবে আর রোজাদার ব্যাক্তির ন্যায় তাকে সওয়াব দেওয়া হবে আর একারনে রোযাদারব্যাক্তির সওয়াব হতে কিছু কমানো হবেনা।(দাওয়াতুল কবির, বায়হাকি)
দোয়া
ইফতারের দোয়া :
اللهم صمت لك بك وآمنت علي رزقك وأفطرت
“হে আল্লাহ আমি কেবলমাত্র তুমার জন্যই রোযা রেখেছি এবং কেবলমাত্র তুমার প্রদত্ব রিজিকদিয়েই ইফতার করছি।
(আবু দাউদ )
মখলিছুর রহমান
লন্ডন