সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে আগ্রহী: রাষ্ট্রদূত
মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি :
সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
বুধবার (৩ নভেম্বর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, রাষ্ট্রদূত হাইলের গভর্নর প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সাদের সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান। রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। মরুভূমির জন্য উপযোগী ও সহনশীল বৃক্ষের চারা সরবরাহ করার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
হাইলের গভর্নর সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ ও মরুভূমিতে বিলুপ্ত বৃক্ষগুলো পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ গবেষণার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে সৌদি আরবের সঙ্গে কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে দুদেশ সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে বলে জানান গভর্নর। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণারও প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়া হাইল গভর্নর বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যৌথ গবেষণার প্রস্তাব দেন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে দু-দেশ উপকৃত হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত দেশটির হাইল প্রদেশের জেলখানায় বিভিন্ন কারণে বন্দি বাংলাদেশি অভিবাসীদের মুক্তির ব্যাপারে গভর্নরের সহযোগিতা কামনা করেন। হাইলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সুন্দরবন, কক্সবাজার ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে দু-দেশের মধ্যে পর্যটক বাড়ানোর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দুই দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত করোনা আক্রান্ত অভিবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ায় সৌদি সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।দূতাবাস জানায়, এর আগে রাষ্ট্রদূত হাইলের পুলিশ প্রধান মেজর জেনারেল ড. কিতাব আল ওতাইবির সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় হাইলের পুলিশ প্রধান অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত নারী গৃহকর্মীসহ বাংলাদেশি অভিবাসীদের যেকোনো জরুরি সমস্যা সমাধানে পুলিশ প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেন। হাইলের পুলিশ প্রধান এ সময় বাংলাদেশিদের ভাই সম্বোধন করে যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।