৫ লন্ডন প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, দুইজনের মৃত্যু
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
সিলেটের ওসমানীনগরে একই পরিবারের ৫ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ৩ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর বাজারের মঙ্গলচন্ডি রোডের একটি বাসায় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। মৃত দুজন হলেন- রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার পূত্র মাহিকুল ইসলাম (১৬)।
অন্যদিকে অসুস্থ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), তার পূত্র সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও কন্যা সামিরা ইসলাম (২০)। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।
এঘটনায় নিহত রফিক মিয়ার শশুর আনফর আলী, শাশুড়ী বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শোভা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছেন দিরারাই গ্রামের রফিকুল ইসলাম। অসুস্থ ছেলে সাদিকুল ইসলামকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য গত ১২ জুলাই স্বপরিবারে দেশে ফিরে এক সপ্তাহ ঢাকায় থাকেন। চিকিৎসা শেষে গত ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুর মঙ্গলচন্ডী বাজার রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন। সোমবার রাতের খাবার শেষে প্রবাসী রফিক মিয়া তার স্ত্রী সন্তানসহ একটি কক্ষে এবং রফিকুল ইসলামের শত্রুর-শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও মেয়ে অন্যান্য কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে ডাকাডাকি করে প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রীরা ঘরের দরজা না খোলায় ৯৯৯ নম্বরে কল করেন অন্যরুমে অবস্থানরত তার স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকেটার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম, ছেলে নাইকুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম ও মেয়ে সামিয়া ইসলামকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থা বাকি তিনজনকে আইসিইউতে প্রেরণ করে।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, এ রিপোর্ট লেখার সময়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর দুটি টিম।