জামাল উদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন
মখলিছুর রহমান:
সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের তালবাড়ি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারের কৃতি সন্তান জামাল উদ্দিন চৌধুরী সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
তিনি ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে জয়েন করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩৩ বৎসর যাবৎ তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হিউম্যান ডিপার্টমেন্ট-১ এর এক আদেশে তিনি যুগ্ন পরিচালক থেকে অতিরিক্ত পরিচালক হলেন এবং তাঁকে এ পদোন্নতি দিয়ে সিলেট অফিসে বহাল রাখা হয়।
জামাল উদ্দিন চৌধুরী একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৮২ সালে বিয়ানীবাজার উপজেলার টিকরপাড়াস্থ ঢাকা উত্তর মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসি করেন। পরে তিনি সিলেট এম, সি কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এইচএসসি এবং ১৯৮৮ সালে বিএসসি করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে তিনি চাকরির পাশাপাশি শত ব্যস্ততার মাঝেও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লাব সিলেটের সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাঙ্গণ মসজিদের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি সিলেট শহরে অবস্থিত কানাইঘাট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর বর্তমান সেক্রেটারি এবং চৌধুরী ফ্যামিলি এসোসিয়েশন তালবাড়ি এর সম্মানিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ি গ্রামে। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মরহুম রেদওয়ান করিম চৌধুরী এবং মা আতিকা খানম চৌধুরী। পাঁচ ভাই ও চার বোনের মধ্যে সকলের বড় জামাল উদ্দিন চৌধুরী। সকলেই দেশে বিদেশে প্রতিষ্টিত। তিন বোন এবং এক ভাই ইউকেতে, এক বোন আমেরিকাতে, এক ভাই অস্ট্রেলিয়াতে এবং দুই ভাই দেশে যাদের একজন বিজনেসম্যান এবং অন্যজন পেশায় আইনজীবী।
তাঁর দাদা ছিলেন তালবাড়ি পুরান বাড়ির মরহুম আব্দুল হামিদ চৌধুরী। যিনি এলাকার একজন সম্মানিত সালিশি বেক্তিত্ব ছিলেন আর উনার নানা হলেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন প্রাক্তন ঢাকা আলিয়া ও সিলেট আলিয়া মাদ্রসার সুপারিনটেনডেন্ট এবং অবসরকালীন সময়ে গাছবাড়ী জামিউল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক কানাইঘাটের নারাইনপুর গ্রামের মরহুম মাওলানা ফজলে হক ফাজিল সাহেব।
ব্যক্তিগত জীবনে জামাল উদ্দিন চৌধুরী বিবাহিত এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর সহধর্মিণী শেখ মোসাম্মাৎ হাসিনা বেগম একজন শিক্ষিকা এবং সিলেট জেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভানেত্রী। বড় মেয়ে মাহজাবিন জমজম চৌধুরী চতুর্থ বর্ষে ডাক্তারি পড়ছে সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজে এবং ছোট মেয়ে শাহজাবিন জমজম চৌধুরী এইচএসসি ফলপ্রার্থী।
এদিকে বড় ভাইয়ের এই সাফল্যে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাসরত ছোটভাই সমাজকর্মী জসিম উদ্দিন চৌধুরী শাহীন গত রবিবার (৫ নভেম্বর ২০২৩) পূর্বলন্ডনস্থ একটি টার্কিশ রেস্টুরেন্টে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। এই নৈশভোজ আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কানাইঘাট এসোসিয়েশন ইউকের এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ফারুক আহমেদ চৌধুরী। তিনি জামাল উদ্দিন চৌধুরীর চাচাত ভাই। উক্ত নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট এসোসিয়েশন ইউকের সহ সভাপতি সাদেকুল আমিন, মখলিছুর রহমান এবং কানাইঘাট এসোসিয়েশন ইউকের বর্তমান সেক্রেটারি জাকারিয়া সিদ্দিকী।
উপস্থিত সকলে জামাল উদ্দিন চৌধুরীকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান। একই সাথে, সবাই প্রত্যাশা করেন তিনি যেন তাঁর ক্যারিয়ারে আরও এগিয়ে যান। সেই সাথে সবাই তাঁর পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনা করেন।
নৈশভোজ শেষে, আমন্ত্রিত অতিথিরা জসিম উদ্দিন চৌধুরী এবং ফারুক আহমেদ চৌধুরীকে সুন্দর এই আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।