প্রচ্ছদ

করোনা নিয়ে ডা. এজাজের কিছু কথা

  |  ১৪:৪৬, মে ০৭, ২০২০
www.adarshabarta.com

বিশেষ প্রতিনিধি, আদর্শবার্তা :

করোনার প্রধান লক্ষণগুলো অনেকেই বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দেখেছেন। এমন উপসর্গ দিলে যেসব জায়গায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে সেখানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তারা যদি উপসর্গ দেখে মনে করে পরীক্ষা করা দরকার তাহলে করবে। আর যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি মঙ্গল। এখন তো পরীক্ষা করা সহজ হয়ে গেছে, জেলা পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই কঠিন উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করাতে হবে।

এমনই পরামর্শ দিলেন অভিনেতা ও চিকিৎসক এজাজুল হক এজাজ। ১৯৮৪ সালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপরে পিজি (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ডিএনএম (পোস্ট গ্রাজুয়েশন-ডিপ্লোমা ইন নিউক্লিয়ার মেডিসিন) করেছেন। এর আগে দেশের নানা জায়গায় চিকিৎসক হিসেবে চাকরি করেছেন। সর্বশেষ এজাজুল ইসলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। গত জানুয়ারি থেকে তিনি অবসরে রয়েছেন।

অভিনেতা এজাজ বলেন, ‘আমাদের দেশের যা অবস্থা তাতে করে আমাদের সতর্ক না হয়ে উপায় নেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে কেন যে পারি না, আমরা নিজের চোখে বিপদ না দেখলে সতর্ক হতে চাই না। এখন দেশের যে অবস্থা এখন সতর্ক না হলে আমরা ভয়াবহ খারাপ অবস্থার দিকে যাবো। আমরা পালিয়ে বাঁচতে চাইছি। আমরা ইতালি, ফ্রান্স থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে বাঁচতে চাইছি, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা থেকে পালিয়ে গ্রামে গিয়ে বাঁচতে চাইছি। এটা আসলে বাঁচা নয়, আপনি নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। একইসাথে আপনার আশেপাশের মানুষেরাও মৃত্যুর দিকে চলে আসছে আপনার কারণে। এটাকে বাঁচা বলে না, নিজেই নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। নিজের জায়গা থেকে বাঁচুন।’

জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, ‘যারা বিদেশ থেকে এসেছে শুধু তাদের দোষ দিলেই হবে না। ওইসব দেশেরও দোষ দিতে হবে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কেন তারা ছাড়লো। দেশে এসে তারা যেভাভে ঘুরে বেড়ালো, তারা এর ভয়াবহতা বোঝেনি। কারণ ইনকিবিউশন পিরিয়ড পার না হলে বোঝা সম্ভব না কার শরীরে ভাইরাস আছে, আর কার শরীরে ভাইরাস নেই। এখন তো দেখতে পাচ্ছেন কী অবস্থা। যাই হোক, এখনো মানুষ পুরোপুরি সতর্ক হলে হয়তো আমরা ধকল সামলে উঠতে পারবো।’

সাধ্যারণ রোগীদের পরামর্শ দিয়ে এজাজ বলেন, করোনার প্রধান লক্ষণগুলো অনেকেই বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দেখেছেন। এমন গলাব্যাথা, গলায় কিছু আটকে থাকা, জ্বরসহ এমন উপসর্গ সিরিয়াস পর্যায়ে দেখা দিলে যেসব জায়গায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে সেখানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তারা যদি উপসর্গ দেখে মনে করে পরীক্ষা করা দরকার তাহলে করবে। আর যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি মঙ্গল।