প্রচ্ছদ

৯৮ আরোহী নিয়ে পাকিস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

  |  ১৪:৩৮, মে ২২, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একটি উড়োজাহাজ ৯৮জন আরোহী নিয়ে করাচির আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

পিআইএর মুখপাত্র আবদুল সাত্তারের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, লাহোর থেকে ছেড়ে আসা এয়ারবাস এ-৩২০ উড়োজাহাজটি করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার সময় কাছের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, ওই ফ্লাইটে ৯০ জন যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু ছিলেন।

দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে বলে পাকিস্তান আইএসপিআরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, ওই আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে কালো ধোঁয়া উড়ছে। ঘটনাস্থলে ছুটে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফ্লাইট-এ৩২০ অবতরণ করার সময় মডেল কলোনি আবাসিক এলাকার কাছে বিধ্বস্ত হয়। ছবিতে ওই কলোনিতে ধ্বংস্তুপ দেখতে পাওয়া গেছে।

বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, উড়োজাহাজটি অবতরণের ঠিক আগে দিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চাকা খুলতে পারছিল না।

পাইলট ট্রাফ্রিক কন্ট্রোল রুমে যান্ত্রিক ওই ত্রুটির কথা জানিয়েছিলেন বলে জানান পিআইএ’র প্রধান নির্বাহী এয়ার ভাইস মার্শাল এরশাদ মালিক।

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনার এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের এই উড়োজাহাজটিই শুক্রবার করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। ছবিটি তোলা হয়েছিল ২০১৮ সালের ২মে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান (ফাইল ছবি)
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনার এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের এই উড়োজাহাজটিই শুক্রবার করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। ছবিটি তোলা হয়েছিল ২০১৮ সালের ২মে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান (ফাইল ছবি)

তবে এ ত্রুটির কারণ কি এবং কেন বিমানটি বিধ্বস্ত হল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাকিস্তানে বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই এ দুর্ঘটনা ঘটল।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের জরুরি একটি উদ্ধারকর্মী দলসহ আধাসামরিক সেনারাও ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে।

এর আগেও পাকিস্তানে এমন অনেক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সালে ইসলামাবাদে প্রাইভেট এয়ারলাইন এয়ারব্লু দুর্ঘটনায় বিমানের ১৫২ যাত্রীর সবাই নিহত হয়।

পাকিস্তানের ইতিহাসে সেটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এরপর ২০১২ সালে রাওয়ালপিণ্ডিতে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে বোয়িং ৭৩৭-২০০ দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজটির ১২১ জন যাত্রী ও ৬ ক্রুর সবাই নিহত হয়।

২০১৬ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ইসলামাবাদে যাওয়ার পথে তাতে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে নিহত হয় ৪৭ জন।

সুত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম