না ফেরার দেশে বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল মোনেম
হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজ :
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও মোনেম গ্রপের চেয়ারম্যান আব্দুল মোনেম। গত ৩১ মে রবিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। এর আগে, ১৭ মে স্ট্রোক করলে আব্দুল মোনেমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন আবদুল মোনেম লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইগলু আইসক্রিম, ফুড অ্যান্ড ডেইরির গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে আবদুল মোনেমের মৃত্যু হয়। তিনি কিডনির রোগেও ভুগছিলেন। কামরুল হাসান আরও বলেন, আবদুল মোনেমের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আবদুল মোনেমের দুই ছেলে এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম ও এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৯৫৬ সালে আবদুল মোনেম নিজের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৫৭ সালে এএমএল কন্সট্রাকশন দিয়ে যাত্রা শুরু করে।
১৯৮২ সালে আইসক্রিম ইউনিট, ১৯৮২ সালে বেভারেজ ইউনিট, ২০০০ সালে ম্যাংগো পাল্প প্রসেসিং, ২০০৪ সালে ইগলু ফুডস, ড্যানিস বাংলা ইমালসন, সিকিউরিটি ও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইগলু ডেইরি প্রোডাক্টস লিমিটেড, ২০০৭ সালে সুগার রিফাইনারি লিমিটেড ও এম এনার্জি লিমিটেড, ২০০৮ সালে নোভাস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ২০১০ সালে এএম আসফাল্ট অ্যান্ড রেডিমিক্স লিমিটেড, ২০১২ সালে এএম অটো ব্রিকস লিমিটেড, ২০১৪ সালে এএম ব্র্যান অয়েল কোম্পানি এবং ২০১৫ সালে আব্দুল মোনেম ইকোনমিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রপের পরিণত হয়েছে।
পদ্মসেতু সংযোগ সড়কসহ দেশের মহাসড়ক প্রায় সবই তার প্রতিষ্ঠান এএমএল-এর তৈরি। এএম বেভারেজ ইউনিটের অধীনে এএমএল কোকাকোলা ব্র্যান্ডের কোকাকোলা, ফ্যান্টা ও স্প্রাইট বোতলজাত করে আসছে।
জানা গেছে, আব্দুল মোনেমের জানাজা ও দাফন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ গ্রাম বিজেশ^রে সম্পন্ন হবে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শিল্পপতি আব্দুল মোনেমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে আব্দুল মোনেমের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। প্রার্থনা করছি, যাতে তার পরিবার এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারে।