অশান্ত যুক্তরাষ্ট্র, হোয়াইট হাউসের সামনে রণক্ষেত্র, চার্চে আগুন
মোঃ নাসির (নিউ জার্সি) আমেরিকা থেকে :
পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে হত্যার প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ যেন থামছেই না। হোয়াইট হাউসের সামনে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার রাতে বিক্ষোভের একপর্যায়ে হোয়াইট হাউসের কাছেই অবস্থিত ঐতিহাসিক সেন্ট জনস চার্চে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিরলাফায়েট স্কয়ার থেকে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী মিছিল নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হন। সন্ধ্যা নামার পর তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা আমেরিকান পতাকা ও বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় তাদের থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় হোয়াইট হাউস এলাকা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হোয়াইট হাউজের পাশেই ঐতিহাসিক সেন্ট জনস চার্চে কয়েক দফা আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনের অফিসে হামলা করেন। অফিসের জানালা-দরজার কাচ ভেঙে ফেলা হয় এবং ভেতরের লবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া, ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে, অন্তত চল্লিশটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারফিউ ভঙ্গ করা হয়েছে যা ব্যাপক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলপিয়া ও লস এঞ্জেলসে দাঙ্গা পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল ও মরিচের গুড়ো নিক্ষেপ করেছে। ন্যাশনাল গার্ড রোববার বলছে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীরা আবারো জমায়েত হয়ে পুলিশের প্রতি মারমুখী আচরণ করেছে।