দেশী বিদেশী সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে সিলেট লেখক ফোরামের বৃক্ষরোপণ
সিলেট :
সিলেট লেখক ফোরামের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এবারের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পরিণত হয় দেশী বিদেশী লেখক সাংবাদিকদের মিলনমেলায়। বুধবার (১৯ জুন ২০১৯) ফোরামের উদ্যোগে সিলেট জেলার বিশ্বনাথের রামপুরস্থ ইসহাক একাডেমী মাঠে বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরাম সভাপতি গীতিকার কবি নাজমুল ইসলাম মকবুলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাপানের খ্যাতিমান লেখক সাংবাদিক, বিবেকবার্তা সম্পাদক, জাপান বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক পি.আর. প্ল্যাসিড।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী। আলোচনা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রবীণ সাংবাদিক কলামিষ্ঠ বৃক্ষপ্রেমিক আফতাব চৌধুরী এবং ফ্রান্স বাংলা প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেখক কলামিস্ট দেলওয়ার হোসেন সেলিম।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন লন্ডন টাইমস নিউজের ডাইরেক্টর এবং হোয়াইটহার্ট গ্রুপের চেয়ারপার্সন ছাদেক আহমদ।
কাওছার আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসহাক একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মোজাহিদ, রামসুন্দর সরকারী অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজমুল ইসলাম, ইসহাক একাডেমীর প্রিন্সিপাল ইলিয়াছ আলী, সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী আমির আহমদ, সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী ও মানবাধিকার কর্মী কাজী শাহেদ। ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সুমাইয়া। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্বারী রোহেল আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পি.আর. প্ল্যাসিড বলেন, সিলেট লেখক ফোরামের উদ্যোগে সুনামগঞ্জের সীমান্তহাট এবং সুনামগঞ্জের হাসন রাজা মিউজিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় বৃক্ষরোপন কার্যক্রম। দেশ বিদেশের কবি সাহিত্যিত পেশাজীবি ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সেই অনুষ্ঠানগুলি আমি উদ্বোধন করেছিলাম। এরপর থেকে সিলেট বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিলেট লেখক ফোরামের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। যা আমরা সুদুর জাপান থেকেও মিডিয়ার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করছি। এই কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে হবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী বলেন, সিলেট লেখক ফোরামের ব্যতিক্রমী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তারা সব সময় প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছেন। বৃক্ষরোপন কার্যক্রম তারই একটি অংশ। সুদুর ঢাকা থেকে এসে আমরা এতে অংশ নিতে পেরে গর্ববোধ করছি।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাংবাদিক কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী বলেন, আমি লেখক ফোরাম নেতৃবৃন্দের সাথে সকল ভালো কাজে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকতে চাই। পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে আমাদের আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে ফলের চাহিদা পূরণের জন্য বেশি করে ফলজ গাছ লাগাতে হবে এবং এর পরিচর্যা করতে হবে।
ফ্রান্স বাংলা প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলওয়ার হোসেন সেলিম বলেন, দেশকে সবুজায়নের মাধ্যমেই পরিবেশের উন্নতি সম্ভব। দিন দিন উষ্ঞতা বাড়ছে সারা বিশ্বে আশাংকাজনকভাবে। তাই ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে আমাদের পরিবেশকে আমরাই রক্ষা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল বলেন, দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে ফলজ গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে। প্রশাসনিক নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সামাজিক বনায়নের নামে বিভিন্ন ক্লাব বা সমিতি সরকারী জায়গা লিজ নিয়ে রোডের উভয়পার্শ্বে নিজের স্বার্থে শুধুমাত্র বনজ গাছ রোপন করছে। আমরা কয়েকমাস পূর্বে সিলেটের জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি প্রদান করলেও কোন ব্যবস্থা আজও চোখে পড়েনি। এটা দুঃখজনক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফলজ বনজ ও ঔষধীসহ সব ধরনের বৃক্ষরোপনের দিকে সকলের নজর দিতে হবে আরও বেশি করে। বিষাক্ত ধরনের গাছকে বর্জন করতে হবে।