জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত: আইনজীবী
হাকিকুল ইসলাম খোকন / মোঃ নাসির, বাপসনিউজ, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি :
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলছেন ফ্লয়েড পরিবারের এক আইনজীবী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনের বিরুদ্ধে থার্ড ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ফ্লয়েডের আইনজীবী বেনজামিন ক্রাম্প সিবিএস নিউজকে বলেন, এটি ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার ঘটনা।বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বেনজামিন ক্রাম্প বলেন, ‘আমরা মনে করি যে তাঁর হত্যার উদ্দেশ্য ছিল। প্রায় ৯ মিনিট তিনি একজন মানুষের ঘাঁড়ে হাঁটু চেপে রেখেছিলেন। মানুষটা দম নিতে পারছির না, প্রাণভিক্ষা চাইছিল।’
গত ২৫ মে সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেপোলিস শহরে ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরেন। এ সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন, ‘দয়া করুন, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, আমাকে মারবেন না।’ এক পথচারী ওই সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায়।পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে শুরু করে নিউইয়র্কেও শুরুর দিকে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন। পরে আটলান্টায় সিএনএনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ও আমেরিকার জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সিএনএনের প্রধান কার্যালয়ের জানালা ও লোগো ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন ও ফিলাডেলফিয়ায। রোববার সেখানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গতকাল ফিলাডেলফিয়া টিভি স্টেশন থেকে পাওয়া দুটি ভিডিওতে দেখা যায়, যুবকেরা বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করছে এবং কমপক্ষে একটি দোকানের মালামাল লুট করছে। ফিলাডেলফিয়া ইনকোয়ারার বলেছেন যে পুলিশ গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এক টুইট বার্তায় ফিলাডেলফিয়ায় লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।