মার্কিন কোম্পানি মডার্নার করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় ধাপে
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :
মার্কিন কোম্পানি মডার্নার করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে জুলাইয়ে। এটিই এর শেষ ধাপ।
এতে সফল হলে তারাই বিশ্বে প্রথম করোনার টিকা বাজারজাত করবে। সে লক্ষ্যেই কোম্পানিটি ঝুঁকি নিয়ে ইতিমধ্যে টিকা উৎপাদন শুরু করেছে।
আরেক মার্কিন কোম্পানি ইলাই লিলি করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে।
চীনা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো তাদের করোনার টিকার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার ফল মিশ্র এলেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। খবর ল্যানসেটসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের।
এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজের পরিচালক ড. অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, মডার্নার করোনাভাইরাসের টিকার শেষ ধাপের পরীক্ষায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন। তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া আছেন কিছু বয়সী মানুষও। ডা. অ্যান্থনি ফাউসি জানান, এ পরীক্ষায় যদি তারা সফল হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ টিকা অনুমোদন দিতে পারে। পরে রোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে মডার্নার এ টিকা।
মডার্নার টিকার আপাতত নাম এমআরএনএ-১২৭৩। এটা গত সপ্তাহে ৬০০ স্বাস্থ্যবান রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে।
ডা. অ্যান্থনি বলেন, আমরা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। এ টিকা কাজ করবে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার আগেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছি। নভেম্বর বা ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা জানতে পারব এটা কার্যকর কতটা।
তিনি বলেন, আশা করি, সে নাগাদ আমরা ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করে ফেলতে পারব। ২০২১ সালের প্রথম দিকে আরও কয়েক কোটি ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আমরা যখন পরীক্ষা চালাচ্ছি, তখন এ উৎপাদনও চলছে। কোম্পানি এবং ফেডারেল সরকার এ ঝুঁকি নিচ্ছে।
অপর মার্কিন কোম্পানি ইলাই লিলির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ড্যান স্কোভ্রনস্কি বলেন, বিজ্ঞানীরা নতুন কিছু রোগের জন্য তৈরি করা ওষুধ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কাজ করে কিনা দেখার চেষ্টা করছিল।
কিন্তু এ মহামারী শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এ রোগের বিরুদ্ধে একটি নতুন ওষুধ তৈরির কাজ করতে শুরু করি। এখন আমরা প্রস্তুত এবং রোগীদের ওপর এটি পরীক্ষা করছি।
কানাডাভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাবসেলেরার সঙ্গে যৌথভাবে এ অ্যান্টিবডি থেরাপির উন্নয়ন ঘটায় ইলাই লিলি। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এ পদ্ধতি সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজারে ড্রাগটি ছাড়া হতে পারে।