প্রচ্ছদ

জীবনের কথা, পর্ব-২৮

  |  ১৫:২৫, জুন ২৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলেও আমাকে করা প্রশ্নের উত্তর এখনও পাইনি

:: মোঃ রহমত আলী ::

মানুষ যখন কোন কারণে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়ে তখন তার মধ্যে আর কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তখন অনেক সময় অন্যায় করে বসে, নতুবা অপ্রিয় সত্য কথা বলতে থাকে। এ সমস্ত কথা যদি রাষ্ট্রীয় কোন ব্যাপারে হয় তবে তা কখনও কখনও দেশের জনগণের বা সমাজের বক্তব্যের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। আর তা যদি সরকারের জন্য বিব্রতকর হয় তবে সংশ্লিস্ট ব্যক্তিকে হতে হয় সরকারের বিরাগভাজন নতুবা মামলার সম্মূখিন। তখন এটাকে হালকাভাবেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আবার আইন প্রয়োগ করেও এর ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এমতাবস্থায় যাদের উদ্দেশ্যে তা করা হয়ে থাকে তারা চুপ থাকেন নতুবা শুনেও না শোনার ভান করেন। এরকম কয়েকটি কথা আমাদের রাষ্ট্রীয় সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যেগুলি নিতান্ত অপ্রিয় হলেও বাস্তবে সমসাময়িক কালের জন্য তার কিছ‚ বাস্তবতা খুজে খুঁজে পাওয়া যায়। আর সময়ের পরিক্রমায় তার উত্তর একসময় বেরিয়ে আসে অবলীলায়। তখন আর আইন প্রয়োগ করার দরকার পড়ে না।

এ সমস্ত কথা গুলির মধ্যে আমার জানামতে যে কয়টি আছে সেগুলি হলো, “ধরা যাবেনা- ছোঁয়া যাবেনা বলা, যাবেনা কথা। রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এ কোন স্বাধীনতা”। “ভাত- দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাব”। আর আরেকটি হচ্ছে, ‘তিরিশ বছর পরেও কেন স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’।
সে যাই হোক, আমার যে কবিতাটা লিখেছিলাম, আমাদের জাতীয় জীবনের কয়েকটি প্রসঙ্গ নিয়ে। তার উত্তর কিন্তু আমি এখনো খুঁজে পাইনি। জাতীয় সমাজে এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমাদের পাওয়া জরুরী। নতুবা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের জন্য জবাবদিহি করতে হতে পারে। যতি তা না করা হয় তবে এটাই প্রমাণিত হবে যে, আমরা বলি এক এবং করি আরেক। আমরা ভাষার জন্য আন্দোলন করলাম। আমার ভাইয়েরা রক্তে দিল কিন্তু সেই ভাষার প্রতিফলন হলেও ইংরেজি তারিখে সে প্রতিফলনকে আঁকড়ে ধরে আছি।
এবারে এ বিষয়গুলি একটু বিস্থারিতভাবে তুলে ধরছি। এর সাথে সময়ের প্রেক্ষাপটে তাদের সে সমস্ত ছড়া, কাবতা বা গানের আবেদন বা প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গটিও আলোচনা করা হলো।

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা

এক সময় ছড়াকার আবু সালেহ ‘পল্টনের ছড়া’ বলে একটা বই ছাপিয়েছিলেন, তাতে রাজপথের ছড়া, বিক্ষোভের ছড়াই ছিল উল্লেখযোগ্য। তাঁর এ সমস্ত ছড়ার কারণে তিনি অনেক পরিচিতি পেয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি ছড়া ছিল,

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!
যার পিছনে জানটা দিলাম যার পিছনে রক্ত
সেই রক্তের বদল দেখো বাঁচাই কেমন শক্ত,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার মরার স্বাধীনতা!
বাঁচতে চেয়ে খুন হয়েছি বুলেট শুধু খেলাম
উঠতে এবং বসতে ঠুঁকি দাদার পায়ে সেলাম,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!

তিরিশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।

এদিকে স্বাধিনতার সূফল না পেয়ে আক্ষেপ করে কিছু কথামালা দিয়ে একটি গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন। এটি প্রকাশের পর থেকে গানটি শ্রোতার মুখে মুখে। লেখা ও সুর করার পাশাপাশি এটি কণ্ঠে তুলেছেন তিনি নিজে। তার গানটি হলো ৩০ বছর পরেও কেন স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি। পাঠকদের উদ্ধেশ্যে পুর্ণ গানটি নীচে দেয়া হলো।
কি দেখার কথা কি দেখছি?
কি শোনার কথা কি শুনছি?
কি ভাবার কথা কি ভাবছি?
কি বলার কথা কি বলছি?
তিরিশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।।
স্বাধীনতা কি বৈশাখী মেলা,পান্তা ইলিশ খাওয়া?
স্বাধীনতা কি বটমূলে বসে বৈশাখী গান গাওয়া?
স্বাধীনতা কি বুদ্ধিজীবির বক্তৃতা সেমিনার?
স্বাধীনতা কি শহীদ বেদিতে পুষ্পের সমাহার?
স্বাধীনতা কি গল্প নাটক উপন্যাস আর কবিতা?
স্বাধীনতা কি আজ বন্দী আনুষ্ঠানিকতা?..।।
স্বাধীনতা কি ঢাকা শহরের আকাশচুম্বী বাড়ি?
স্বাধীনতা কি ফুটপাতে শোয়া গৃহহীন নর-নারী?
স্বাধীনতা কি হোটেলে হোটেলে গ্র্যান্ড ফ্যাশন শো?
স্বাধীনতা কি দুখিনী নারীর জড়া-জীর্ণ বস্ত্র?
স্বাধীনতা কি গজিয়ে ওঠা অভিজাত পান্থশালা?
স্বাধীনতা কি অন্যের খোঁজে কিশোরী প্রমোদবালা?..।।
স্বাধীনতা কি নিরীহ লোকের অকারণে প্রাণদন্ড?
স্বাধীনতা কি পানির ট্যাঙ্কে গলিত লাশের গন্ধ?
স্বাধীনতা কি হরতাল ডেকে জীবন করা স্তব্ধ?
স্বাধীনতা কি ক্ষমতা হরণে চলে বন্দুক যুদ্ধ?
স্বাধীনতা কি সন্ত্রাসী হাতে মারণাস্ত্রের গর্জন?
স্বাধীনতা কি অর্থের লোভে বিবেক বিসর্জন?..।।
আজ নেই বর্গী,নেই ইংরেজ,নেই পাকিস্তানী হানাদার,
আজো তবু কেন আমার মনে শূণ্যতা আর হাহাকার?
আজো তবু কি লাখো শহীদের রক্ত যাবে বৃথা?
আজো তবু কি ভুলতে বসেছি স্বাধীনতার ইতিকথা?..।।

পাঠক, নিশ্চই প্রথম ছড়াটি ও পরের গানটির মর্মার্থ বুজতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যে সময় তিনি তা লিখেছিলেন সে সময়ের প্রেক্ষাপটে হয়তো সেটার আবেদন ছিল একটু বেশী কিন্তু বর্তমানের বাস্তবতায় আগের মত আর সেই আবেদন আছে বলে অনেকের মত আমারও মনে হয়। স্বাধিনতার পূর্ণ স্বাদ হয়তো আমরা এখনও পাচ্ছি না কিন্তু যতটুকু পাচ্ছি তা একেবারে কম নয়। সময়ের বির্তনে হয়তো আমরা একদিন তা লাভ করবো এ নিয়েই আশাবাদি আমরা।
বাক স্বাধীনতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো একেক জনের কাছে হয়তো একেক রকম হতে পারে। যার অর্থনৈতিক ভিত্তি ভালো তাঁর কাছে বাক স্বাধীনতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। “উচ্চবিত্তের চাহিদা এক রকম, মধ্যবিত্তের কিংবা নিম্নবিত্তের চাহিদা আরেক রকম। সুতরাং সুখের একটি শ্রেণী চরিত্র আছে,” । সময়ের সাথে সাথে মানুষের সুখের চাহিদারও তারতম্য ঘটে।
১০ বছর আগে যে বিষয়গুলো বাংলাদেশের মানুষকে সুখী করতে পারতো, এখন হয়তো সেগুলো আর পারছে না। এখন সুখের জন্য আরো নতুন উপকরণ যুক্ত হয়েছে। এভাবেই তা চলে।

ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো

রফিক আজাদের এ কবিতাটি এক সময় মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতো। এর প্রেক্ষাপট চুয়াত্তর সালের দুর্ভিক্ষ। তবে এ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্যও রয়েছে। অনেকের মতে যেভাবে এটাকে আলোচনা করা হয়েছে। কবি সেভাবে তা উপস্থাপনের চেষ্টা করেন নি। এটাকে অতিরঞ্জিত করে ভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। চলুন কবিতাটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নেইঃ

ভীষন ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শারীরব ব্যেপে
অনুভূত হতে থাকে – প্রতিপলে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
অনাবৃষ্টি যেমন চরিত্রের শস্যক্ষেত্রে জ্বেলে দেয়
প্রভূত দাহন, তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ
দু’বেলা দু’মুঠো পেলে মোটে নেই অন্য কোনও দাবি
অনেক অনেক-কিছু চেয়ে নিয়েছে, সকলেই চায়ঃ
বাড়ি, গাড়ী, টাকাকড়ি- কারো বা খ্যাতির লোভ আছে;
আমার সামান্য দাবিঃ পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর-
ভাত চাই-এই চাওয়া সরাসরি ঠান্ডা বা গরম,
সরূ বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হ’লে
কোনো ক্ষতি নেই মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাইঃ
দু’বেলা দু’মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য সব দাবি!
অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি নেই যৌন ক্ষুধা-
চাইনি তো নাভিনিম্নে পড়া শাড়ি, শাড়ির মালিক;
যে চায় সে নিয়ে যাক যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও
জেনে রাখোঃ আমার ও সব এ কোনও প্রয়োজন নেই।
যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবি,
তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কান্ড ঘটে যাবে;
ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট, আইন-কানুন –
সমুখে যা পাবো খেয়ে নেবো অবলীলাক্রমে;
যদি বা দৈবাৎ সম্মুখে তোমাকে, ধর, পেয়ে যাই –
রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে উপাদেয় উপাচার হবে।
সর্বপরিবেশগ্রাসী হ’লে সামান্য ভাতের ক্ষুধা
ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ করে!
দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অবধি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবোঃ গাছপালা, নদী-নালা,
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাথ, নর্দমার জলের প্রপাত,
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব-প্রধান নারী,
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী-
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ।
ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো।

যখন এ কবিতা লেখা হয় তখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি লেখার পর আলোচনা সমালোচনা শুরু হতে থাকে। এর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন কবি রফিক আজাদ। শেখ সাহেব আমার সব কথা শুনলেন। আমাকে যেতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। এরপর আমার সামনেই ফোন দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, ওরে পাঠাইলাম। ওর কথা শুনে এই গাড়ি দিয়ে পাঠিয়ে দেবে। পরে মনসুর আলী সাহেবের কাছে গেলে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলে তখনকার ডিআইজি সাহেবকে টেলিফোন দিলেন। এরপর এস‘বির অফিসে নিয়ে আমাকে আটকে রাখল। এই কবিতা কেন লিখেছি? কী লিখেছি কবিতায়, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হলো আমার কাছে। বলা হলো, মুখে বললে হবে না, কাগজে লিখে দিতে হবে। কাগজ-কলম দেওয়া হলো আমাকে। সঙ্গে দুই কাপ চা। এরপর আমি লিখলাম ৬১ পৃষ্ঠার মতো দীর্ঘ এক লেখা।”
সে যাই হউক। দেশ এখন খাদ্যে সয়ং সম্পুর্ণ হয়েছে। শুধু সয়ং সম্পুণর্, নয় এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। সুতরাং এ কবিতার আবেদন আর এখন নাই।

কিন্তু আমার কবিতার উত্তর এখনও পাইনি। যে কবিতা একজন ইংরেজ ভদ্রলোকের সাথে আমার কিছু কথাবার্তা নিয়ে লিখেছিলাম। সে হলো-

কবিতার নাম ‘মনগড়া উত্তর’

এক ইংরেজ ভদ্রলোক এর প্রশ্ন
তুমি হলে বাঙালি আর বাংলা হলো তোমাদের মাতৃভাষা
তবে কেন ইংরেজি তারিখে তোমাদের ‘মার্টিরস ডে’?
বাংলায় কি তোমাদের কোন সন্-তারিখ নেই ?

আমি উত্তরে বলেছিলাম, তা অবশ্যই আছে
আর সেটা হল একটি বাংলা মাসের অষ্টম দিন-
যাকে বলে আট-ই ফাল্গুন ।
আমি অবশ্য বায়ান্ন সালের বাংলা সন বলতে পারিনি।

ভদ্রলোকের আবার প্রশ্ন
বৃটেনে-তো তোমাদের প্রোগ্রাম একুশে ফেব্রæরিতে হয়
তখন কি বাংলা মাসের ৮ই ফাল্গুন থাকে?
আমি বলেছিলাম, এখানে ইংরেজি তারিখে হলেও
দেশে বাংলা তারিখে হয় ।

ভদ্রলোক একটু থেমে গিয়ে আবার বল্লেন,
আচ্ছা বুঝলাম, ৮ই ফাল্গুন না হয় দেশে পালন করো!
কিন্তু ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর কি বাংলা সন মত হয়
আমি তখন আর উত্তর দিতে পারিনি।

আমি তখন ভদ্রলোকের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে চাই
বলি-পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ আগস্ট আর ভারতের ১৫ আগস্ট
সুতরাং এটা এভাবেই চলে আসছে।

ভদ্রলোকের উত্তর
তারা না হয় সেটা ইংরেজদের কাছে থেকে পেয়েছে
তাই, এটা সেভাবে হতেই পারে
কিন্তু তোমাদের অবস্থা তো ভিন্ন !

তোমাদের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ মরেছে
সম্ভ্রম হারিয়েছে আড়াই লক্ষ মা বোন,
আর যুদ্ধ নয় মাস হলেও -এ জন্য রয়েছে অনেক ত্যাগ।
সুতরাং, তোমাদের আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত নয় কী?

এ কবিতাটি আমি লিখেছি বাস্তবতার নিরিখে। বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ভাষা আন্দোলন করলাম। রক্ত দিলাম। কিন্তু এখন যদি আবার তা ইংরেজি সন মোতাবেক পালন করতে হয় তখন তা কীভাবে হয়। এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন নয় কি?
আমি এ ব্যাপারে, ৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারী, ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ এর বাংলাসন তারিখ সংগ্রহ করে রেখেছি। প্রয়োজনে প্রদান করতে প্রস্তুত। (চলবে)।

লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক ও দর্পণ ম্যাগাজিন সম্পাদক। ইমেইল: rahmatali2056@gmail.com