রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা ‘মুখোশের অন্তরালে’
মুখোশের অন্তরালে
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
সহজ সরল মানুষদের জীবনভর বিষ ফোঁড়া ফুটিয়ে দেয় এই মুখোশ রূপী দু”মুখো সাপ।
দু’মুখো সাপ যেমন আনাচে কানাচে থাকে ঠিক তেমনি
দু”মুখো মানুষটি সুযোগ গ্রহন করেই আমাদের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেয়।
এই প্রাণীটির ভয়ঙ্কর রুপের মহিমায় কু-মহিমান্বিত আমাদের সমাজ।
অনাবিল সুখ , আনন্দের ভেলায়
আমরা যাপন করি নিশিদিন।
কিন্ত এরা চায় নিরানন্দের আশ্রম।
আমার না বলা কথা গুলো জমতে জমতে পাহাড় সম প্রায়।
অনেক ভেবেছি আমার দুঃখ ও কষ্টের কথা, তাই হজম করে যাই প্রতিনিয়ত।
তাইতো চুপিচুপি লিখে রেখেছি
সবার অজান্তে।
যদিবা বলার সময় না হয় আমাদের জীবনের গল্পকথা।
যাকে দংশন করে সে বুঝে তার মর্মব্যথা।
মুখোশপরা মানুষের সুললিত ব্যবহারে নিজেরাই নিজের ক্ষতি করে যাই অহরহ।
এদের আদরে, আহ্লাদে আসন পেতে পূজো করে নিবেদন করি
ভালোবাসায়।
সুখানন্দের আনন্দের পরিপূর্ণ জীবনের কলুষিত করে, এক নিমিষেই শেষ করে দেয় অবলীলায়।
সুখ যখন বাসা বাঁধে রাজযোটক
কপোত কপোতীর নীড়ে, ঠিক তখনি ছায়ার মতো ধাওয়া করে বিসর্জন করার ছলে।
নিরানন্দ অসুখী , কুৎসিত জীবনাশ্রম মুখোশধারী মানুষের আনন্দের চাবিকাঠি।
অন্যের , আনন্দ সুখ গ্রাস করেই
সমাজে তাল মিলিয়ে চলছে অনাদিকাল। তাই তো বলি,——
দু”মুখো প্রাণীকে ভালোবেসে
কষ্ট ধারণ করে দুঃখকে আর বরণ করো না।।