প্রচ্ছদ

নিউজিল্যান্ডের সর্ববৃহৎ শহর লকডাউন

  |  ১৬:৫৫, আগস্ট ১১, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

নিউজিল্যান্ড মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশটির সবচেয়ে বড় শহর লকডাউন করা হয়েছে। অকল্যান্ডে চারজন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ১০২ দিন করোনামুক্ত ছিল নিউজিল্যান্ড। খবর রয়টার্সের।

করোনার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের সাফল্য বৈশ্বিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি করোনার মধ্যেও ৫০ লাখ জনগোষ্ঠীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ স্থান বলে মনে করা হতো।

নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অ্যাসলে ব্লুমফিল্ড বলেছেন, দক্ষিণ অকল্যান্ডে এক পরিবারের চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একজনের বয়স ৫০-র কোঠায়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা দেশের বাইরে যায়নি। পরিবারের সদস্যদের করোনা টেস্ট করা হয়েছে এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং করা হচ্ছে।

এদিকে প্রায় সাড়ে তিন মাস পর করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশটির মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষজন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য সুপারমার্কেটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। অনেকে আবার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, ‘সতর্কতার অংশ’ হিসেবে বুধবার দুপুর থেকে অকল্যান্ডে লেভেল ৩ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। এর মানে হচ্ছে- কাজ এবং স্কুল যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে মানুষজনকে। এছাড়া ১০ জনের বেশি মানুষের জমায়েতও নিষিদ্ধ হবে।

আগামী তিনদিন অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন আর্ডার্ন। তার ভাষায়, পরিস্থিতি পর্যালোচনা, তথ্য সংগ্রহ এবং কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য এই সময় যথেষ্ট।

এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তবে কীভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

আর্ডার্ন বলেন, আমরা ১০২ দিন করোনামুক্ত ছিল এবং নিউজিল্যান্ড ঝুঁকির বাইরে চলে গেছে সেটা মনে হচ্ছিল। আক্রান্ত কোনও দেশই এত দীর্ঘ সময় পর্যন্ত করোনামুক্ত ছিল না। কারণ যেহেতু আমাদের সঙ্গে ঘটেছে, আমাদের পরিকল্পনা নেয়া ছিল। আমাদের পরিকল্পনা আছে।

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নতুন এই বিধিনিষেধ নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা সে বিষয়ে তিনি এখনও কিছু ভাবেননি বলে জানিয়েছেন আর্ডার্ন।