মুজিববর্ষ-বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কোথায়?
:: অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ::
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তার একটি অন্যতম ভিত্তি হলো অসাম্প্রদায়িক চিন্তা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রেরও অন্যতম দার্শনিক ভিত্তি এটি। অসাম্প্রদায়িক চিন্তা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ একই সূত্রে গাঁথা। এর বিপরীতে রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ধর্মাশ্রয়ী বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ (নাগরিকত্ব অর্থে নয়, চেতনাগত অর্থে)। এটি সত্য, বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়সে মুসলিম লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। জনসাধারণের দুঃখ লাঘব করতে তখন তিনি দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জন্য লঙ্গরখানা খুলে কাজ করেছেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দেশে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে, তিনি সুষম খাদ্য বণ্টনের আন্দোলন, ভুখা মানুষের মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে কাজ করেন। ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট কলকাতায় মুসলিম লীগের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। তরুণ মুজিব ছুটে বেড়ান দাঙ্গাকবলিত মুসলিম, হিন্দু দুই জনগোষ্ঠীকেই উদ্ধার করতে। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় : ‘দু-এক জায়গায় উদ্ধার করতে যেয়ে আক্রান্তও হয়েছিলাম। আমরা হিন্দুদের উদ্ধার করে হিন্দু মহল্লায় পাঠাতে সাহায্য করেছি। মনে হয়েছে, মানুষ তার মানবতা হারিয়ে পশুতে পরিণত হয়েছে (রহমান, ২০১২ :পৃ. ৬৬)।’ কলকাতায় তিনি হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্র্রদায়ের লোককেই উদ্ধারের চেষ্টা করেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার জন্য মহাত্মা গান্ধীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী। সোহরাওয়ার্দীর সেই প্রচেষ্টায় তখন বঙ্গবন্ধুও যুক্ত হন। পাকিস্তান আন্দোলনে যুক্ত হলেও বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনের প্রথম থেকেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে সুসংহত করেছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়েই। আবুল মনসুর আহমেদ, আতাউর রহমান খান মুসলিম বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘মুসলিম বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। অসংখ্য কমিউনিস্ট নেতাকে আমরা সেই মতাদর্শিক বিষয়ে কলম ধরতে দেখেছি (আহাদ, ১৯৮৪)। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পূর্ব-বাংলায় হিন্দু-মুসলিম বিভেদে রাজি ছিলেন না। তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বাঙালির সমর্থন পেতে কখনও হিন্দু বাঙালির বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি ও সংঘাতের রাজনীতি করেননি। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শোষকদের হাত থেকে বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়কে যুক্ত করেন। বাঙালির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুই প্রথম এবং সম্ভবত একমাত্র সফল নেতা, যিনি হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়কে একত্রিত করেছেন (খান, ২০১৪)। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী বা স্বরাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মুসলিমদের সমর্থন ছিল না, আবার উচ্চবর্ণের হিন্দু নেতারাও মুসলিমদের এসব জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যুক্ত হননি। বঙ্গবন্ধু এমনকি বাঙালিদের অন্য কোনো জাতির বিরুদ্ধে, যেমন বিহারিদের বিরুদ্ধে, সহিংস আচরণে প্ররোচনা দেননি। বরং তাদের নিরাপত্তা দিতে ৭ মার্চের ভাষণে আওয়ামী লীগ কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। ‘এই বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি, অ-বাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের ওপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।’ তিনি সব শ্রেণির জনগোষ্ঠীর সহাবস্থান এবং সব নাগরিকের সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে সাম্যের কথাটা এসেছিল সমাজতন্ত্র হিসেবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন পুঁজিবাদী অর্থনীতি দর্শনগতভাবেই মানুষে মানুষে বিভেদ উদ্রেককারী। আর এজন্য অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু বলছেন : ‘আমি নিজে কমিউনিস্ট নই, তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না। একে আমি শোষণের যন্ত্র হিসাবে মনে করি। এই পুঁজিপতি সৃষ্টির অর্থনীতি যত দিন দুনিয়ায় থাকবে, তত দিন দুনিয়ার মানুষের ওপর থেকে শোষণ বন্ধ হতে পারে না। পুঁজিপতিরা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বযুদ্ধ লাগাতে বদ্ধপরিকর। নতুন স্বাধীনতাপ্রাপ্ত জনগণের কর্তব্য বিশ্বশান্তির জন্য সংঘবদ্ধভাবে চেষ্টা করা। যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে যারা আবদ্ধ ছিল, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যাদের সর্বস্ব লুট করেছে- তাদের প্রয়োজন নিজের দেশকে গড়া ও জনগণের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক মুক্তির দিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করা (রহমান, ২০১২ : পৃ. ২৩৪)।’ তখন সমাজতন্ত্র শব্দটার জয়জয়কার। সমাজতন্ত্র একটা রোমান্টিক শব্দ। কেবল মনোজগতে নয়, ব্যক্তিজীবনেও বঙ্গবন্ধু অসাম্য দূর করার, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তির পক্ষে কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ায় ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমরা দেখি, দাওয়ালদের (যারা ধান মৌসুমে দিনমজুর হিসেবে ধান কাটে) যৌক্তিক দাবি অগ্রাহ্য করে পাকিস্তান সরকার যখন দাওয়ালদের ধান কেড়ে নেয় তখন তরুণ মুজিব প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন (রহমান, ২০১২ : পৃ. ১০৪)। ‘কারাগারের রোজনামচা’য় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন বৈষম্যহীনতার চর্চার কথা। কারাগারে তিনি সবার সঙ্গে একসঙ্গে খেতেন, যেমন ব্যবস্থা ছিল তার নিজ বাড়িতে :’আমি যাহা খাই ওদের না দিয়ে খাই না। আমার বাড়িতেও একই নিয়ম।… আজ নতুন নতুন শিল্পপতিদের ও ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও দুই পাক হয়। সাহেবদের জন্য আলাদা, চাকরদের জন্য আলাদা। আমাদের দেশে যখন একচেটিয়া সাম্রাজ্যবাদ ছিল, তখন জমিদার, তালুকদারদের বাড়িতেও এই ব্যবস্থা ছিল না। আজ সামন্ততন্ত্রের কবরের ওপর শিল্প ও বাণিজ্য সভ্যতার সৌধ গড়ে উঠতে শুরু করেছে, তখনই এই রকম মানসিক পরিবর্তনও শুরু হয়েছে। সামন্ততন্ত্রের শোষণের চেয়েও এই শোষণ ভয়াবহ (রহমান, ২০১৭ : পৃ. ১১)।’
যেটা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন তার থেকে অনেক দূরে সরে এসেছি আমরা। আমার কাছে মনে হয়, আজকে যেটা আমরা বলি এবং শুনি বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে ২০৩০ সালে, মোটামুটি ২০৪০ সালে আমরা ধনী বাংলাদেশ হয়ে যাব, সেটাও ডলারের হিসাবে। কত ডলার হলে নিম্ন আয়ের, কত ডলার হলে মধ্যম আয়, কত ডলার হলে ধনী, তা বিশ্বব্যাংক ঠিক করে দিয়েছে। পাঁচ হাজার ডলার হলে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হবো, ১২ হাজার ডলার হলে ধনী হবো ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমাদের সব রাস্তা দোতলা হবে, ফ্লাইওভার থাকবে সর্বত্র, দোতলা-তিনতলা বিল্ডিং সব উঁচু হয়ে যাবে। আমার মনে হয় না জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ এ রকম ছিল। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ছিল সাম্যের বাংলাদেশ। সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রে মেহনতি মানুষের কল্যাণ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব তা বঙ্গবন্ধুর মনে ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে জায়গা করে নেয়। সমাজতন্ত্র বলতে তিনি প্রধানত শোষণমুক্ত এবং বৈষম্যহীন একটা ব্যবস্থার কথা ভাবতেন। ১৯৫২ সালে চীন ভ্রমণের পর পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমতাভিত্তিক রাষ্ট্রের পার্থক্য তিনি উপলব্ধি করেন। তা অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন : ‘তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো তাদের জনগণ জানতে পারল ও অনুভব করতে পারল এই দেশ ও এ দেশের সম্পদ তাদের। আর আমাদের জনগণ বুঝতে আরম্ভ করল, জাতীয় সম্পদ বিশেষ গোষ্ঠীর আর তারা যেন কেউই নন (রহমান, ২০১২ : পৃ. ৩৩৪)।’ বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, শোষণমুক্তি এবং বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। চীনে গিয়ে তার এই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। তিনি দেখতে পান, কীভাবে চীনে সামন্ততান্ত্রিক ভূমি মালিকানা পরিবর্তিত হয়েছে, ভূমিহীন কৃষক জমির মালিক হয়েছে- ‘আজ চীন দেশ কৃষক-মজুরের দেশ। শোষক শ্রেণি শেষ হয়ে গেছে। নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে রাষ্ট্র কীভাবে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রাপ্তির মৌলিক চাহিদার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করেছে’ (পৃ. ২৩০)।
অনেক স্বপ্নই আমরা এখন দেখি, বঙ্গবন্ধু এত স্বপ্ন দেখেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল মিলেমিশে বাংলাদেশ ধনী-গরিব, পুরুষ-নারী, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলে সাম্যের বাংলাদেশ। সবাই মিলেমিশে থাকব। আমরা অনেক উন্নতি করলাম। আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ। জাতির পিতার যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, সাম্যের বাংলাদেশ- সেটা কোথায়। বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে যেখানে একপর্যায়ে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে, কয়েক বছর যাবৎ গিনি সহগে আমরা দশমিক ৫-এর সামান্য থেকে নিচে আছি। অরাজকতা বা চরম বৈষম্যের মাত্রা দশমিক ৫-এর বেশি দূরে নেই। বৈষম্যের কারণে অর্থনীতিতে একটা অরাজকতা তৈরি হয়, সেটাও আমাদের মনে রাখতে হবে। ক্যাসিনোতে দেখলাম যারা নিঃস্ব হয়ে যায় তাদেরকে ক্যাসিনোর মালিকরা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমরাও যদি এ রকম ধনী হয়ে গেলাম, ধনী হতে গিয়ে সব ক্যাসিনোর হাতে চলে গেল, আমরা কেবল খেয়ে বেঁচে থাকলাম। আমার মনে হয় না যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা এটা ছিল। আর আমরা বলছি যে আয় বাড়ছে, বলছি ডলারের হিসাবে মধ্যম আয়ের দেশ, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ইত্যাদি। ইরাক, সিরিয়া, মিসর অনেক আগেই ডলারের হিসাবে মধ্যম আয়ের দেশ ছিল। কিন্তু সেই দেশগুলো সেভাবে টিকে নেই। না টেকার কারণ হচ্ছে মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব বা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব।
যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেই স্বপ্ন নিয়ে আমরা বাংলাদেশ করলাম, যেটাকে বলি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সেই চেতনা থেকেই যদি দূরে সরে যাই সেটা দিয়ে হয়তো উন্নয়ন হবে কিন্তু টেকসই হবে না। যেটা ইরাক, সিরিয়া, মিসরের ক্ষেত্রে হয়েছে। অতএব আমি আবারও বলছি, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বলতে কেবল ধনী বাংলাদেশ না। যে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে জাতির পিতা একটা স্বাধীন সার্বভৌম আলাদা স্বতন্ত্র রাষ্ট্র সৃষ্টি করলেন, সেটা ছিল সাম্যের বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, মানুষে মানুষে ভালোবাসার বাংলাদেশ। সেখান থেকে কোনোভাবে আমাদের বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না এবং সেটাই আমাদের অর্জন করতে হবে। দেশের শত্রু, যারা একেবারে ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন থেকেই সব কিছুর বিরোধিতা করে আসছে, তারা কখনোই নিষ্ফ্ক্রিয় হয় না। মাঝেমধ্যে দুর্বল হয়, এখানে সেখানে লুকায়, কিন্তু মনে রাখতে হবে এই অপশক্তি কখনোই নিঃশেষ হয় না।
নিঃসন্দেহে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধই সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা। বাঙালি জাতি তার দীর্ঘদিনের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নিজেদের জন্য একটি জাতিরাষ্ট্র গঠন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি কী হবে? ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে জেনারেলরা সংবিধান ইচ্ছামতো স্থগিত করেছেন, সংশোধন করেছেন। বাংলাদেশকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছে, যারা বাংলাদেশের জন্ম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুটোই অস্বীকার করে। দেশের ও আপোশের মৌলবাদী আগ্রাসন রোধে এবং নিকৃষ্টতম চলমান লুণ্ঠন ও দুর্নীতি, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দূর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রাষ্ট্র গড়তে আমাদের তার রাজনৈতিক চিন্তাধারার কাছে ফিরতে হবে; বাংলাদেশকে তার দার্শনিক ভিত্তি- বাঙালিত্ব, অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় নীতির কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
লেখক: উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।