প্রচ্ছদ

পোস্টাল ভোট : সতর্ক করল পোস্টাল সার্ভিস

  |  ১৪:২৫, আগস্ট ২২, ২০২০
www.adarshabarta.com

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডাকযোগে ভোটগ্রহণের ফল ভালো হবে না বলে সতর্ক করেছে মার্কিন পোস্টাল সার্ভিস (ইউএসপিএস)। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, নির্বাচনের দিন (৩ নভেম্বর) গণনার জন্য ডাকযোগে পাঠানো সবগুলো ব্যালট সময়মতো নাও পৌঁছাতে পারে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পোস্টাল সার্ভিসের পাঠানো চিঠিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

আমেরিকার কর্মদিবসে নির্বাচন হওয়ার কারণে অনেক মানুষ চাকরি হারাবার ভয়ে সশরীরে ভোট দিতে পারেন না। কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারো কারো ভোট দিতে সমস্যা হয়। এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সেদেশে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এ বছর করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি অ্যাক্সিওস/সার্ভে মানকির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, তিন চতুর্থাংশ রিপাবলিকান সশরীরে আর ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মেল ইন পদ্ধতিতে ভোট দিতে চান। কর্তৃপক্ষ সব ভোটারকে ব্যালট পাঠালে সেই ব্যবস্থাকে ‘মেল ইন’ বলা হয়। কোনো ভোটার বিশেষ কারণ দেখিয়ে ডাকযোগে ভোটের আবেদন জানালে সেটিকে ‘অ্যাবসেন্টি ব্যালট’ বলা হয়। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন। ডাক বিভাগ বিশাল সংখ্যায় পোস্টাল ব্যালট সামলাতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছেন তিনি। এমনকি নভেম্বরের নির্বাচনে তার পরাজয় হলে সেই দায় আংশিকভাবে ডাকযোগে ব্যালটের উপর চাপানোর হুমকি দিয়ে চলেছেন ট্রাম্প।

এমন অবস্থায় ডাকযোগে ভোটগ্রহণ নিয়ে সতর্ক করেছে খোদ পোস্টাল সার্ভিসই। গত মাসে ১৫টি অঙ্গরাজ্যে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার আগে আগে সবগুলো ব্যালট পৌঁছাবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না তারা। গত ১৩ আগস্ট পোস্টাল সার্ভিসের কাছ থেকে পাওয়া চিঠিটি প্রকাশ করেছে পেনসিলভানিয়া। সেখানকার বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে মেল ইন ব্যালট পাঠানো যাবে। তবে চিঠিতে পোস্টাল সার্ভিস লিখেছে অঙ্গরাজ্যটিতে ডেলিভারি সিস্টমে যে ধরনের কড়াকড়ি আছে, তাতে ডেডলাইন অনুযায়ী ব্যালট নাও পৌঁছাতে পারে।

সমালোচকদের অভিযোগ, পোস্টাল সার্ভিসের নতুন প্রধান ট্রাম্পেরই লোক। তিনিই ইচ্ছে করে ডেলিভারির গতি ধীর করেছেন।

এদিকে মার্কিন নির্বাচনে ডাকযোগে ভোট নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে : মার্কিন নির্বাচনে ডাকযোগে ব্যালটে জালিয়াতির আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে কারণেই ডাক বিভাগের ব্যায়সংকোচ করে তিনি নির্বাচন বানচালের মতলব করছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এবার সংসদেও এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।

করোনা সংকটের সময় ভোটগ্রহণ আদৌ সম্ভব করতে বিভিন্ন রাজ্যে সব ভোটারদের ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নররা এমন ‘মেল-ইন’ ব্যালটের উদ্যোগ নিচ্ছেন। ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু ট্রাম্প এমনই এক সংকটের সময়ে ডাক বিভাগের ব্যয়সংকোচের যে বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানতে দীর্ঘ বিলম্ব ঘটতে পারে।

বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে। চলতি সপ্তাহেই হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের অধিবেশনে বিরোধী দল সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড়সড় বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেবার উদ্যোগ নিতে চান নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। করোনা সংকটের মাঝে সংসদের অধিবেশন আয়োজন মোটেই সহজ কাজ নয়। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা সংসদের বদ্ধ কক্ষে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিতর্কে যোগ দেবেন, ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন, এমনটা আশা করা কঠিন। তবে পরিস্থিতির চাপে গত ১৬ আগস্ট এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন পেলোসি।

এমন এক প্রেক্ষাপটে ডাক বিভাগের অবকাঠামো ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে মার্কিন পোস্ট মাস্টার জেনারেল লুইস ডিজয় ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের কংগ্রেসে তলব করেছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতারা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে দেশজুড়ে চিঠিপত্র বিলির গতি ইতোমধ্যেই যেভাবে কমে গেছে, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটকে ঘিরে ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। ডাক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জেরা করে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে চান তাঁরা। প্রয়োজনে পালটা পদক্ষেপ নিয়ে ডাক বিভাগের কাজে বিঘ্ন দূর করার কথাও ভাবছেন তারা। আইনি পথে ডাক বিভাগে কোনো রকম পরিবর্তন রোখার চেষ্টা করতে পারেন তারা। বেশ কয়েকটি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল এমন আভাস দিয়েছেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, জনমত সমীক্ষায় পিছিয়ে পড়ে নভেম্বরের নির্বাচন বানচাল করার মতলব করছেন ট্রাম্প। তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই বার বার দাবি করে চলেছেন, যে বেশি ‘মেল-ইন’ ভোট দেয়া হলে জালিয়াতি হতে পারে। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রতি চারজন ভোটারের মধ্যে একজন এভাবে ভোট দিয়েছিলেন।

সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে ডেমোক্র্যাটিক দল ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডাক বিভাগের সব পরিবর্তন নাকচ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে গত ১৫ আগস্টই এক প্রস্তাব অনুমোদন করতে পারে। তবে সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে সেটা সম্ভব হলেও উচ্চ কক্ষে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকাল দল বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাজ্য স্তরেও একই উদ্যোগ নিয়ে ও একাধিক আদালতের শরণাপন্ন হয়ে চাপ বাড়াতে চায় বিরোধীরা। ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের আর্থিক মদতদারা হিসেবে পোস্ট মাস্টার জেনারেল ডিজয় সংসদে আসতে অস্বীকার করলে ডাক বিভাগের পরিচালকমণ্ডলীর মাধ্যমে তাকে পদচ্যুত করার কথাও ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা।

বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে করোনা সংকটের কারণে ডাকবিভাগের জন্য এককালীন বাড়তি আর্থিক অনুদানের উদ্যোগের কথাও ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প প্রথমে এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করলেও কোনো বৃহত্তর প্যাকেজের অংশ হিসেবে ডাকবিভাগের জন্য বাড়তি অর্থসংস্থানের পথে বাধা না দেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রিপাবলিকান দলের একাংশও এমন অনুদানের পক্ষে।

এদিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, পোস্টাল সার্ভিসের জন্য স্টিমুলাস প্যাকেজে ২৫ বিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছিল। ডেমোক্র্যাটরা এই বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু রিপাবলিকানরা সেটি দিতে রাজি ছিলেন না। ফলে স্টিমুলাস নিয়ে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হয়নি। হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসী হাউজের সদস্যদের জরুরি প্রয়োজনে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই হিসেবে হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে জরুরি অধিবেশনের আহ্বান করেন।

কারণ এখন তারা পোস্টাল সাভিসের জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার যাতে বরাদ্দ পাওয়া যায় সেই জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলারের ‘ডেলিভারি আমেরিকা অ্যাক্ট’ নামে একটি নতুন বিল পাস করতে চাইছে। কারণ তারা মনে করছেন নির্ধারিত সময়ে ভোট হতে হলে অর্থ দিতেই হবে। প্যান্ডামিকের মধ্যে যাতে মানুষ ভোট দিতে পারে সেই জন্য অ্যাবসেন্টি ব্যালটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অ্যাবসেন্টি ব্যালটে যাতে মানুষ ভোট দিতে পারেন সেই জন্য তাদেরকে সময় মতো অ্যাবসেন্টি ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালট পেপাড় পেতে হবে। সময় মতো সেটি পাঠাতে হবে এবং ভোট দিয়ে সেটি আবার ফেরত পাঠাতে হবে। পরে সিটি যথাস্থানে পৌঁছাতে হবে। এই সব কাজ সফলভাবে করার জন্য পোস্টাল সার্ভিসের অর্থ প্রয়োজন। ডেমোক্র্যাটরা এ নিয়ে রিপাবলিকানদের উপর চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। ট্রম্পের উপর চাপ রয়েছে।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে পোস্টাল বক্সগুলো মেরামতের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন এটা ইচ্ছে করে হতে পারে। এই সময়ে যাতে পোস্টাল বক্স মেরামতের নামে সরানো না হয় সেটাই নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে পোস্টাল সার্ভিসে যারা এখন যেখানে কর্মরত আছেন তাদের যাতে বাদ দেওয়া সম্ভব না হয় কিংবা বদলানো না হয় সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দিচ্ছেন। যারা এখন দায়িত্বে আছেন তাদের অন্তত জানুয়ারি পর্যন্ত রাখতে হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডাক সেবা অচল করে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছেন ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতাদের।

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ করে ডাক সেবায় মন্থরগতিতে সেই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে। এছাড়া ডাক বিভাগকে লক্ষ্য করে নজিরবিহীন আক্রমণ শুরু করেছেন ট্রাম্প।

নির্বাচনের আগেই গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগটির ব্যয়সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ডাকযোগে ভোটের দাবি তুলেছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, ডাকযোগে ব্যালটে জালিয়াতি হাতে পারে। বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, ব্যয়সংকোচ করে ট্রাম্পই নির্বাচন বানচালের মতলব করছেন। এবার সংসদেও সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই চক্রান্ত প্রতিহত করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। এমন অবস্থায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে জরুরি অধিবেশনের আহ্বান করেছেন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

ডাক বিভাগে আনা পরিবর্তনগুলো আটকে দিতে ভোটাভুটিরও আয়োজন করা হচ্ছে। এমনকি সরকারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তত ছয় রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা।

দ্রুতগতির সেবার জন্য বিশ্ববিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল সার্ভিস বা ডাক বিভাগ (ইউএসপিএস)। ঝড়-তুফান, তুষারপাত আর দাবদাহের মধ্যেও মেইল বা চিঠি পৌঁছে দিয়ে থাকে ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা। কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদে শেষ পর্যায়ে এসে একেবারেই নতুন সংকটের মুখে পড়েছে এই বিভাগ। নতুন এই সংকট আর কিছু নয়, ডাকসেবায় ধীরগতি, যা এই বিভাগকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

এর মধ্যে রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ডাক বিভাগ জানিয়েছে, ধীরগতির কারণে ভোটারদের ব্যালটগুলো গণনার জন্য পাঠাতে দেরি হতে পারে। এর ফলে ডাকযোগে ভোট দেয়া ও ব্যালট আদৌ গণনা হবে কি না তা নিয়ে বেশ দ্বিধার মধ্যে পড়েছে মার্কিন ভোটাররা।

করোনা সংকটের মধ্যে ভোটগ্রহণ সম্ভব করতে বিভিন্ন রাজ্যে সব ভোটারকে ডাকযোগে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নররা এমন ‘মেল-ইন’ ব্যালটের উদ্যোগ নিচ্ছেন। ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু ট্রাম্প এমনই এক সংকটের সময়ে ডাক বিভাগের ব্যয়সংকোচের যে বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানতে দীর্ঘ বিলম্ব ঘটতে পারে।

এমন প্রেক্ষাপটে ডাক বিভাগের অবকাঠামো ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে মার্কিন পোস্ট মাস্টার জেনারেল লুইস ডিজয় ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাকে কংগ্রেসে তলব করেছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতারা। এছাড়া গত ১৬ আগস্ট এক ঘোষণায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শিগগিরই প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন পেলোসি। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে দেশজুড়ে চিঠিপত্র বিলির গতি ইতোমধ্যেই যেভাবে কমে গেছে, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটকে ঘিরে ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। ডাক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জেরা করে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে চান তারা। প্রয়োজনে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে ডাক বিভাগের কাজে বিঘ্ন দূর করার কথাও ভাবছেন নেতারা। আইনি পথে ডাক বিভাগে কোনো রকম পরিবর্তন রোখার চেষ্টা করতে পারেন। বেশ কয়েকটি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এমন আভাস দিয়েছেন।