রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা ‘স্বপ্ন আহরণ’
স্বপ্ন আহরণ
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
প্রজাপতি তুমি একা একা ডানা মেলে উড়ে বেড়াও মধু আহরণে।
সারাবেলা তুমি শুধু বিচরণ করো ফুলে -ফলে।
আমিও সাথী হতে চাই তোমার সনে।।
তুমি যে আমার কত আপন
এ কথাটি কিন্তু তুমি রাখবে গোপন।
দিনমনি উঠবে যখন কাকডাকা ভোরে সবাই জাগবে তখন।
তোমার ডানায় ভর করে যাবো সেই মাধবী কুঞ্জে আর বন বিহারে।
আনবো মোরা দু”জনাতে
সঞ্চয়ী ভান্ডার পূর্ণ করতে।
বহতা নদীর স্রোত ধারায় মনটা চলে যায় কলকল পঙ্খীরাজ নৌকায়———
রাজযোটক বর বধুর রস ধারায়।
আনচান মন হয়ে ওঠে ব্যাকুল
অসময়ের আশ্বিনের ঘন বরষায়।
তুমি যদি হও কণ্ঠের সুর, আমি হবো ভৈরবীর তানপুরার সুরের প্রাণবন্ত রাগিণী।
মোলায়েম আঙ্গুলের স্পর্শে বাঁধবো দু”জনার এক প্রাণ হৃদয়ের পরশে।
মেঘমালা তার ইচ্ছে মতো এঁকে যায় ভালোবাসার বাসর।
মেঘের আঁকাবাঁকা পথে আমিই তোমায় খুঁজে নেবো নিবিড় ভালোবাসার আকর্ষণে।
পাখীরা কিচিরমিচির কলকাকলীতে ঘরে ফেরার জমালো আসর।
তখন গোধূলীর আকাশে ডুবন্ত সূর্য ——–সাগরের বুকে।
ঘুমিয়ে পরেছে বন বিতানের লতানো বিটপীলতা।
কুয়াশার আঁচলে ঢেকে আছে দূর্বা ঘাসের গালিচা।
আমার নয়নে জমানো শিশির জল দিয়ে প্রেমডোরের বাঁধনে বাঁধবো গভীর মায়ায়।
আমার আনন্দ বীণা বাজে মনের গভীরে।
তোমার – আমার টুকরো টুকরো সব স্বপ্ন আর ভালোবাসা দিয়ে
তৈরী হবে তাজমহল মনমন্দির।
প্রজাপতি তুমিও এসো কিন্তু ডানা মেলে আমাদের ভালোবাসার মধু আহরণে।।