সিলেটের বিশ্বনাথে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে আসামী করে মামলা
মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে:
সিলেটের বিশ্বনাথে দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খানসহ ১৫৫জন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বিশ্বনাথ থানার এসআই নুর হোসেন বাদি হয়ে উপজেলার দশঘর ইউপির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খানকে প্রধান আসামি করে ৩৫জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২০।
সরকারি কাজে বাঁধা, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জামাধি নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা, ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জামাধি বহনকারী পিকআপ গাড়ি ভাংচুর এবং হামলার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।। জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ নির্বাচনে ৩৮৫ ভোটের ব্যবধানে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী জবেদুর রহমানকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের এমাদ উদ্দিন খান। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান পান ৩ হাজার ১৬৬টি ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জবেদুর রহমান পান ২ হাজার ৭৮১টি ভোট।
এছাড়া ‘ঘোড়া’ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সামছু মিয়া লয়লুছ পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪১ ভোট, ‘আনারস’ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) আবুল হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৫০৬ ভোট ও ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে জাতীয় পার্টির মনোনীত আবদুল মন্নান পেয়েছেন ১২২ ভোট। ইউনিয়নের ১৪ হাজার ১১৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১০ হাজার ৫২৫ জন ভোটার। এর মধ্যে বাতিল ভোটের সংখ্যা ২০৯। শতকরা ভোট প্রয়োগের হার ৭৪.৫৫%।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটারদের সরব উপস্থিতিতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে ফলাফল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার মাছুখালী বাজারস্থ একটি কেন্দ্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জামাধি নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন উত্তেজিত ধানের শীষের প্রার্থীর সর্মথকরা। এসময় ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জামাধি বহনকারী পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ কয়েক ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।