প্রচ্ছদ

নজিরবিহীন নিরাপত্তা দেবে মার্কিন পুলিশ

  |  ১০:৩০, নভেম্বর ০৩, ২০২০
www.adarshabarta.com

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :

ভোটের মাঠে এবার নজিরবিহীন নিরাপত্তা দেবে মার্কিন পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন সম্ভাব্য সংঘাত ঠেকাতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির পুলিশ বিভাগ। ৩ নভেম্বর এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রস্তুত হচ্ছে পুলিশ।

কর্মকর্তাদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, উত্তেজনা ও সংঘাত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। সবাই ধরে নিচ্ছে এবারের নির্বাচন হতে যাচ্ছে তীব্র অনিশ্চয়তার। লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-প্রধান অ্যান্ড্রু ওয়ালশ বলেছেন, ‘আধুনিক সময়ে এমন কিছু আমরা দেখেছি বলে মনে হয় না।’ ওয়াশিংটন পোস্ট।

নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য সংঘাত ও উত্তেজনার আশঙ্কায় পুলিশ যেসব প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার মধ্যে আছে- পরিকল্পিত মহড়া, আগাম ভোটের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করা। এ ছাড়া যদি দ্রুত ভোটের ফল জানা না যায় বা ফলাফল নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয় তাহলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করা। আর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা।

নির্বাচনের পরিকল্পনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত কাজ। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছরের প্রস্তুতিতে অস্বাভাবিক তীব্রতা যোগ করতে হচ্ছে। কারণ দেশজুড়ে তীব্র উত্তেজনা, ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া আমেরিকার আধুনিক ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনের ফল নিয়ে সংঘাত বাধার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক কোটি মানুষ আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। তবে এই আগাম ভোটের প্রক্রিয়ায় উত্তেজনা তৈরি ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এসেছে অনেক।

এগুলো মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাস্তবায়ন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা নির্বাচনকেন্দ্রিক সময়কে তিনটি স্বতন্ত্র ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান অ্যান্ড্রু ওয়ালশ। প্রথমত, আগাম ভোটের সময়কাল। এ সময় প্রচুর মানুষের সমাগম হচ্ছে এবং বিভক্তি ও কোন্দলের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তারপর দ্বিতীয় হচ্ছে নির্বাচনের দিন। ওইদিনই সবচেয়ে বেশি ভিড় ও জমায়েত হবে। এই সুযোগে যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা বাধাতে না পারে সুযোগসন্ধানীরা, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে আসছে সবচেয়ে অনিশ্চয়তার সময়। আর তা হচ্ছে যদি নির্বাচনের ফলাফল বের হতে দেরি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপদের ঝুঁকি তৈরি হবে।

ওয়ালশ বলেন, আমরা জানি না এটি কত সময় নেবে বা কেমন হবে। পরিস্থিতি কেটে যাওয়া পর্যন্ত অস্থিরতার মধ্যে থাকতে হবে। এবার অবস্থা হচ্ছে, যিনিই জয়ী হোন না কেন, কিছু মানুষ খুশি হবে না। শিকাগোর পুলিশ সুপার ডেভিড ব্রাউন বলেন, ‘সিটি কর্মকর্তারা তিনটি কর্মপরিকল্পনা করেছেন এবং আরও একটি পরিকল্পনা করতে যাচ্ছেন। সেটি হলো : নির্বাচনের দিন যেমন পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন, আমরা যাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে মোকাবিলা করতে পারি। অন্য শহরগুলোও একই পরিকল্পনা নিচ্ছে। কী ঘটতে যাচ্ছে আমরা জানি না। দেশজুড়ে আমাদের সহকর্মীদের কাছ থেকে আমরা পরামর্শ নিচ্ছি যে, আমরা কী প্রত্যাশা করতে পারি।’