প্রচ্ছদ

জ্যানেট ইয়েলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন

  |  ১৬:৩৭, নভেম্বর ২৪, ২০২০
www.adarshabarta.com

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধি :

জ্যানেট ইয়েলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। তাকেই কেবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। জো বাইডেনের ট্রানজিশনাল টিমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাইডেনের ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন জ্যানেট ইয়েলেন। তিনি এর আগে দেশটির ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন, হস্তান্তর প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থার ‘যা করার প্রয়োজন করুক’। দেশটির জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিএসএ বলছে বাইডেনকে ‘আপাতত বিজয়ী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেন টিম ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

এদিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের বার্তা পাওয়ার পরই গত সোমবার রাতে কেবিনেটে কারা আসছেন, তাদের সম্ভাব্য নাম ঘোষণা করেছে বাইডেনের ট্রানজিশনাল টিম। জ্যানেট ইয়েলেনকে অর্থমন্ত্রী করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই পদে ২৩১ বছর ধরে চলা লিঙ্গবৈষম্য দূর হতে যাচ্ছে। ১৭৮৯ সালের বৈশ্বিক মন্দার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে লেবার মার্কেট বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হলেও এবারই প্রথম এই পদে নারীকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দূর করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন ইয়েলেন। করোনা পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা করের বোঝা থেকে সাধারণ নাগরিকদের বের করে এনে অর্থনীতিকে স্বাভাবিকীকরণের দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত হচ্ছে।

৭৪ বছর বয়সী ইয়েলেনের মনিটারি পলিসি নিয়ে ২০ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। তিনি ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। ২০১৮ সালে এই পদে তার মেয়াদ বাড়াননি ট্রাম্প।

জ্যানেট নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনোমিকসে পিএইচডি করেন। বিল ক্লিনটনের প্রশাসনে তিনি শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামী জর্জ অ্যাকারলফ অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী।