রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা “ঘর”
ঘর
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
নিজ ঘরে খেলা করি আপন মনে।
ঘরই আমায় আনন্দ দেয় ক্ষণে ক্ষণে।
মনের কোণে কানায় কানায় উপচে পরা
সুখের ভেলা।
নিরজনে আসো যখন থাকেনা কোন
দুঃখের মেলা।
পৃথিবী তুমি খেলা করো গোলক ধাধার মতো।
আমিও চলি তোমার সাথে সাথে
হৃদয়ে আনন্দ নিয়ে আছে সুখ যতো।
মনের কালিমা মুছে দিয়ে ঘরকেই
আপন ভাবি।
যখন যেমন রাখো তুমি
ঘরই আমার আঁচল গোঁজা রত্ন ভূমি।
সুখ যেমন আমার সাথী দুঃখ তেমনি
আমার হৃদয়ের বাতি।
সূর্যের কিরণে যেমন ঝলমলিয়ে উঠে পৃথিবী
তেমনি আমি উদ্ভাসিত হই নিরবধি।
আমি চন্দ্র সূর্যের অন্তরালে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করি।
তুমি আমায় ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করোনা।
আমি যে লতানো তরুলতার মতো।
আমি যে তোমায় ভর করে অনুভবে
আকাশচুম্বী।
কিন্তু কেনো এমন হয়? জানিনা, বুঝিনা।
তোমার ধূম্রজালের মায়ার গহ্বরে
নিকষ কালো অন্ধকারে বুকের রত্নকে
ছুড়ে দাও।
বিচলিত হয়ে উঠি, আবার তুমি চোখের কোণে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখাও।
ঝাপসা নয়নে ফিরে তাকাই সঙ্গোপনে
নিজ ঘরের পানে।
যতই ঝড়ের আভাস আসুক চাঁদের স্নিগ্ধ পরশে কলুষতা ধুয়ে মুছে উবে
যাবে সেই সূদুরে তোমার আমার পরম
ভালোবাসার যত্নে।