কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তিতে সম্মত ইইউ
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
নতুন একটি ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ছবি : রয়টার্স
নতুন একটি ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্মত হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি মডার্না উৎপাদিত ১৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয়ের মধ্য দিয়ে ইইউ তাদের কোভিড-১৯ মোকাবিলার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সক্ষম হবে।
উরসুলা ভন ডের লেন বলেন, ‘শুধু একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন এ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সমাধান দিতে পারে।’
ইউরোপীয় বাজারে কোনো ভ্যাকসিন ছাড়ার আগে এ নিরাপত্তা এবং কার্যক্ষমতার নিশ্চিতে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি অনুমোদন নিতে হবে। খবর ইউএনবির।
মডার্নার ভ্যাকসিন ছাড়াও অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সানোফি-জিএসকে, জ্যানসেন ফার্মাসিউটিকা এনভি, বায়োএনটেক-ফাইজার এবং কিউরভ্যাকের ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য চুক্তি করেছে ইইউ।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা মোট ছয় কোটি দুই লাখ ৭৬ হাজার ৯৫১ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৭ জন।
জেএইচইউর পরিসংখ্যান বলছে – এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে তিন কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫২ ব্যক্তি।
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনা শনাক্তের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যু।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত এক কোটি ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ৯১৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং দুই লাখ ৬২ হাজার ১৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৯২ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬১ লাখ ১৮ হাজার ৭০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ১১৫ জনের।