পঞ্চাশে পা রেখেছি আমিই বাংলাদেশ
:: তানিজা খানম জেরিন ::
গতকাল ষোলই ডিসেম্বর ২০২০ আমার উনপঞ্চাশতম বিজয় বার্ষিকী বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বব্যাপী মহা সাড়ম্বরে পালিত হলো আজ আমি সগৌরবে পঞ্চাশে পা রাখলাম। আমি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে গত উনপঞ্চাশ বছরের সারসংক্ষেপ ইতিহাস নিজের জবানিতেই তুলে ধরছি। ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের আমার ভূখণ্ডটি নয়মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে প্রায় দুইলাখ অকুতোভয় প্রিয় মাতৃভূমির জন্য প্রাণ উৎসর্গিত আমার শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা যখনই বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই মাত্র চৌদ্দ দিনের জন্য যুদ্ধটা হয়ে গেলো ত্রিপক্ষীয় যার ফলশ্রুতিতে যৌথভাবে বিজয়ী হলো দুটি দেশ বাংলাদেশ ও ভারত; এটা অনস্বীকার্য বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রটির অফুরন্ত আশ্রয় ও সহযোগিতা না পেলে আমার অভ্যুদয় বা স্বাধীনভাবে বিজয়ী হতে আরো সময় লাগতো; দু:খ হলো ত্রিদেশীয় যুদ্ধের ফলে এবং পাকবাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করায় আমার ঐতিহাসিক বিজয়ের কালজয়ী নজীর সৃষ্টিকারী আইকন হতে পারলাম না। ফরাসী বিপ্লব বা আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের যে মাইলফলক ইতিহাস রয়েছে আমি ঠিক অনুরূপ বিশ্বের ইতিহাসে ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে স্হান এবং নজীর স্হাপন করতে পারি নাই। আফসোস গত উনপঞ্চাশ বছরেও আমার জন্য প্রাণ বিসর্জনকারী এবং আমার এই ভূখণ্ডটি স্বাধীন করার জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিল তাদের সঠিক সংখ্যা ও সঠিক তালিকা করতে পারেনি। আরো দু:খের বিষয় যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও ভূয়া সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে অনেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অসীন হয়েছেন। উনপঞ্চাশ বছর পরও শুনতে হয় যাদের বয়স পঞ্চাশের কম তেমন দুই হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। আমার বিরোধীতাকারী অনেকের বিচার হয়েছে তবুও আক্ষেপ গত উনপঞ্চাশ বছরেও পাকবাহিনীর দোসর যারা আমার ভূখণ্ডেই বসবাস করে তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে পারিনি; সবাইকে আনতে পারিনি বিচারের আওতায়।
পঞ্চাশে পা রেখেছি আমিই বাংলাদেশ। উনপঞ্চাশ বছর আগে আমার ভূখণ্ডটি মুক্তকরার জন্য যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমি স্বাধীন হয়েছি এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি গুলি বাহাত্তরের সংবিধানে সন্নিবেশিত ছিল- গত উনপঞ্চাশ বছরে দেড়ডজন কাটাকুটির পর মৌলিক নীতিমালা থেকে রাষ্ট্র সরে এসেছে। আমি ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের একটি স্বাধীন ভূখণ্ড এই ভূখণ্ডে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবাই বসবাস করবে কিন্তু আমার ললাটে সেঁটে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। আমি স্বাধীন সার্বভৌম লাল সবুজের পতাকাবাহী একটি ভূখণ্ড আমিতো সকল ধর্মের বা যারা ধর্ম পালন না করে সবারই আবাসস্হল আমার রাষ্ট্রের গায়ে কেন ধর্মীয় লেবাস লাগানো হলো এটা নিয়ে প্রতিক্ষণই আমি সংশয়ে থাকি। গত উনপঞ্চাশ বছরে আমার এই ভূখন্ডে দুই/তিন রকমের সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে; বস্তুত সব সরকারই ছিল এককেন্দ্রিক এবং জবাবদিহীতার বাইরে। আমার ভূখণ্ডে জনগণের ভোটাধিকার আজ মূল্যহীন অথচ আমাকে মুক্ত করার জন্য পাঁচদশক আগে সর্বপ্রথমই ছিল ভোটের লড়াই। গত পাঁচদশক আগে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ভোটাধিকার সাম্য ও ধর্মনিরপেক্ষতা, ন্যায়বিচার রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে শোষনমুক্ত, লাঞ্ছনা বঞ্চনা নির্মূলকরার জন্য যে স্বাধীনতার যুদ্ধটা শুরু-হয়েছিল এবং নয়মাস পরে আমার ভূখণ্ডটি মুক্ত হয়েছিল বাস্তবে গত উনপঞ্চাশ বছরেও এ ভূখণ্ডটি নিজের জনগণ দ্বারা শুধু শাসিত হয়েছে বিরাট কোন মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। হয়তো কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই তথৈবচ: আমার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল ভূখণ্ডে সত্য বলার লোক খুবই কম রুচির দুর্ভিক্ষতো লেগেই আছে। আমার এক শ্রেষ্ঠ সন্তান শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকে বিশ্বে বাহবা কুড়িয়েছিলেন তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো “ রুচির দুর্ভিক্ষের” ছবি এঁকে বিশ্বে আরো সুনাম অর্জন করতো। আরেক পটুয়াশিল্পী কামরুল হাসান ‘জল্লাদ’বা ‘বিশ্ববেহায়ার’ ছবি এঁকে যে সুনাম কুডিয়েছেন তারচেয়েও অধিক সুনাম কুঁড়াতেন ‘আমরা সবাই সত্য বলিনা’ বা ‘পদলেহী বুদ্ধিজীবির’ পোষ্টার এঁকে আরো বেশী সুনাম কুডাতেন; আমার স্বাধীন ভূখণ্ডে তেলমর্দন এবং জ্বী হুজুরে সয়লাব হয়ে গেছে।
পঞ্চাশে পা রেখেছি আমিই বাংলাদেশ। গত উনপঞ্চাশ বছর ধরে আমার উন্নয়ন এবং আমার দেশের জনগণের জন্য প্রতিটি সরকারই বাজেট দিয়ে আসছে এবং নিয়ম অনুসারে বাজেটের এক তৃতীয়াংশ আমার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ থাকে। আমি হলফ করে বলতে পারি গত উনপঞ্চাশ বছরে উন্নয়ন বাজেটের অর্ধেকও যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হতো তাহলে আমার দেশের উন্নয়নের চেহারা আরো ঝকঝকে হতো। প্রতি বছর মে-জুন মাস আসলেই উদ্বোধন এবং ফলক উন্মোচনের হিড়িক পরে যায়; কিন্তু সারা বছরে কাজের অগ্রগতি দশ-বিশ% বেশী হয়না। বলতে লজ্জা হয় আমার উন্নয়ন কর্মে রডের বদলে বাঁশও ব্যবহৃত হয়। অতিনিম্নমানের কাজ করাতে উদ্বোধনের পূর্বেই স্হাপনা ভেঙ্গে পড়ার অনেক ইতিহাস এ ভূখণ্ডে ঘটেছে। উনপঞ্চাশ বছর পর আমার ভূখণ্ডের জনগণ নিজস্ব অর্থায়নে একটি সেতু নির্মাণ করায় পুরো জাতি কড়তালি মুখর যদিও সেতু নির্মাণে আড়াই পার্সেন্ট সুদে বিদেশী ঋণ অন্তর্ভূক্ত আছে তবু যাই হোক আমার ভূখণ্ডের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির জন্য আগামী অর্ধশতকে আরো এরকম ডজন খানেক সেতু নির্মাণ করতে হবে। যেমন যমুনা নদীর উপরে কমপক্ষে চারটি, পদ্মাতে আরেকটি এবং মেঘনাতে আরো কয়েকটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প বর্তমানেই নিতে হবে।
পঞ্চাশে পা রেখেছি আমিই বাংলাদেশ। গত উনপঞ্চাশ বছর আগে আমার ভূখণ্ডটি দখলদার মুক্ত করতে পাকবাহিনী ও তার দোসরদের হাতে সভ্রম হারিয়েছিল প্রায় দুই লক্ষ নারী আশ্চর্যের বিষয় গত উনপঞ্চাশ বছরে এই স্বাধীন ভূখণ্ডে সভ্রম বা ধর্ষিত হয়েছেন সমপরিমান নারী এবং এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন অর্ধলক্ষাধিক নারী। গত উনপঞ্চাশ বছরে এই ভূখণ্ডের জনগণ একটা বিষয়ে আসক্ত হয়ে পড়েছে সেটা হলো সরকারী বেসরকারী হাটে মাঠে ঘাটে সর্বত্রই দুর্নীতি। সৎ সাহস করে এই ভূখণ্ডের কোন জনগণই বলতে পারবেনা অমুক অফিসে গিয়ে তুমুক ফাইলটা বিনা উৎকোচে নাড়াতে পেরেছে এবং শুধুই দু:খ এই ভূখণ্ডের মানুষকে অনেক ভালোবাসা সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে লালন পালন করার পরও বিদেশে টাকা পাচার করে দেশান্তরী হয়ে যায়। অবশ্য বিভিন্ন কারণে গত উনপঞ্চাশ বছরে দেশ ত্যাগের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিমাণ ১৯ থেকে ৯এ নেমে এসেছে। গত সাত/আট বছরে ছয়লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে যা দিয়ে সরকারের দুইটা বাজেট দেওয়া যেতো বা একডজন পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেতো। উল্লখ্য গত উনপঞ্চাশ বছরে এ ভূখণ্ডের ঋণের পরিমাণ সাড়ে তেরো লাখ হাজার কোটি টাকা বা জিডিপির পঞ্চাশ শতাংশ এবং প্রতিজনের মাথায় আশি হাজার টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে। চরম সত্য হলো গত উনপঞ্চাশ বছর যাবতই সর্বক্ষমতাসীন দল বাকস্বাধীনতা ষোলআনা ভোগ করেছে শুধু ভিন্নমত বা বিরোধীদল চারআনা বলতে পেরেছে এর বেশি বললেই দুদকের খড়গ বা হামলা মামলা হয়রানির শিকার হয়েছেন।
পঞ্চাশে পা রেখেছি আমিই বাংলাদেশ। গত উনপঞ্চাশ বছরে আমার ভূখণ্ডে ফি বছর বন্যা অনেক এলাকায় ছিল মন্দা, খরা, দুর্ভিক্ষ মাঝেমধ্য হানা দেয়; সাইক্লোন জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ কেড়ে নেয় কয়েক লাখ মানুষের, দিনদিন বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, শুধু হয় দলীয় কর্মসংস্হান বা উৎকোচের বিনিময়ে, অনেকে বদলী হতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করেন। অনেক বছর ঘটছে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা, যুবসমাজ আসক্ত হয়েছে হিরোইন, ফেনসিডিল ও ইয়াবায়। বিনাবিচারে আটক, হত্যা, গুম, রাহাজানী, চুরি-ডাকাতি, মলমপার্টি ও ছিনতাই বছর বছর কম-বেশি ঘটেই চলছে। থেমে নেই আমার ভূখণ্ডে খাসজমি, নদী-খাল, বন-পাহাড় অবৈধ দখল। আদম পাচার, টাকা পাচার, মাছ পাচার, চামড়া পাচার কোন কালেই কম ছিলনা। বলতে লজ্জা লাগে ত্রাণ চুরিতেও আমার সন্তানেরা পিছিয়ে নেই; ভয় হয় করোনার ভ্যাকসিন সুষ্ঠু বন্টন না হয়ে হয়তোবা আগামী ছয়মাস পর কোন স্হানীয় জনপ্রতিনিধির খাটের তলায় পাওয়া যাবে পাঁচশো ভ্যাকসিন ! চাল, গম, টিন, তেলতো অহরহই পাওয়া যায়। দু:খ হয় আমার বিজয়ের ঠিক দু’দিন আগে আমার বিনির্মাণের কারিগর স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হাজার খানেক বুদ্ধিজীবিকে পাক সেনাবাহিনীর দোসররা নির্মমভাবে হত্যা করে। গত উনপঞ্চাশ বছরেও আমার সেই অভাব সর্বতোভাবে পূরণ হয়নি। আজ আমি বিশ্বে ও এশিয়ার মধো চিন্তা-চেতনায়, আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে সর্ব পিছনে পরে রয়েছি। বুদ্ধিজীবি মহল বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হয় তোষামোদকারী বা মেধা নিয়ে হয়ে যায় দেশান্তরী। সুখ স্মৃতি হলো স্বৈরাচার হঠাও আন্দোলনেই এক কাতারে পেয়েছিলাম অনেককে। আমার উন্নয়নে যারা সুচিন্তা করে, মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন, টেকসই কোন পরিকল্পনাকারী যদি না দলীয় আনুগত্য না থাকে সর্ব সরকারের আমলেই হয়রানীর শিকার বা রোষানলে পরতে হয়। চরম সত্য হলো আমার মাটির সন্তান প্রায় এক কোটি প্রবাসী, অভিবাসীর অর্থানুকুল্যই আমার কিছুটা ঝকঝকে অবস্হা বা টিকে রয়েছি। আমি প্রচণ্ড শরমিন্দা রেলওয়ে, বিমান, পাটকলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানকে গত উনপঞ্চাশ বছরেও লাভজনক করতে পারিনি। খুবই দু:খ হয় গত চার যুগেও আমার জনগণের চাহিদা মতো পিঁয়াজ আলু, অনেক মশলাপাতি উৎপাদন করতে পারিনি। স্বনির্ভরতার কোন শ্লোগান এই জনপদে আর নাই। আমি লজ্জিত প্রায় অর্ধশতকেও আমার ভূখণ্ডে সকল জনগণের জন্য বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সুপেয় পানি, বিদুৎসেবা পরিপূর্ণভাবে দিতে পারিনি।
পঞ্চাশে পা দিয়েছি আমিই বাংলাদেশ। গত উনপঞ্চাশ বছরে আমার জনপদে অগণিত ঘটনা ঘটেছে এক জবানিতেই সমস্ত সারসংক্ষেপ বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আমার ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে অনন্তকাল এগিয়ে যাবো। আমার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল ভূখণ্ডে গত উনপঞ্চাশ বছরে প্রায় ছয় হাজার ভাস্কর্য নির্মাণ হয়েছে এবং বিদ্যমান আছে। অহেতুক ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক আমার একেবারেই না পছন্দ কিন্তু আমার ধর্মীয় লেবাসটা বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লেবাসটি সেঁটে দিলেই এই বিতর্কের অবসান হবে। আমি বাংলদেশ খুবই আশাবাদী আমার এই ভূখণ্ডের জনগণ সুশাসন, সুষম উন্নয়ন, সঠিক ন্যায়বিচার, সম-অধিকার প্রাপ্তিতে আরো সোচ্চার হবে। হত দরিদ্র উন্নয়নশীল অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের জন্য কল্যাণকর ও মানবিক রাষ্ট্রগঠনে বিজয়ের পঞ্চাশতম বছরটি কাজে লাগাবে; গ্রহণ করবে সুদূর প্রসারী টেকসই দৃঢ় উন্নয়ন দশক মেগা পরিকল্পনা- মাতৃভূমির সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন, বিনির্মণে একাত্তরের ন্যায় নতুন করে এই ভূখণ্ডের আমার মাটির সন্তানেরা হানাহানি ও বৈরিতা-বিদ্বেষ ভুলে শপথ নিবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার নিশ্চিত করা, দুর্নীতি প্রতিরোধ, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত. লাঞ্ছনা বঞ্চনা নিরোধ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম-অধিকার বাস্তবায়নসহ নতুন প্রত্যয়ে নতুন শপথে এই মাতৃভূমির উন্নয়ন।
লেখক: নিউ ইয়র্ক, আমেরিকায় বসবাস করছেন।