ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে তৃতীয় বারের মত জাতীয় লকডাউন ঘোষণা
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসের অস্বাভাবিক সংক্রমন বৃদ্ধির কারনে তৃতীয় বারের মত জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আজ (সোমবার) রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে আগামী ৬ সপ্তাহের জন্য অর্থাৎ মধ্য ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকালে স্কটল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণা করেন সেখানকার ফাস্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেওন।
এর ফলে স্কুল, কলেজসহ অপ্রয়োজনীয় পন্যের দোকান এখনো যা চালু ছিলো তা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
এই বিস্তারিত আইনী ব্যাখা আগামী কাল মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে। তবে নতুন ঘোষণায় যা রয়েছে তার সারমর্ম হচ্ছে সকল স্কুল আগামী হাফটার্ম (ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নার্সারি এবং স্পেশ্যাল স্কুল চালু থাকবে।
শিশুরা বাবা-মা উভয়কে দেখতে পারবে, যদি তারা আলাদা থাকেন।
বয়স্কদের ঘরে বা শেল্টার হাউজে থাকতে বলা হয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় সকল প্রকার পণ্যের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। মাদকজাতীয় পণ্য টেইকয়ে দেয়া যাবে না।
আইন অমান্য করলে ২০০ থেকে ১০হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
বিয়ে এবং ফিউনারেল সার্ভিস পূর্বে টায়ার ৪ আইন অনুযায়ী চলবে।
ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারী পূর্বে হলে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে।
আউট ডোর স্পোর্ট ভেন্যু বন্ধ থাকবে, তবে প্লেগ্রাউন্ড চালু থাকবে।
শরীর চর্চার জন্য বাইরে যাওয়া যাবে, মাত্র এক জনের সাথে দেখা করা যাবে।
সাপোর্ট এবং চাইল্ড কেয়ার বাবল অব্যাহত থাকবে।
জরুরী ছাড়া বিদেশ সফর নিষেধ করা হয়েছে।
স্কুল মিল ভাউচার অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সরকারের একটি সূত্র গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে যে, প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা এ্যালার্ট লেবেল ৫ স্তরে উন্নীত করার জন্য সুপারিশ করেছেন, এর অর্থ হলো, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অভূতপর্ব চাপ সৃষ্টি, যা মোকাবেলা করতে হলে চুড়ান্ত পর্যায়ের সোশ্যাল ডিসটেনসিং কার্যকর করতে হবে।
যুক্তরাজ্যভূক্ত চারটি দেশ – ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস এর চীফ মেডিক্যাল অফিসারদের এক যৌথসভা থেকে সরকারের প্রতি এই সুপারিশ করা হয়।
স্কটল্যান্ড এর ফাস্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেওন আজ মধ্যরাত থেকে সেখানে নতুন লকডাউন ঘোষনা করে বলেছেন, গত বছরের মার্চের চেয়ে পরিস্থিতি এবার অনেক ভয়াবহ। স্কটল্যান্ডের অধিকাংশ স্কুলই ১ ফেব্রুয়ারারী পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।