আহলান ও সাহলান শাহরুন আজিম, শাহরুন মোবারক ২০২১
মোহাম্মদ মখলিছুর রহমান :
আগামী কাল মঙ্গলবার থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ , আমেরিকাতে এবং বুধবার থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় পবিত্র রামাদান মাস আরম্ব হবে। গত রামাদান থেকে এই রামাদান পর্যন্ত পৃথিবীতে শুধু করোনাতেই মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ। আমরা এখনো বেঁচে আছি। সুতরাং আমাদের উচিত হবে এই রমজানের প্রতিটি মুহূুর্ত কাজে লাগানো।
আমরা জানি রামাদান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। রহমত, মাগফেরাত, ও দোযখ থেকে মুক্তির মাস। কোরআন নাযিলের মাস, লাইলাতুল কদরের মাস। আমাদের জন্য বিশেষ বোনাস মাস। আগেকার সলফে সালেহীনরা ৬ মাস আগ থেকে রামাদানের জন্য অপেক্ষা করতেন। সুতরাং আমাদেরকে প্ল্যান করতে হবে কিভাবে রামাদানকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যায়।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হলো রোজা। যা প্রত্যেকে প্রাপ্ত বয়স্ক নর নারীর উপর ফরজ। দ্বিতীয় হিজরী থেকে এই রোজা মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়। কেউ যদি সিয়ামের বাধ্যতামূলক হওয়াকে অস্বীকার করে, তবে সে মুসলিম থাকেনা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যাতে তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারো”।
(সুরা ২ আয়াতঃ ১৮৩)।
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَفَلْيَصُمْهُ
“রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে।“ (সুরা ২ আয়াতঃ ১৮৫)।
রোযা রাখার অর্থ হচ্ছে তাকওয়া বা পরহেজগারী অর্জন করা। মূলত সকল ধর্মীয় কাজ এবং তাওহীদ হচ্ছে তাকওয়া অর্জনের পদ্ধতি। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
“হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর, যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন। তাতে আশা করা যায়, তোমরা পরহেযগারী অর্জনকরতে পারবে।“
(সুরা ২ আয়াতঃ ২১)
হজরত সালমান ফারসি(রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা সাবান মাসের শেষ দিনে রসুল(সঃ) আমাদের উদ্দেশ্যে একটি ভাষন দিলেন, হুজুর (সঃ) বল্লেন–
“হে মানব মন্ডলী তোমাদের উপরে ছায়া বিস্তার করছে একটি মহান মুবারক মাস। এ মাসে একটি রাত আছে যেটা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসের রোযাকে আল্লাহ ফরয করেছেন। আবার রাত জেগে নামাজ পড়াকে করেছেন নফল। যে ব্যাক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এমাসে একটি নফল কাজ করবে সে ঐ ব্যাক্তির সমতুল্য হবে যে অন্য মাসে একটি ফরজ কাজি করল। আবার যে এই মাসে একটি ফরজ কাজ করবে সে ঐ ব্যাক্তির সমতুল্য হবে যে অন্যমাসে সত্তরটি ফরজ কাজ করলো। এটা হলো সবরের মাস আর সবরের প্রতিদান হল জান্নাত। এটা হলো পরস্পরের সহানুভুতি প্রদর্শনের মাস। এটা হলো সেই মাস যে মাসে মুমিনের রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মাসে কেউ যদি কোন রেজারারকে ইফতার করায়। তাহলে তার গুনাহমাফ করা হবে এবং তাকে জাহান্নাম থেকে বাচানো হবে। আবার রোজাদার ব্যাক্তির ন্যায় তাকে সওয়াব দেওয়া হবে আর একারনে রোযাদার ব্যাক্তির সওয়াব হতে কিছু কমানো হবেনা“ (দাওয়াতুল কবির, বায়হাকি)।
রোজা রাখার ফজিলত:
এ মাসের সিয়াম পালন জান্নাত লাভের একটি মাধ্যম –
# নবী করিম (সঃ) বলেন : যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনল, সালাত কায়েমকরল, যাকাত আদায় করল, রমজান মাসে সিয়াম পালন করল তার জন্য আল্লাহর উপর সে বান্দার অধিকার হল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া (বুখারী)।
# নবী করিম (সঃ) বলেন : “যে ঈমানের সহকারে সোয়াবের আশায় রামাদানের সিয়াম পালনকরল তার অতীতের সকল গুনা মাফ করে দেওয়া হবে” (বুখারী মুসলিম)
# হজতর আবূহুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত নবী করিম (সঃ) বলেছেন –
” যখন রামাদান মাস আসে বেহেস্তের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শয়তানকে শিকলে বন্দি করা হয় ”(বুখারী ,মুসলিম)।
# সাহাল ইবনে সাআদ (রাঃ) হতে বির্ণিত রাসুল্লুল্লাহ সঃ বলেছেন :
বেহেস্তের আটটি দরজা আছে। এগুলোর একটির নাম রাইয়্যান। এ দিয়ে শুধু রোযাদারই প্রবেশ করবেন”। (বুখারী মুসলিম)।
রামাদানে আমাদের করনীয় :
১. রোযা রাখা :
রোযা রাখা রামাদানের আসল ইবাদত। শরীয়তের দেওয়া বিশেষ ওজর ছাড়া আপনাকে রোযারাখতেই হবে। ইচ্ছা করে যদি একটি রোযা কাজ্বা করেন তবে সারা জীবন রোযা রাখলেও তা পূরণ হবেনা।
বোখারী এবং মুসলিম শরিফে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
“আল্লাহ সুবাহানাহু তা্যালা বলেছেনঃ আদম সন্তানের সকল ইবাদত তার নিজের জন্য শুধুমাত্র রোযা ব্যতিত। রোযা আমার জন্য আমি নিজেই এর প্রতিদান দিবো।“
হজরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত
রাসুলুল্লা (সঃ) বলেছেন : রমযানের সর্বশেষ রাতে আল্লাহ রোজাদারের গুনাহ মাফ করে দেন।তাকে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহ রাসুল! এটা কি কদরের রাত্রের কথা বলছেন? তিনি উত্তরদেন না। তবে শ্রমিককে তার কাজ শেষে পুর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। (আহমদ)।
২. সেহরি খাওয়া :
সেহরি বা সুহুর খাওয়া সুন্নত।
হজরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন :
” তোমরা শেষ রাতে খাবার খাও তাতে বরকত রয়েছে “।
ইংল্যান্ডে অনেক লম্বা দিন, তাই সবাইকে শেষের দিকে বেশি করে পানি খেতে হবে।
৩. ইফতার করা :
সুন্নত হলো আজানের সাথে সাথে ইফতার করা । রাসূলুল্লা সঃ নরম খেজুর নিয়ে ইফতার করেছেন , যদি নরম খেজুর না থাকে। তবে শুকনা খেজুর দিয়ে ইফতার করবেন। খেজুর না থাকলে পানি দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। রাসূল (সঃ) খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করে মাগরিব পড়ে পরবর্তীতে আস্তে ধীরে খেতেন।
লন্ডনে আমরা অনেকেই অনেকগুলা আইটেম নিয়ে ইফতার করে থাকি। সেজন্য আমাদের মহিলারা আছরের পর থেকেই ইফতার তৈরি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এইবার আইটেম একটু কমিয়ে মহিলাদের আমল করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ইস্ট লন্ডন মসজিদের খতিব সবাইকে অনুরোধ করেছেন। তৈলাক্ত, পুড়া খাদ্য ইফতারে না খেয়ে স্বাস্থ্যকর ফলমূল খাওয়ার জন্য সবাইকে আহব্বান করেছেন ।
ইফতারের দুয়া হলো দুইটি :
اللهم صمت لك بك وآمنت علي رزقك وأفطرت
“হে আল্লাহ আমি কেবলমাত্র তুমার জন্যই রোযা রেখেছি এবং কেবলমাত্র তুমার প্রদত্ব রিজিক দিয়েই ইফতার করছি “)(আবুদাউদ )
ذهب الظمأ وابتلت العروق، وثبت الأجر إن شاء الله
পিপাসা দূর হয়েছে, খাদ্য নালী সিক্ত হয়েছে এবং পরিশ্রমিক অর্জিত হয়েছে ইনশাআল্লাহ (আবুদাউদ )।
৪. কিয়ামুল লাইল :
রামাদানের রাতের গুরুত্বপূর্ন ইবাদত হলো কিয়ামুল লাইল (তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ)।
নবী করিম (সঃ) বলেছেন :
যে ব্যক্তি ঈমানসহ ও ছওয়াবের আশায় রামাযানের ৱাতে নামাজে দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ তার জীবনের সমুস্ত গুনাহ মাফ করে দেন (বুখারী )”।
৫. কুরআন তেলায়াত করা :
রামাদানের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল কুরআন তেলাওয়াত করা। রামাদানে জিব্রিল (আঃ) প্রতিদিন এসে রাসূল (সঃ) কে কুরআন তেলায়াওয়াত করে শুনাতেন ও রাসূল (সঃ) জিব্রিলকে শুনাতেন। পারলে বেশি না হয় কমপক্ষে এক খতম দিবেন। যেহেতু রামাদান কুরআন নাজিলের মাস তাই কুরআনের সাথে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রাখতে হবে।
৬. দান করা :
রামাদানে বেশি করে দান করতে হবে। যেহেতু একটি আমল ৭০ থেকে ৭০০ পর্যন্ত সওয়াব দেওয়া হয় তাই বেশি করে দান করতে হবে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত :
রাসূলুল্লাহ (সঃ) এমনিতেই সর্বাধিক দানকারী ছিলেন। কিন্তু তিনি রামাদানে জিবরীল (আঃ) এর সাথে সাক্ষাতের পর প্রবাহমান বাতাসের মতো উন্মুক্ত হস্ত ও অধিকতর দাতা হয়ে যেতেন।
৭. উমরা করা :
যাদের সামর্থ্য আছে যদি সমম্ভ হয় রামাদানে উমরা করবেন। রাসূলুল্লা (সঃ) বলেছেন – রামাদানের উমরা উনার সাথে হজ্জ্ব করার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।
৮. শেষ দশ দিনকে গুরুত্ব দেওয়া :
হজরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত:
“রমজানের শেষ দশক শুরু হলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) কদরের রাত লাভের উদ্দ্যেশে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতেন, রাত্রি জাগরণ করতেন নিজ পরিবারকে জাগাতেন।“
হজরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সঃ) রামাদানের শেষ দশকে এতো বেশি পরিশ্রম ও এবাদত করতেন যা অন্য সময়করতেন না। তিনি রমজানের শেষ দশকে এমন কিছু নেক কাজের জন্য নির্দিষ্ট করতেন যা মাসের অবশিষ্ট্যাংশের জন্য করতেন না। এর মধ্যে রাত্রি জাগরণ অন্যতম।”
৯. লাইলাতুল কদর খোঁজা :
রামাদানের বিশেষ গুরুত্ব হলো লাইলাতুল কদর। আমরা সবাই জানি কদরের রাত হাজার মাসের চাইতে উত্তম। সে জন্য দিনটি নির্দিষ্ট নয়। আপনাকে এই রাতকে খোঁজতে হবে রামাদানের শেষ দশ দিনে। বিশেষ করে শেষ ১০ দিনের বিজুড় রাতে। হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন : যে কদরের রাত্রে ঈমান ও সোয়াবের নিওতে নামাজ পড়ে তার অতীতের সকল গুনা মাফ করে দেওয়া হয় ।‘(বুখারী ও মুসলিম)।
১০. ইতেকাফ করা :
হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ (সঃ) রমজানের ১০ দিন এতেকাফ করতেনকিন্তু ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন এতেকাফ করেন।
আলী বিন হুসাইন নিজ পিতা থেকে বর্ণনা করেন : রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন : যে ব্যাক্তি রামাদানে ১০ দিন এতেকাফ করে, তা দুই হজ ও উমরার সমান সওয়াব (বায়হাকী)।
১১. দাওয়াতী কাজ করা :
রামাদান যেহেতু ইবাদতের বেস্ট মওসুম সেহেতু আমাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেছেন :
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
“ঐ ব্যক্তির চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, নেক আমল করলো এবং ঘোষণা করল আমি একজন মুসলমান“(41:33)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদিস রাসূলুল্লাহ সঃ হজরত আলী রাঃ কে বলেছেন – “হে আলী একজন মানুষকে হেদায়ত করতে পারা দুনিয়ার সর্বোত্তম নিয়ামত।“
১২. সব সময় দুয়া করা :
আবুদাউদ ও তিরমিজির হাদিস-“দুয়া হলো একটি ইবাদত”।
সব সময় জিকির ও দুয়াতে থাকা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, জান্নাতের আশা করা।
সর্বশেষ হলো আপনি রামাদান পেলেন ও গুনাহ মাফ করতে পারলেননা। আপনি বরবাদ বা ধংস হয়ে যাবার জন্য জিব্রিল (আঃ) দুয়া করেছেন ও নবী করিম (সঃ) আমিন বলেছেন ।
রোজা কবুল হওয়ার শর্ত :
রোজার বরকতময় সওয়াব ও পুরস্কার হাসিলের জন্য নিম্নুক্ত শর্তাবলী পূরণ করা আবশ্যক :
১. শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র আল্লাহ কে খুশি করার জন্য রোজা পালন করতে হবে। মনের মধ্যেলোক দেখানোর ইচ্ছা বা অপরকে শুনানোর কোন ক্ষুদ্র অনুভূতি থাকতে পারবেনা।
২. রোজা রাখা, সেহরি, ইফতার, তারাবীহসহ সকল আমল রাসূল সঃ এর সুন্নত তরিকায় হতে হবে।
৩. রোজা অবস্থায় যেভাবে খাওয়া দাওয়া ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকা হয়।
ঠিক সেই ভাবে মিথ্যা, প্রতারণা, সুদ, ঘুষ, অশ্লীলতা, ধুকাবাজি ও ঝগড়া বিবাদ সহ যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. চুখ, কান, জিব্বা ও হাত পা সকল ইন্দ্রিয়কে অন্যায় কাজ থেকে হেফাজতে রাখতে হবে।
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে ৰর্ণিত
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন:
“যে ব্যাক্তি মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা কাজ করা পরিত্যাগ করতে পারলনা, তার খানা পিনা ত্যাগ করায় (রোযা রাখার) আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। (বোখারি)।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে সে যেন অশ্লীল আচরণ ও চেচামেচি করা থেকে বিরত থাকে . যদি কেহ তাকে গালি দেয় বা মারমূখী হয়ে আসে তবে সেযেন বলে আমিরোজাদার। (মুসলিম )।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন:
“এমন অনেক রোজাদার আছে যার রোজা থেকে প্রাপ্তি হচ্ছে শুধুমাত্র ক্ষুধা ও তৃস্না। তেমনি কিছু নামাজী আছে যাদের নামাজ কোন নামাজই হচ্ছেনা। শুধু যেন রাত জাগছে“। (আহমদ)।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই রামাদান পর্যন্ত হায়াত দিয়ে, ও সঠিক আমলের মাধ্যমে পরহেজগারি অর্জনের পথকে সুগম করে দিন।
আমিন।
লন্ডন, ইউকে
১২ এপ্রিল ২০২১