প্রচ্ছদ

স্বর্ণালী দিনের জীবন ডায়েরী

  |  ১৭:৩৪, এপ্রিল ২৪, ২০২১
www.adarshabarta.com

:: সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী ::

আমার ছোটোবেলা কাটে প্রথমে গাঁয়ের বাড়ি সিলেট- এর বিশ্বনাথ উপজেলার চাঁন্দভরাঙ্গে।এরপর কাটে সিলেট শহরের ধোপাদীঘির পূর্ব পাড়ে। প্রথমে আব্বা ভর্তি করে দেন প্রাইমারীতে। নাইওরপুল ইশকুলে। বাসার কাছাকাছি। আমার বোন হাসিনা চৌধুরী (বেবী) ও আমি এক সাথে পড়ি। এক সাথে ইশকুলে যাওয়া- আসা। ভাই বোন আমরা একসাথে বেড়ে ওঠি। রাতে পাশাপাশি টেবিলে দু’জনে পড়ায় সময় কাটে। দুুপুরে ও রাতে ছোট ভাই বোনদের নিয়ে বাবা মায়ের সাথে খাবার টেবিলে আনন্দ করে খাওয়া দাওয়া। বিকেলে বাসার মাঠে পাড়ার সমবয়সীদের নিয়ে খেলার রঙিন সময়। চতুর্থ শ্রণীতে ওঠার পর আব্বা আমাকে সিলেট সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। আমার বড় ভাই আনোয়ার আহমদ চৌধুরী (রুমি) তখন এই ইশকুলে পড়েন। দুই ভাই একসাথে ইশকুলে যাওয়া আাসা করি। বোন হাসিনাকে ভর্তি করে দেন সিলেট সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।

১৯৭১ সাল শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধ। আমারা চলে যাই গাঁয়ের বাড়ি চাঁন্দভরাঙ্গে। সব ছোট বোন মান্নার জন্ম হয় গাঁয়ের বাড়িতে তখন। আমি ও আমার বড় ভাই চলে আসি শহরের বাসায়।আসার দিন সকালে আব্বা নিজ হাতে শার্ট ও প্যান্ট পড়িয়ে দেন। নায়ের ঘাটে বিদায় দেন আমাদের।আমরা বাসায় আমাদের ছোটো মামার সাথে। ৩ রা ডিসেম্বর সকালে আমরা টেবিলে বসে পড়ছি।বাসায় খবর নিয়ে আসে নানার বাড়ির রসিদ আলী।আব্বা মারা গেছেন। মামা আমাদের নিয়ে ছুটেন গাঁয়ের বাড়িতে। গাঁয়ের বাড়িতে ঢুকে দেখি প্রচুর মানুষ।

ঘরে ঢুকে দেখি বিছানায় আব্বার লাশ ঢেকে রাখা হয়েছে। রাতে বুকে ব্যথা ধরে আব্বা মারা গেছেন। যেই রাতে আব্বা মারা যান, সেই রাতে পাক বাহিনী কে নিয়ে রাজাকার-আলবাদর আমাদের বাড়িতে আসার খবর আব্বার কানে আসে।আব্বা খুব টেনশনে ছিলেন। আব্বা নির্বাচনে তাঁর আপন খালতো ভাই মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর জন্যে সরাসরি কাজ করেছেন নৌকার সমর্থনে। শোকে বুক পাথর হয়ে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ির মসজিদের সামনে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্হানে আব্বার লাশ দাফন করা হয় দাদা-দাদির কবরের পাশে। শহর থেকে আত্মীয় স্বজন আসেন বাড়িতে। আমাদের নানা বাড়ি পাশাপাশি রায়কেলী। নানা ও নানি আছেন বাড়িতে। বাবা মারা যাওয়ার পর মা আমাদের বেড়ে ওঠার জন্য পরিশ্রম দেন সারা জীবন।সুখ, দুখ, কষ্ট, হাসি কান্না জীবনে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করে যান। এই ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে মা মারা যান। মা’র যে অনুপ্রেরণা পেয়েছি জীবনে তা অতুলনীয়।

১৯৭৪ সাল থেকে আমি জড়িয়ে পড়ি লেখালেখি ও সংগঠন নিয়ে। ঢাকার বাংলার বাণী ও সিলেটের যুগভেরীতে লেখালেখি আরম্ভ করি। বাংলার বাণী শিশুদের পাতা শাপলা কুঁড়ির আসরে লেখা ছাপা হয়।

আসরের পরিচালক গল্পবুড়ো। গল্পবুড়োর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শাপলা কুঁড়ির আসর ধোপাদীঘির পাড় শাখা গঠন করি। শাখা গঠন করে একুশে ফ্রেব্রয়ারি সারাদিন মাইক বাজিয়ে পাড়ায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। আমার মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা দিয়ে, এটা আজও ভীষণ মনে পড়ে। শাপলা কুঁড়ির আসর নিয়ে পথ চলা শুরু হয়। পরিচয় ঘটে সিলেট শহরের এক ঝাঁক প্রাণবন্ত তরুণ বড় ভাইদের সাথে। শহরের জিন্দাবাজার পয়েন্টে বকস ছাপাঘর। সেই ছাপাঘর-এর স্বত্বাধিকারী আকসার বকস। এই প্রেস থেকে তাঁর সম্পাদনায় বের হয় আর্বিভাব।প্রেসে জমে ওঠে আড্ডা। সেই আড্ডায় আসেন তখনকার তরুণ রাগিব হোসেন চৌধুরী, মহিউদ্দিন শীরু, খলিলুর রহমান কাসেমী, অজয় পাল, কুমার দিলীপ কর, শাব্বির জালালাবাদী সহ আরও অনেকে।

আমি কিশোর বয়সে সেই আড্ডায় জড়িয়ে পড়ি সবার মায়ায়।রাগিব হোসেন চৌধুরী “জাগরণ” ও খলিলুর রহমান কাসেমী “সমীকরণ” বের করেন এখান থেকেই। কিছুদিন পর (৭৫ সাল) আমার সম্পাদনায় জীবনের প্রথম সংকলন”জীবন মিছিল” বের হয়। অজয় পাল দৈনিক বাংলার বাণীর সিলেট প্রতিনিধি। রাগিব হোসেন চৌধুরী, মহিউদ্দিন শীরু, অজয় পাল ও আকসার বকস গঠন করেন শাপলা কুঁড়ির আসর সিলেট জেলা শাখার কমিটি। এই কমিটিতে আসেন জনপ্রিয় আইনজীবি আজিজুল মালীক চৌধুরী। পরিচয় ঘটে তাঁর সাথে আমার আয়েজিত এক অনুষ্ঠানে। সেই থেকে মালিক ভাইয়ের সাথে গড়ে ওঠে আত্মার সম্পর্ক। তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলো ভালোবাসার বাঁধনে। পরবর্তীতে আমি চাঁদের হাট সিলেট শাখায় জড়িয়ে যাই, সেই সংগঠনে তিনি আসেন সভাপতি হিসেবে ও আমি সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে নিউইয়র্কে এসে গঠন করি স্বদেশ ফোরাম। সিলেট কমিটি গঠন করলে তাঁকে সভাপতি হিসেবে নিয়ে আসি ভালোবাসার টানে। তিনি আমার সাংগঠনিক কাজে নিয়মিত রাখেন সহযোগিতা।

ছড়া পরিষদ, সিলেট ও সিলেট সাহিত্য পরিষদের বিভিন্ন আয়োজনে ছুটে আসেন আন্তরিকতায়। সেই শৈশবে জড়িয়ে পড়া পথ ধরে সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে জীবনের ষাটে পা দেবো এই ১৭ জুলাই।
সিলেট জেলা বারে যোগ দিয়ে আইনজীবিদের ভালোবাসায় প্রকাশ করি “আইন দর্পণ”। আরও প্রকাশ করি “কিশোর দর্পণ”, আপন দর্পণ” ও বঙ্গবীর সংকলনও। চাঁদের হাট, সিলেট শাখা, ছড়া পরিষদ, সিলেট, সিলেট সাহিত্য পরিষদ, স্বদেশ ফোরাম, নিউইয়র্ক ও স্বদেশ ফোরাম, সিলেট নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় ঘটে নতুন নতুন মুখের সাথে। তাদের বেশির ভাগ হয়ে যান আপনজন-প্রিয়জন। পথ চলায় এদের সহযোগিতা অবিস্বরণীয়। এরা এখনও আছেন ভালোবাসায় মনের ক্যানভাসে। স্বদেশ- প্রবাসের প্রিয় মুখগুলো প্রতিদিন চোখে-মনে। প্রিয় মুখগুলোঃ শামছ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (আমার বাবা), বেগম সুফিয়া চৌধুরী (আমার মা), জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, সাহিত্যিক নূরুল হক, এডভোকট দলিল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট মুরাদুজ্জামান চৌধুরী, কবি দিলওয়ার, ছড়াকার-সাংবাদিক রফিকুল হক দাদুভাই, এড. আজিজুল মালীক চৌধুরী, ড.সফউদ্দিন আহমদ, শিশু সাহিত্যিক হাসানুর রহমান, জাহিরুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক প্রণব কুমার সিংহ, কবি- সাংবাদিক মহিউদ্দিন শীরু, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, এর্টণি মঈন চৌধুরী, কবি- সাংবাদিক শামসাদ হুসাম, ছড়াকার আকসার বকস, কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী সমাজসবী আনোয়ার আহমদ চৌধুরী (রুমি), এডভোকেট নওসাদ আহমদ চৌধিরী, কবি খলিলুর রহমান কাসেমী, সাংবাদিক অজয় পাল, ইতিহাসবিদ মনির উদ্দিন চৌধুরী, গল্পকার জামান মাহবুব, ছড়াকার তুষার কর, ছড়াকার মঈনুল হক চৌধুরী, সাংবাদিক ইসহাক কাজল, কবি আব্দুল হান্নান, সমাজসবী নেছারুল হক চৌধুরী বুস্তান, ছড়াকার লুৎফর রহমার রিটন, কবি আব্দুল হান্নান, ছড়াকার শাহাদত করিম, ছড়াকার মিলু কাসেম, কবি কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ার, কবি সুরাজ চৌধরী, ছড়াকার-সাংবাদিক এনামুল হক জুবের, কবিআব্দুস সবুর মাখন, সাংবাদিক এম.এ.হান্নান, শিল্পী সজল পাল, ছড়াকার-সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী, সাংবাদিক-কবি-এডভোকট ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, কবি অবিনাশ আচার্য্য,এডভোকেট এমাদ উদ্দিন, সমাজসেবী ময়নূল হক চৌধুরী হেলাল, সাংবাদিক লাভলু আনসার, ছড়াকার আব্দুল মালেক রানা,ছড়াকার ইকরামুল কবির, মোস্তাক খান, এডভোকেট খাদেমুল মিল্লাত জালাল, ব্যাংকার সৈয়দ মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, লেখক সৈয়দ আশরাফ আলী, সাংবাদিক কামকামুর রাজ্জাক রুনু, শিল্পী সজল পাল, সাংবাদিক -ছড়াকার তাজুল ইসলাম বাঙালি, কবি নারায়ণ গুপ্ত, ছড়াকার হেলাল উদ্দিন রানা, কবি মোখলেসুর রহমান, ছড়াকার মোসলেহ উদ্দিন বাবুল, ছড়াকার অমলেন্দু দাস মিন্টু, ছড়াকার তাজুল ইসলাম বাঙালি, সমাজসবী এফজাল আহমদ চৌধুরী, সমাজসেবী ইকবাল আহমদ চৌধুরী কামাল, ছড়াকার মালেক ইমতিয়াজ, ছড়াকার দিলু নাসের, কবি আবুল বাশার, ছড়াকার জয়নাল আবেদীন জুয়েল, কবি পুলিন রায়, ছড়াকার আহমেদ শামীম, ছড়াকার মুজিবুর রহমান শাহিন, ছড়াকার আতাউর রহমান সেগুল, ছড়াকার অজিত রায় ভজন, ছড়াকার মোহাম্মদ রুহেল, ছড়াকার চৌধুরী আমীরুল হোসেন, ছড়াকার জিল্লুল করিম চৌধুরী, কবি শিউল মনজ্জুর, কবি মোহাম্মদ হোসাইন, ছড়াকার কমল আনসারী, রহমান মুজিব, মিয়া মনসফ, নূরুল বারী চৌধুরী, ছড়াকার জগলু চৌধুরী, ছড়াকার সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, এডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, এডভোকেট গোলাম রাজ্জাক চৌধুরী জুবের, এডভোকেট হোসেন আহমদ, ছড়াকার রানা কুমার সিংহ, ছড়াকার- সাংবাদিক সালাম ফারুক, ছড়াকার ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান, কবি সুমন বণিক ছড়াকার – সাংবাদিক চৌধুরী আমীরুল হোসেন, কবি এখলাসুর রাহমান কবি শুভকংর দাস, সাংবাদিক সালেহ আহমদ খান, কবি কানিজ ফাতেমা, কবি সাঈদুর রহমান সাঈদ, ছড়াকার মোহাম্মদ রুহেল, ছড়াকার অমলেন্দু দাস মিন্টু, মৃধা সোলেমান, ছড়াকার শাহজাহান কমর, ছড়াকার রনক আহমদ চৌধুরী, ছড়াকার গোলাম নবী পান্না, কবি জয়নাল আফসার, ছড়াকার দেলোওয়ার হোসেন দিলু, ছড়াকার- ব্যাংকার শাহাদত বখত শাহেদ, কবি নাজনীন আক্তার কণা, ছড়াকার পলাশ আফজল, কবি প্রণব কান্তি দেব, কবি জাফর ওবায়েদ, সাংবাদিক তাইসির মাহমুদ, সাংবাদিক দেলোওয়ার হোসেন জিলন, সাংবাদিক-এডভোকেট রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু, সাংবাদিক সুজাত আলী, কবি শামসুল আলম সেলিম, কবি আনোয়ার হোসেন মিছবাহ, ছড়াকার এখলাসুর রাহমান, ছড়াকার এনামুল হক, ছড়াকার জুনেদুর রহমান, ছড়াকার মোশতাকুর রহমান চৌধুরী, ছড়াকার কামরুল ইসলাম, ছড়াকার মুকসিতুর রহিম চৌধুরী, ছড়াকার সাঈদ আহমদ কয়েস, ছড়াকার ইব্রাহীম মিজি, কবি- সাংবাদিক ফয়সাল আইয়ূব, কবি- সাংবাদিক দেলওয়ার হোসেন সেলিম, কবি আনোয়ার শাহজাহান, ছড়াকার বাইস কাদির, হোসাইন কামরুল, ছড়াকার চন্দন চৌধুরী, কবি- এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, ছড়াকার সিরাজ উদ্দিন শিরুল, ছড়াকার আলাউদ্দিন সরকার, ছড়াকার- সাংবাদিক ফররুখ আহমদ চৌধুরী, সমাজসেবী রজত কান্তি সী শংকর, কবি ইছমত হানিফা চৌধুরী, ছড়াকার ধ্রুব গৌতম, কবি, – সাংবাদিক সালমান ফরিদ, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, ছড়াকার আফসার উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ছড়াকার লোকমান আহম্মদ আপন, কবি- ছড়াকার মুনিরা সিরাজ চৌধুরী, ছড়াকার নূরুল ইসলাম আসলমী, কবি সুজন আহমদ,ছড়াকার আব্দুল আজিজ, কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল, ছড়াকার বিভাংশু গুন, ছড়াকার সালাম ফারুক, কবি ফজলুররহমান বাবুল, কবি পারভেজ রশীদ মঙ্গল, কবি আব্দুল মুমিন মামুন, কবি আমান উদ্দিন, ছড়াকার আব্দুল হাই আজাদ, ছড়াকার কামরুল আলম, ছড়কার হোসাইন কামরুল, ছড়াকার- সাংবাদিক এনায়েত হোসেন সোহেল, ছড়াকার রিপন আহমদ ফরিদী, ছড়াকার বাদশাহ গাজী, ছড়াকার জিল্লুর রহমনা জয়, ছড়াকার মেহেদী কাবুল, ছড়াকার বশির আহমদ জুয়েল ছড়াকার কামাল আহমদ, ছড়াকার নিজামুল হক হামিদী, ছড়াকর পৃথ্বিশ চক্রবর্ত্তী, গল্পকার জসীম আল ফাহিম, গল্পকার পলাশ আফজল, কবি জালাল খান ইউসুফী, ছড়াকার হরিপদ চন্দ, ছড়াকার সুমন বিপ্লব, ছড়াকার সন্জ্জয় কর, লেখক লুৎফুর রহমান, ছড়াকার কামাল আহমদ, কবি আব্দুল মালিক, ছড়াকার মোহাম্মদ জায়েদ আলী ছড়াকার- সাংবাদিক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, ছড়াকার নিরন্জ্জন মনি, ছড়াকার রওনক ইকরাম, ছড়াকার কামাল আহমদ, ছড়াকার এম,আলী হোসাইন, কবি লিটন দাস লিখন ও আরও অনেকে।

সিলেট এম,সি কলেজের ছাত্র জীবনে সম্পাদনা করি ছাত্র সংসদের বার্ষিকী সম্পাদক হিসেবে “পূর্বাশা”। কিশোর বাংলা, সিলেট বাণী, দৈনিক আজাদী ও সাপ্তাহিক চিত্রালীতে সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয় জীবনে। কোর্ট রিপোর্টার হিসেবে দৈনিক সিলেটের ডাকে অনেক রিপোর্ট বের হয় আমার।

স্বদেশ- প্রবাসের সকলের ভালোবাসায় সেই শৈশব থেকে লেখালেখি, সংগঠন, সংকলন প্রকাশনা নিয়ে নিরন্তর পথ চলা সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে এখনও। সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতা যেনো আগামীতেও বহমান রয় শুভ কামনায়, সেই প্রত্যাশা। সবাই সুস্হ ও ভালো থাকুন, পৃথিবীর জমিনে।

স্বদেশ- প্রবাসের সকল প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, আমার ছড়া

স্বদেশ টানে: স্বদেশ প্রিয়

সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী

নাড়ির টানে মায়ার টানে
টানছে কী যে দেশ,
বাড়ির টানে বাসার টানে
পড়ছে মনে বেশ।

সাথীরা টানে আড্ডায় টানে
টানছে রোজ কী যে,
কখন যাবো স্বদেশ প্রিয়
ভাবনা মনে নিজে।

সাহিত্য টানে ছড়ায় টানে
কবিতা মন টানে,
মনটা আমার রয়না ঠিক
কেউ কি তা জানে?

স্মৃতিটা টানে ভীষণ টানে
স্মৃতিটা মন নাড়ে,
রোজই আমার ঘুমটা ভাঙ্গে
স্বদেশ ঘুম কাড়ে।

স্বদেশ টানে মধুর টানে
টানে সবুজ শোভা,
টানছে মন প্রীতির টানে
মনটা হয় বোবা।