বিশ্বমানের ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বাংলার পর বিলাতের বাংলা টাউনসহ এতদাঞ্চলসমূহকে তৃতীয় বাংলা বলা হয়। বলা হয়ে থাকে বিলাতের বুকে একখন্ড বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইস্ট লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে গত ১২অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় উদ্যোক্তাদের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই সভায় বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনসহ প্রবাসীদের বিভিন্ন ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের প্রবাসীরা বাংলাদেশের উন্নয়নে, বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তারা নানা অবদান রেখে আসছেন। সভায় বাংলাদেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয় নিয়েও নানা প্রসঙ্গ আলোচিত হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক আলোচনার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বক্তারা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। নতুন নতুন গবেষণার দ্বার উন্মোচন করতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গবেষণার মূল কেন্দ্র। এই কেন্দ্রকে আলোকিত করে তুলতে হবে। তারা বলেন, একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের জন্য প্রবাসী ও বাংলাদেশের শিক্ষানুরাগী নেতৃবৃন্দসহ সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। এর গুরুত্ব জনমনে তুলে ধরতে হবে। সম্মিলিতভাবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা বলেন, ‘ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা পবিত্র মাটির সন্তানেরা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় বিরাজমান। আমাদের প্রজ্বলিত জ্ঞানের মশাল সেখানে বহন করে নিয়ে যেতে চাই‘।
শিক্ষাবিদ ড. আঞ্জুমান বক্ত এর সভাপতিত্বে ও ডা: গিয়াসউদ্দিন আহমদ এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতি নাসিম চৌধুরী, (সাবেক স্পিকার) কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত এমবিই, শিক্ষাবিদ ওসমান গনি, বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা: মাহমুদুর রহমান (মান্না), শিল্পপতি শেখ ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল মাবুদ, কলম একাডেমী–লন্ডন এর পরিচালক প্রফেসর নজরুল হাবিবি, লবিদ আহমদ, প্রভাষক শাহজাহান আহমদ, এডভোকেট এম এ করিম, কিনুইল ইসলাম, প্রিন্সিপাল ফখর চৌধুরী, দিলওয়ার বক্ত, আব্দূল আজিজ, লুৎফুর রহমান, সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সাবুল, আখতার হোসেন গনি, আব্দুল হাকিম, কয়সর আহমদ ও ক্যাপ্টেন করিম, এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের কাছে হস্তান্তরের জন্য লিখিত আবেদনপত্রটি পাঠ করেন, উদ্যোক্তাদের পক্ষে এ কে আব্দুল হান্নান ও বক্তব্য রাখেন সাদেকুল আমিন, আনসার আলী ও বিলকিস রশিদ প্রমুখ।
বক্তারা উল্লেখ করেন, বিলম্ব হলেও এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে প্রবাসে বসবাসরত সকল শিক্ষানুরাগী নেতৃবৃন্দ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা উচিত। সভায় উদ্যোক্তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
স্বাস্থ্যগত ও নানাবিধ কারণে অপারগতা জানান, শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সাবেক কাউন্সিলার মেয়র আব্দুল আজিজ সরদার, সাবেক হাউজিং অফিসার ফারুক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক ছমির উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা আজমল আলী খান ও প্রবীণ নেতা হারুন রাজা।
সভায় ব্যাপক আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়নের প্রধান উদ্যোক্তা ডা: গিয়াসউদ্দিন আহমদকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গঠনতন্ত্র প্রণয়নসহ একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সভায় গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়, আত্মবিশ্বাসের উপর বলীয়ান হয়ে লক্ষে পৌছার জন্য কঠিন শপথ নিতে হবে। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, আন্তরিকতা ও নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার, এই চারটি গুণাবলি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারি পরীক্ষিত ব্যক্তিই হবেন বাস্তবায়ন পরিষদের কার্যনিবাহি কমিটির সদস্য। অযৌক্তিক আঞ্চলিকতায় বিশ্বাসী, সংকীর্ণ মনোভাব, বিভেদ সৃষ্টিকারি, ঈষাপরায়ণ ও পদ–পদবীর লোভ–লালসা নিয়ন্ত্রণে অক্ষম ব্যক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বক্তারা কোয়ালিটির উপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: