করোনার অ্যান্টিভাইরাল পিল আনছে ফাইজার
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধি :
মার্কিন কোম্পানি মের্কের পথ ধরে এবার করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ বা অ্যান্টিভাইরাল পিল আনছে ওই দেশেরই টিকা প্রস্তুকারী কোম্পানি ফাইজার। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফাইজারের নতুন এই ওষুধের নাম দেওয়া হয়েছে প্যাক্সলোভিড। কোম্পানিটির দাবি- তাদের অ্যান্টিভাইরাল পিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।
এই হার মের্কের করোনা পিল মলনুপিরাভিরের চেয়ে বেশি। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সদ্য মার্কিন খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) সদ্য অনুমোদন পাওয়া ওষুধ মলনুপিরাভির করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।
প্যাক্সলোভিড নামের ওষুধটি প্রস্তুতের পর মোট ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর এই ওষুধ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া করোনা রোগীরা সবাই মৃদু ও মাঝারি উপসর্গে ভুগছিলেন।
স্বেচ্ছাসেবী এই করোনা রোগীদের প্রত্যেককে দিনে দু’বার তিনটি করে প্যাক্সলোভিড পিল দেওয়া হয়। ২৮ দিন পর্যন্ত চলে এই চিকিৎসা।
এই সময়সীমার পর এই স্বেচ্ছাসেবীদের শারীরিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের প্রায় সবাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অবশ্য ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, এই ওষুধ খাওয়ার পর কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোধ করেছেন তারা, কিন্তু সেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ধরন সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি ফাইজার।
জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার বিষয়ক ছাড়পত্রের জন্য ওষুধ ও ট্রায়াল বিষয়ক যাবতীয় তথ্য ইতোমধ্যে এফডিএ বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বৌরলা।
রয়টার্সকে বৌরলা বলেন, ‘ট্রায়াল পরিচালনা শেষের পর আমরা জানতে পেরেছি, প্যাক্সলোভিড করোনা রোগীদের জীবন রক্ষায় কার্যকর। এটি করোনা সংক্রমণজনিত অসুস্থতা কমায় এবং এ রোগে গুরুতর অসুস্থ প্রতি ১০ জন রোগীর ৯ জনকেই প্যাক্সলোভিড সুস্থ করতে সক্ষম।’
‘আমরা আশা করছি, জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া বিষয়ক সিদ্ধান্তের বিষয়ে এফডিএ কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য বিবেচনা করবে।’
এদিকে, শুক্রবার প্যাক্সলোভিড পিল বিষয়ক সংবাদ প্রচার হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে ফাইজারের শেয়ারের দাম ১৩ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।