বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সামসুল আলম ও সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস নির্বাচিত
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
৩১ ডিসেম্বর, শুক্রবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সিলেট নগরীর গার্ডেন ইন হোটেলে।
উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক ও বোস্টন বাংলানিউজের সহযোগী সম্পাদক সামসুল আলম।
এতে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের প্রারম্ভে বলেছেন জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বাস্তবায়নে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সকল নেতাকর্মীদে এক হয়ে কাজ করতে হবে।তিনি আরও বলেন আমরা ভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়ককে আমরা পেয়েছি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ দিয়েছেন, আর দিয়েছেন সোনার বাংলার গড়ার স্বপ্ন। সেই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ২০০২ সাথে প্রতিষ্ঠিত ড. মশিউর মালেক প্রতিষ্টা করেন, আওয়ামীলীগের যখন চরম দুর্দিন, সেইসময় এই সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয় এটি একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি মূলক সংগঠন।এই সংগঠনের সকল নেতাকর্মী নিষ্ঠাবান সৎ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কারও কাছ থেকে হাত না পেতে বা চাঁদাবাজি না করে সুনামের সঙ্গে সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিজ পকেটের টাকায় পরিচালনা করছেন।তাই কিছু অসৎ ব্যক্তিরা এই সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটছে এবং নিজেদের কে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছে,বিভিন্ন জেলায় এবং প্রবাসে কমিটি দিচ্ছে। সেসব ভুয়া প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেওয়ার ও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন বলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি তিনি নিজে, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদা হক কনিকা। এই কমিটি ব্যাতিকেরে অন্য সকল কমিটিই ভুয়া। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং সকল জেলা ও বিভিন্ন দূতাবাসে এদের বিরুদ্ধে অবহতিকরণ চিঠি দেয়া হয়েছে। সেইসাথে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিটি জেলার নেতাকর্মীদের কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এসব ভুয়াদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, শেখ হাসিনা থাকলে সোনার বাংলা হবে। তাই শেখ হাসিনাকে বারবার প্রয়োজন। আগামীদিনের নির্বাচনের জন্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীদের তৈরি হতে হবে।তবেই শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, সিলেটে অনেক গুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। সবগুলো উন্নয়নই শেখ হাসিনার অবদান।ঢাকা-সিলেট ৬ লেনের মহাসড়ক, বাদাঘাট- এয়ারপোর্ট সড়ক, হাসপাতাল,বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স, বিমানবন্দর।আর তিনি এসব প্রকল্প অনুমতি না দিলে দেশের এতো উন্নয়ন হতো না। সারা দেশের উন্নয়নের মূলেই রয়েছেন শেখ হাসিনা।
গত ১২ বছর থেকে দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা তার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে স্বার্থক মনে করছি। উন্নয়ন কর্মকান্ডে চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেসব উন্নয়নের কাজে বাঁধা আসবে। আমাদেরকে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। তিনি ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সকলের লক্ষ্য এক, তাহলো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় সোনার মানুষ তৈরি করা। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশব্যাপী কর্মী বাহিনী গড়ে তোলা হবে। ফাউন্ডেশনের প্রতিটি কর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ ও আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. একে আব্দুল মোমনে।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নজির আহমদ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম লস্কর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অরুপ রায়।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম কবির। উভয় শাখার পুণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।নবনির্বাচিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দদের মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সিপাহশালা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বর্ষীয়ান নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক, সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্নয়ক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদা হক কনিকা,সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার নাইমুল হক চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি মেলবোর্ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা রাশিদুল হক, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের জেলাশাখার যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ ও মহানগর শাখার সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক জান্নাত আরা পান্না।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাফলং পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য লুৎফুর রহমান লেবু, বদরুল ইসলাম, মিসেস হেলেনা আহমদ, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, শামীম আল মামুন, চিত্র শিল্পী ভানু লাল দাস, টিপু সুলতান, আজাদ হোসেন, লেখক বেলাল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম কবির, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, মোল্লারগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া, চারখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ চৌধুরী, পুলিশ লাইন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম, বিধু ভূষন চক্রবর্তী, শাহিদুর রহমান, আব্দুল হক লিমন, সোহেল চৌধুরী, কবিরুল ইসলাম কবির, রোখসানা পারভিন, মাধুরী গুন, শিরিন আক্তার, জেবুন নাহার শিরিন, শামীমা আক্তার ঝিনু, আব্দুল কাদির চৌধুরী, শাহ জামাল হোসেন, এডভোকেট আবুল কাশেম, গোপাল রায়, রোটারিয়ান ডা, রঞ্জিত কুমার রায়, বাবুল দেব, রোটারিয়ান আব্দুল বাসিত, শামীমা আক্তার, নুরুল হক, প্রদীপ কুমার দেব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক সহ সকল নেতৃবৃন্দদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দদের কে বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্টানটি সঞ্চালক ছিলেন ফেরদৌস খান, বদরুল ইসলাম লস্কর ও অরুপ রায়।অনুষ্টান শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্য প্রদান করে এবং অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
(বাপসনিউজ)