প্রচ্ছদ

সিলেটে ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর, পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা

  |  ১০:২৯, জুন ১৭, ২০২২
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন সিলেটবাসী। ইতোমধ্যে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাটসহ ১১টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।

পানিতে ডুবে আছে কোম্পানীগঞ্জ, লামাকাজী, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ওসমানীনগরসহ সবক’টি এলাকা। বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে এসব অঞ্চলের মানুষের বাড়িতে এখন গলা সমান পানি।

সিলেটের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর এখনও সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফলে অজানা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকার লোকজন।

বানের জলে ভেসে যাচ্ছে কাচা ও টিনশেড বাড়িঘর। অনেক জায়গায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অবস্থা এতই বেগতিক যে, মানুষ এখন আশ্রয়ও পাচ্ছেন না। এবারের বন্যা ২০০৪ ও ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

এ অবস্থায় শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধারে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্যার পানি অবিরাম নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত করছে। রাত ১২টা থেকে পৌর ৪টা পর্যন্ত অন্তত ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে।

জানা গেছে, সরকারিভাবে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য ৪০ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকার শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। উপজেলায় ২৪টি আশ্রয়নকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রশাসন থেকে ৬টি ইউনিয়নে ২৪ টন চাল ও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিধ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত সিলেটে ভারী বর্ষণ হবে। তাতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

এদিকে কুমারগাঁও, ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতেই ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া মাত্র পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সিলেট অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

(আরটিভি নিউজ)