প্রচ্ছদ

১৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা

  |  ১৫:৫২, জুলাই ১৩, ২০২২
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

মহাবিশ্বের একটি রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ছবিটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা। সোমবার (১১ জুলাই) ছবিটি প্রকাশ করা হয় এবং এটাই এ ধরনের প্রথম কোনো ছবি। এতে যেসব তারকা ও গ্যালাক্সির ছবি ধরা পড়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।

হোয়াইট হাউসে ছবিটি প্রকাশ করে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবদানের কথা তুলে ধরেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা ছবিটি মহাবিশ্বের গ্যালাক্সিগুলোর একটি অংশকে ধারণ করেছে। ছবিটির নাম দেয়া হয়েছে এসএমএসিএস ০৭২৩।

ছবিতে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা জ্বলজ্বলে আলোক রশ্মির বিচ্ছুরণ ফুটে উঠেছে। এটাকে মহাবিশ্বের প্রাচীনতম রূপ বলে মনে করা হচ্ছে। মহাবিশ্বের এই ছবি নিয়ে হইচই পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে। ছবি উন্মোচন করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘নাসা এক অভূতপূর্ব কর্ম সাধন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পুরো মানবসভ্যতার জন্য এটি ঐতিহাসিক দিন।’

নাসার কর্মকর্তা বিল নেলসন বলেন, ছবিটিতে বিভিন্ন গ্যালাক্সির চারপাশে বাঁকানো গ্যালাক্সির আলো ফুটে উঠেছে। টেলিস্কোপে পৌঁছানোর আগে কয়েকশ কোটি বছর ধরে ভ্রমণ করেছে এ আলো।

নেলসন আরও বলেন, ‘আমরা ছবিটি দেখছি মানে ১ হাজার ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি পেছনের দিকে তাকাচ্ছি।’ তিনি জানান, নাসা শিগগিরই আরও ছবি প্রকাশ করবে। সেগুলো প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি বছর আগেকার। এসব ছবি মহাবিশ্বের আনুমানিক শুরু বিন্দুর কাছাকাছি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় শুরুতে ফিরে যাচ্ছি।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসার নতুন এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ আগের হাবল টেলিস্কোপ থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে এক হাজার কোটি ডলার। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।

পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই টেলিস্কোপ। টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্য দুটি। এক, প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বে জ্বলে ওঠা আদি নক্ষত্রগুলোর ছবি তোলা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দূরদূরান্তের গ্রহগুলো প্রাণ ধারণের উপযোগী কি না, তা খতিয়ে দেখা।

ছবিটি উদ্বোধনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব ছবি সারা বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিতে চায় যে যুক্তরাষ্ট্র বড় বড় কাজ করতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিশেষ করে শিশুদের মনে করিয়ে দিতে চায়, কোনো কিছুই আমাদের জন্য দুরূহ নয়।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘তিন যুগ ধরে নির্মিত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি নতুন নতুন ছবিটি দিয়ে মহাবিশ্বে সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে পাল্টে দিতে পারে।’