বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার বাইরে কি কিছু করণীয় আছে?
আদর্শ বার্তা ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, চোখে-মুখে হাত না দেয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়গুলো জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউ এইচও)। এদিকে যতই দিন যাচ্ছে দেশে করোনা আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আমাদের শরীরকে প্রস্তুত করতে হবে। বাড়াতে হবে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দুর্বল ফুসফুস, ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও এ রোগে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রশ্ন হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া স্বাস্থ্যবিধির বাইরে কী আমাদের করণীয় আছে? হ্যাঁ, আছে।
তাহলে জেনে নিন আরও কী কী করতে হবে আমাদের-
ধূমপান ত্যাগ করুন
আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তবে এই মুহূর্ত থেকে তা ছেড়ে দিন। এতে ফুসফুসের ক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়বে।
উচ্চ রক্তচাপ-ডায়াবেটিস
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোভিডে আক্রান্ত হলে ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সংক্রমণ রোধে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
সবজি ও ফলমূল খেতে হবে
শরীরে পুষ্টিজনিত ঘাটতি পূরণে বেশি করে সবুজ সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
মদপান ছেড়ে দিন
গবেষণায় দেখা গেছে, মদ্যপান রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। এই অভ্যাস থাকলে আজই ছেড়ে দিন।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে
দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টার কম ঘুমালে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
ব্যায়াম করুন
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে শহরের বেশিরভাগ মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়াম করেন না। তাই প্রতিদিন বাড়ির ভেতর অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটুন।
দুশ্চিন্তা করবেন না
দুশ্চিন্তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এ সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, মেডিটেশন করুন, ভালো বই পড়া ও সুন্দর একটা মুভি দেখতে পারেন।