প্রচ্ছদ

দিল্লির আধিপত্যবাদ ও সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও

  |  ১৮:৪৪, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক : 

২২ শে এপ্রিল ২০২৪ জিবিএএইচআর মানবাধিকার সংস্হার আয়োজনে ইংল্যান্ডে বসবাসরত প্রচুর বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করা হয়। গ্লোবাল বাংলাদেশিস এলায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস (জিবিএএইচআর) লন্ডনে কমিউনিটি ভিত্তিক ২১ টি মানবাধিকার সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম। বিক্ষোভ চলাকালে নরেন্দ্র মোদী ও আদানির মুখোশ সম্বলিত প্রতিকৃতিতে জুতার মালা পরিয়ে বিক্ষোভকারীরা তাদের তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।

সোমবার দুপুর ১২ টা থেকেই সেন্ট্রাল লন্ডনের টেম্পল এলাকায় ইনডিয়ান হাউজের সামনে পুরো অল্ডউইচ এলাকা জুড়ে বাংলাদেশীদের জমায়েত শুরু হয়। বেলা ২ টায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীদের বিক্ষোভে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবীতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভে অংশগ্রহন করেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন জিবিএএইচআর আহবায়ক সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন। লেখক ও কালামিষ্ট রাকেশ রহমান ও সিনিয়র ফেলো রুপম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংহতিি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম।

ড. শহিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে যে সাহায্য করেছে তাতে আজকের ভারত হটাও আন্দোলন অভাবনীয়। কিন্তু ভারত তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে যে ব্যবহার করে আসছে তাতে ধারনা পরিষ্কার হয়ে যায়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে যে ভাবে ভারত সাহায্য করে আসছে দিনের পরে দিন, তাতে কোন দেশের জনগনের পক্ষেই ভারতকে সম্মানের জায়গায় বসিয়ে রাখা সম্ভব নয়। অবৈধ সরকারকে সাহায্য করার জন্য ভারত আমদের দেশের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন অবৈধ চুক্তির বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। নিচ্ছে বিনা পয়সায় টান্জিট চুক্তি। লক্ষ লক্ষ অবৈধ ভারতীয় কাজ করছে বাংলাদেশে।

বিনিময়ে দিচ্ছে সীমান্তে বাংলাদেশীদের লাশ। এমনকি এই স্বাধীনতা দিবসেও ভারত আমাদের দিয়েছে ২ জনের লাশ । হাসিনাকে এসব করে ভারত আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে আমরা বাংলাদেশিরা ভারতের দাস। আমাদের দেশের অবৈধ মন্ত্রীরা বলছে ভারতের সাথে আমাদের স্বামী , স্ত্রী সম্পর্ক। সেটা যে গৃহ নির্যাতন সেটা আমরা হাড়ে হাড়ে বুঝে গিয়েছি ।এটা পরিস্কার যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কারনে সবচেয়ে বেশি লাভবান ভারত তা বাংলাদেশিরা বুঝে গিয়েছে। ভারতীয় “র” যেভাবে বাংলাদেশকে চালাচ্ছে তা আজ বাংলাদেশিরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

আরো বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার ব্যাক্তিত্ব পিনাকী ভট্টাচার্য। ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মসুচি ধারাবাহিক থাকবে এবং ভারত যদি আমাদের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তাহলে অতি সত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিরপেক্ষতার উদাহরন দেখাতে হবে। না হয় আমাদের আন্দোলন শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন নয়, বাংলাদেশ থেকে সকল ভারতীয় স্বার্থ উচ্ছেদ করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শামসুল আলম লিটন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা হচ্ছে। এর দায় সম্পূর্ণ ভাবে নরেন্দ্র মোদী আর বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহন করতে হবে। দিল্লি যদি একটি ফ্যাসিবাদী দলের জন্য বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে তার সমর্থন অব্যাহত রাখে, তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আগামী ১শ’ বছর তার জবাব দিতে থাকবে। বন্ধুত্বের জবাব বন্ধুত্ব। শত্রুতার জবাবে বন্ধুত্ব হয়না। এই সত্য দেরী হবার আগেই দিল্লী উপলব্ধি করবে বলে আমরা আশাবাদী হতে চাই। অন্যথায় ভারতীয় পণ্যের পাশাপাশি চিরদিনের দন্য বাংলাদেশকে ভারতীয় দালাল মুক্ত করা হবে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ পাকিস্তানকে গুডবাই দিয়েছিলো। দিল্লিকেও অচিরেই গুডবাই দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সন্চালক লেখক রাকেশ রহমান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আর যাই হোক ভারতীয় অগ্রাসন আর মেনে নিতে পারছি না। আমরা ভারতীয় পন্য শুধু বর্জন নয়, পাশাপাশি প্রকৃত স্বাধীকারের দাবিতে বাংলাদেশের তীব্র আন্দোলন নীরবে তৈরি হচ্ছে ঘরে ঘরে।

বিক্ষোভে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র ফেলো ও সিনিয়র ড্যাটা ইন্জিনিয়ার রুপম রাজ্জাক, ব্যারিষ্টার জাকির হাসান, টিভি সাংবাদিক শেখ মুহিতুল রহমান বাবলু, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই এর সভাপতি মুসলিম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রায়হান আহমেদ, ই আর আইয়ের সহ সভাপতি মোঃ ওসমান গনি, সহ সভাপতি মোঃ রোকতা হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, অর্থসম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান, ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনালের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা নেত্রী অন্জনা আলম , তাসলিমা তাজ, জাহানারা আক্তার শিমলা, মানবাধিকার সঙগঠন ই আর আই’র সাধারণ সম্পাদক নওশিন মুস্তারি মিয়া, এ্যাডভোকেট সুফিয়া পারভীন, সাংবাদিক মিনহাজুল আলম মামুন, তোবারক হোসেন, মিশুক হোসেন ও হাসনাত আরিয়ান খান।

এছাড়াও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্য থেকে আরো বক্তব্য রাখেন ই আর আইয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ মহিবুল্লাহ, মাইনোরিটি সেক্রেটারি তাহমিনা আক্তার, মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ রনি, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শাহীন আহমদ, সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি মাহমুদ হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল জাবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি একেএম রুহুল আমিন সরকার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তাম্মাম ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল আলিম, এক্সিকিউটিভ মেম্বার শাহরিয়ার কালাম আজাদ, গুম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তফুর আহমদ, ফাইট ফর রাইটস ইন্টারনেশনাল এর আইন বিষয়ক সম্পাদিকা নাদিয়া ফাতেমা আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাম্মৎ নাজমুন নেছা দ্বীনা, সাবেক শিবির নেতা মো: গিয়াস উদ্দিন, মানবাধিকার কর্মী শাকিলা শারমিন প্রমূখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভে আরো উপস্থিত ছিলেন ই আর আইয়ের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেক্রেটারি ফয়জুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক,আব্দুল ওয়াহিদ তালিম, সহকারী সম্পদক ফজল আহমদ, জনসংযোগ সম্পাদক, মোঃ মুজাক্কির আলী, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মাইনোরিটি রাইট সেক্রেটারি শাকিল আহমদ তুহিন, এক্সিকিউটিভ মেম্বার মোঃ আশরাফুল আলম, শিবের নেতা ইমাদুর রহমান ফাহিম, ফাহিদুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ রাব্বানী মিলাদ,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আশরাফ, যুবদল নেতা মোঃ হাসনাত আল হাবিব বুরহান উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আশরাফ, যুবদল নেতা মোঃ হাসনাত আল হাবিব , সাবেক যুবদল নেতা সদরুল ইসলাম, সাবেক শিবির নেতা ইমদাদুর রহমান ফাহিম, মাহমুদুল হাসান, মো: সিনান সামী, মো: ইয়াহ ইয়া, সাবির আহমেদ, মারুফ আহমেদ, মো: ফাহাদ হোসাইন, রাকিব আলী, শাহিন আহমেদ, মো: কামাল হোসেন, জুনেদ আহমদ, বাবুল তালুকদার, যুবায়েদ হাসান, রায়হান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম, এম আশরাফ উদ্দীন,দীপা বেগম,মো: শাহাদাত হোসাইন, মোহাম্মদ আল আমিন, মো: শাহরিয়ার ওয়াহিদ, মোঃ পারভেজ মিয়া সুজা, মেহেদি হাসান ফাহিম, মুনতাসির মুবিন, মো: সাহিদুর রহমান, মোঃ পারভেজ মিয়া সুজা, মুনতাসির মুবিন, মীর ইমরান, মো: তানভীর আহমদ, মো: জামিল আহমেদ, মো: জবলুল আলম বিপুল, মিজানুর রহমান, তানভীর আহমেদ, ইয়াহিয়া আহমেদ, মো: আবু নাসের তানজিম, মো: আশফাকুল ইসলাম ভুঁইয়া, আব্দুল খালেদ ভুঁইয়া, সালমান মিয়া, নাইমুজ্জামান মাহি, মোস্তাক আহমেদ, শাওন বিশ্বাস, মানাতাকা ইস্তিহাদ সৌরভ, মো: শাহাদৎ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ইমরান, রাজীব কান্তি শীল, ফরহাদ হোসেন, মাহফুজ আহমেদ, নাজিম আহমদ, মো: শাহাদাত হোসাইন, সোলেমান আহমদ, মোহাম্মদ আল আমিন, মো: শাহরিয়ার ওয়াহিদ, জুনেদ আহমদ, মো: জামিল আহমেদ, মো: মুরাদ হোসেন, এস এম শামসুজ্জোহা, মালেক আহমেদ নাজিম, মো: আবুল হাসান, জাফরুল করিম, তারেক মাহমুদ, সাজ্জাদ হোসেন মোহন, মো: শরফ উদ্দিন, আব্দুল ওয়াহিদ তালিম, পার্থ বডুয়া, ভুবন দেবনাথ, মো: মাজহার আলী, এম এ হাসনাত, আকিবুল হাসান, সৈয়দ মুহিবুর আলী, তাম্মাম ইসলাম, রহিম আহমেদ হাদি, ইয়াহইয়া আহমেদ, মো: আবু সুফিয়ান, মো: মোতাসিম বিল্লাহ জাজেব, মো: শামছুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জনি, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ছয়েফ আহমেদ, মো: আনোয়ার হোসেন তুহিন, মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম, মো: দেলোয়ার হোসাইন, মো: মিজানুর রহমান, মো: ইমাদ উজ্জামান, মো: আব্দুল মোহাইমিন সোহান, এম এম ইয়াজদিন, মো: রেজান আহমদ, সুফিয়ান আহমদ, মো: সাব্বির আহমদ, মো: মাহবুবুর রহমান তানভীর, শুয়েব আহমেদ, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, ওসমান মো: শাহজাদা রহমান, এবাদুর রহমান শিমুল, মো: মাহদীন আল নাহিন, ওয়ালিওর রহমান শাওন, মো: আবু সুফিয়ান, মো: জোবায়ের তালুকদার, আব্দুল্লাহ হোসেন জাবেদ প্রমুখ।