সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম আর নেই
আদর্শবার্তা রিপোর্ট :
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী মুযাহিরুল উলূম কওমী (আকুনি) মাদ্রাসার শিক্ষক, সীমা বাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী, গোয়ালজুর গ্রামের অধিবাসী নুরুল ইসলাম আর নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে ২০২৪ ইংরেজি) সকাল ১০ টার দিকে তিনি নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর। তিনি কয়েক বছর যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি হার্ড, লিভার এবং বাতজনিত রোগের চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
সমাজসেবী, শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম মৃত্যুকালে সহধর্মিণী সহ ৪ জন ছেলে, ২ জন মেয়ে সন্তান, ভাই, বোন, ভাতিজা, ভাতিজি এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত সহজ সরল জীবনের অধিকারী ছিলেন। খুবই খুশি মনে গত সোমবারে উনার বড় মেয়ের শুভ বিবাহ সম্পন্ন করেছেন। হাস্যজ্বল হয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনও করেছেন।
মরহুম নুরুল ইসলামের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, দ্বিতীয়তম ছেলে জসিম দুবাই প্রবাসী, তৃতীয়তম ছেলে তোফায়েল আহমদ নাদিম কলেজে পড়াশোনা করছে। ছোট ছেলে আবু নাঈম পবিত্র কোরআনের হিফয বিভাগে পড়াশোনা করছে। ছোট মেয়ে হাই স্কুলে পড়াশোনা করছে।
নুরুল ইসলাম ১৯৪৯ সালে ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের গোয়ালজুর গ্রামের এক সম্ভান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম মৌলভী আব্দুল হক। বড় ভাই মরহুম আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ ডাক্তার)।
নুরুল ইসলাম কলেজে পড়াশোনা শেষে চাকুরী নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলে যান। এরপর দেশে ফিরে গাছবাড়ী মুযাহিরুল উলূম কওমী (আকুনি) মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ লাভ করেন এবং স্হানীয় সীমাবাজারে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করেন।
নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে গোটা এলাকা সহ দেশে বিদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অনেকেই স্ট্যাটাস আপলোড করেছেন।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর গাছবাড়ী মুযাহিরুল উলূম কওমী (আকুনি) মাদ্রাসা মাঠে জানাযার নামাজ শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, সমাজসেবী মরহুম নুরুল ইসলাম কানাইঘাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি, আদর্শবার্তার সম্পাদক, প্রবাসী সাংবাদিক দেলওয়ার হোসেন সেলিমের আপন বড় চাচা।
আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন যেনো মরহুমের ভুল ত্রুটি মাফ করে জান্নাতের মেহমান হিসাবে কবুল করেন। আ’মিন।