অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : তারেক রহমান
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের সব কার্যক্রম মনঃপুত না হলেও তাদের ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন, সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান একথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, সবাই কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করি।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
বাংলাদেশে মাফিয়া শাসন চালু ছিল উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, প্রিয় দেশবাসী এই মাফিয়াচক্র দেশকে সম্পূর্ণ রূপে ভঙুর করে দিয়েছিল। দেশকে আমদানিনির্ভর ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়াচক্র দেশের ব্যাংকগুলো পর্যন্ত দেউলিয়া করে দিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনীতিকের মনে রাখা প্রয়োজন, রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের আচরণগত গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন।
বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে আরও পথ পাড়ি দিতে হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, সেই পথ হবে, ধৈর্য ও সহনশীলতার। সব শেষে বলতে চাই, নির্বাচনি রোডম্যাপে উঠবে প্রিয় বাংলাদেশ। সুতরাং আসুন, আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করি। জনগণকে সঙ্গে রাখি, সঙ্গে থাকি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে মাফিয়া শাসন চালু করা হয়েছিল। দেশে-বিদেশে পলাতক স্বৈরাচার বিনাভোটের সরকারে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। সে সময়ে ছিল–গভর্নমেন্ট অব দ্য মাফিয়া, বাই দ্য মাফিয়া, ফর দ্য মাফিয়া।
তারেক রহমান বলেন, প্রিয় দেশবাসী এই মাফিয়াচক্র দেশকে সম্পূর্ণ রূপে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে আমদানিনির্ভর ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়াচক্র দেশের ব্যাংকগুলো পর্যন্ত দেউলিয়া করে দিয়েছে।
বিগত ১৫ বছর ছিল মাফিয়া চক্রের দখলে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মাফিয়া চক্র শুধু অর্থনীতিকে ধ্বংস করেনি, তারা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা দেশ কতটুকু সভ্য, তা আইনশৃঙ্খখলা বাহিনীর আচরণে ফুটে ওঠে।
কেউ গণতন্ত্র লুটের চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি ও দেশের জনগণের ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়ে গেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন মুক্ত বাতাসে আমরা সমাবেশ করার, কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। বর্তমান এ সরকারের মধ্যেও অনেক ফ্যাসিবাদের লোক বসে আছে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে না পারে।
চট করে ঢুকে যাবেন, আসেন- অপেক্ষায় রইলাম : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ১৫ বছরে ৩৪ বার জেলে গিয়েছি। কিন্তু পালিয়ে যাইনি। শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে গেছেন। আবার বলছেন, চট করে ঢুকে যাবেন। আসেন- আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম। কারণ আপনি আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রেখেছেন। নেতাকর্মীদের কারাগারে রেখে নির্যাতন করেছেন। আমরা আপনাকে বেশিদিন রাখব না। আপনার বিচার করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি প্রথমে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এক সঙ্গে জেলে ছিলাম। আমি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার অনেক পরে তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন। আমরা ওই সময় নেত্রীকে বলেছিলাম, নির্বাচনে কেন গেলেন। তখন নেত্রী বলেছেন, তোমাদের জেল থেকে বের করার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু আমি দেশ ছাড়ব না। কেননা এ দেশের মাটি ও মানুষ ছেড়ে কোথাও যাব না। দেশনেত্রী দেশ ছেড়ে পালায় না। আরেক নেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বলছেন, ‘সুযোগ পেলে চট করে চলে আসব…।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, আর মার খাচ্ছেন। কমপক্ষে ৩৪ বার গ্রেপ্তার হয়েছি। কোর্টে আনা-নেওয়ার সময় মানুষ বলতো, হাত জাগান হাত জাগান, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগনেতা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, চোরাকারবারি হিসেবে মার খাচ্ছেন। আমরা দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন করেছি, আমাদের মার খেতে হয়নি, হবেও না।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, সংস্কারের জন্য সময় দিবো। তবে সে সময় সারা জীবনের জন্য নয়। কেননা একটি দায়িত্বশীল চেয়ার থেকে বলা হয়েছে, একটি ছাত্রদের দিয়ে দল করার দরকার আছে।
জনগণের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমাদের সমাবেশ দুই দিন পিছিয়ে আজ করা হয়েছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, আজকে এত অল্প সময়ের মধ্যে বড় জমায়েত করার জন্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করে আসছি। আমরা বলে আসছি, জনগণের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে গণতন্ত্রের মুক্তি। আজকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ। আগামী দিনে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে দুপুরের আগেই রাজধানীর নয়াপল্টনে জনতার ঢল নেমেছে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা। নয়াপল্টন প্রকম্পিত করে তোলেন তারা। বিএনপির নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করেন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র-জনতার জনস্রোতে স্বৈরাচার হাসিনা ভেসে গেছে : ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার জনস্রোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভেসে গেছে। এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা যে ইতিহাস তৈরি করেছে; তা পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ছাত্র-জনতার জনস্রোতে স্বৈরাচার হাসিনা ভেসে গেছে। ছাত্র-জনতাকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে ও দেবে। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রথম ম্যান্ডেট নির্বাচন দিতে হবে। একই সাথে গত ১৫ বছরে যে জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার জনস্রোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভেসে গেছে। এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা যে ইতিহাস তৈরি করেছে; তা পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ছাত্র-জনতার জনস্রোতে স্বৈরাচার হাসিনা ভেসে গেছে। ছাত্র-জনতাকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে ও দেবে। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রথম ম্যান্ডেট নির্বাচন দিতে হবে। একই সাথে গত ১৫ বছরে যে জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।
মেইড ইন ইন্ডিয়া পুতুল আর বাংলাদেশে নাচবে না : হাবিব-উন-নবী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, বিগত ১৫ বছর ধরেই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, ঢাকা যদি ভাল না থাকে তাহলে দিল্লিও ভালো থাকবে না। কীভাবে কী করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। ভারতকে বলতে চাই, আগের মতো মেইড ইন ইন্ডিয়া পুতুল আর বাংলাদেশে নাচবে না।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল আরও বলেন, ভারতের এক মন্ত্রী বলেছেন, তাদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার জন্য। আমরা বলতে চাই বাংলাদেশের ১৭ কোটি সৈন্য রয়েছে। এ দেশের শিশু হতে সবাই সৈন্য। যে দলের নেত্রী কর্মীদের রেখে পালিয়ে যায় সেই দল করবেন না। লজ্জা! লজ্জা! আপনি লুকিয়ে থেকে বলছেন সীমান্তের ওপারে আছি, চট করেই ঢুকে যাব। আরে আসেন, ভেতরে আসুন। গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুরোনো জুতা স্যান্ডেল একটাও আমরা ফেলে দেইনি। এসব কিছুই জমা রেখেছি শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার জন্য। আজকে কাকু (ওবায়দুল কাদের) কোথায়? তিনি নাকি পালাবেন না! কিন্তু তাকে তো টোকাইয়া পাই না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে বহুবার বলেছি কেয়ারটেকার সরকার দেন। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বহুবার বলেছেন। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি। তিনি দাদাদের কথা শুনলেন। আমাদের কথা শুনলে এভাবে পালিয়ে যেতে হতো না।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী। ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন। (সূত্র: এনটিভি)