নিরাপদ বিদ্যুৎ চাই
আমিন উল্লাহ আখতার :
আধুনিক জীবন ব্যবস্হাপনার জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য, যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দৈনিক পত্রিকা হাতে নিলে অথবা সংবাদ মাধ্যমে চোখ রাখলেই আমরা দেখতে পাই, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কেউ না কেউর মৃত্যুর খবর। এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। কেন একেরপর এক এধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে? কেন পাখীর মতো মানুষ মারা যায়? এর জন্য দায়ী কে? আর করণীয় কী?
এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব ও কর্তব্য বেশি। নিরাপদ বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে সর্বাগ্রে মেইন লাইন খোলা লাইন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে কভার লাইন অথবা ক্যাবল লাইনের ব্যবস্হা করতে হবে। জনসাধারণকে আরও সচেতন করতে হবে। তাহলে মানুষ নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। হয়তো এভাবেই আর কেউ আকস্মিক মৃত্যু বরণ করবেন না। আকস্মিক মৃত্যু আমাদের কেউরই কাম্য নয়। আমরা সবাই স্বাভাবিক মৃত্যু চাই!
আমরা নিরাপদ বিদ্যুৎ চাই। আর নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবস্হাপনা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা সময়ের দাবী।
প্রসংগত উল্লেখ্য, বিগত ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ৮ নম্বর ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিনচটি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল মালিক (৪৫) গৃহ নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে ঘটনা স্হলেই মৃত্যু বরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। হতভাগা আব্দুল মালিক স্হানীয় দর্জিমাটি গ্রামের প্রবাসী ফয়েজ উদ্দিনের টিন সেডের ঘর নির্মাণ কাজ করছিলেন। উক্ত বসত ঘরের উপর দিয়ে বিদ্যুতের মেইন লাইন টানানো। বিদ্যুৎ এর অরক্ষিত মেইন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান আব্দুল মালিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল মালিক ৪ জন সন্তানের জনক হিসাবে প্রতিনিয়ত তিনি কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে পরিবারের মুখে এক মুঠো খাবার তুলে দিতেন। হতদরিদ্র আব্দুল মালিককে হারিয়ে তাঁর পরিবার একেবারে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। আবদুল মালিকের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের এক মুঠো ডালভাত কে দিবেন? তাঁরা কার কাছে যাবেন এবং কে তাদের ভরণ পোষণ করবেন?
এমতাবস্থায় নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এগিয়ে আসতে হবে। জনসাধারণের জান মালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল শ্রেণী ও পেশার হৃদয়বান মানুষের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, হতদরিদ্র মৃত আবদুল মালিকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য-সহায়তার হাত প্রসারিত করার জন্য।
লেখক: আমিন উল্লাহ আখতার
সৌদি আরব প্রবাসী