রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা
কবি গুরু তুমি প্রেমের আধার
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
তোমার জন্মদিনের আনন্দ ধারা
জন্ম জন্মান্তর বাঙ্গালীর মনে– প্রাণে,
পুস্তকের পাতায় পাতায় জড়িয়ে আছে।
কবি গুরু তোমায় কোটি কোটি সশ্রদ্ধ প্রণাম।
শুভ হোক তোমার জন্মদিন।
তুমি রেখে গেছো শান্তির পরশ পাথর।
তোমার মনের কথার ছলাকলা সমাজ, প্রকৃতি,পূজা, প্রেম বিরহ, বেদনার ও সাহিত্য ভান্ডারকে পরিপূর্ণ করে গেছো।
আকাশের রংধনুর মতো তুমি।
নানা রঙ-এ চারদিকে তুমি বিরাজমান।
আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র ধ্রুব তারাটিই তুমি।
তোমার জ্যোতির প্রতিবিম্বে রচিত হয়েছে গানের ভূবন। হে কবি গুরু —
এই দুঃসময়ে তোমাকে খুব প্রয়োজন। হয়তো তোমার গানের স্বরলিপিতে সুখ — দুঃখের বীণা বেজে উঠতো। তুমি ছিলে দার্শনিক।
তুমি হয়তো হতে আমাদের পথ প্রদর্শক।
নিয়ে আসতে শান্তির অভয় বার্তা।
তোমার হৃদয়ের সব কটা জানালা খুলে দিয়েছো প্রতিনিয়ত আমাদের তরে।।
সাতটি রংয়ে রংধনু যেনো উত্তর /দক্ষিণ, পূর্ব / পশ্চিম, উর্দ্ধ / অধঃ আরোহী / অবরোহীতে গানের স্বরলিপিতে তুমি প্রাণবন্ত।
কবি তুমি এমনি এক দেবগুরু,
তোমার হৃদয়ের স্পর্শ
যত্র তত্র, বন বীথিকায়, সাগর সৈকতে,পানকৌড়ি নৌকায়।
তুমি অমূল্য সম্পদ সৃষ্টি করে বিলায়ে দিয়েছো সবার মাঝে।
যেখানেই যাই শুধু তুমি,শুধু তোমার বাণী।
তোমার ভালোবাসার অর্ঘ্য গীতবিতান, গল্পগুচ্ছ আমাদের অমূল্য সম্পদ , হৃদয় পীড়ার বটিকা সম।
তুমি আবার এসো আমদের মাঝে,অবতার রূপে।
তোমায় খুঁজে মরি অহর্নিশি।
আর কি দেখা হবে তোমার সনে?
তোমারি কথা বলি বারে বারে
“আর কী কখনও কবে —-এমনি সন্ধ্যা হবে–জনমের মতো হায় –হয়ে গেলো সারা।”
জানি আত্মার জন্ম বার বার, কবির গুরুর জন্ম একবার।
তোমার কবিত্বের কথামালার গুচ্ছ আমাদের হৃদকমলের ভালোবাসা ও আবেগের আধার।
তোমার প্রতিটি গানের সারকথাই মানুষের মনের দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, প্রেম, পূজা, প্রকৃতির পরশ।
কী আশ্চর্য ! জ্যোতিষশাস্ত্রের পারদর্শী তুমি।
এতো আগেই কী করে তুমি অবলীলায়
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, এর আগাম গানের পান্ডুলিপি কলমের আঁচড়ে রেখে গেলে কবিতার গুচ্ছপুঞ্জ।
আধুনিকতার ছোঁয়া যেনো তোমার প্রতিটি বাক্যের
পরতে পরতে।
দ্বিতীয় বার কেউ কি তোমার মতো পৃথিবীতে আসবে কবি গুরু হয়ে?
না না তা হবেনা কখনই।
কবি রবীন্দ্রনাথ একজনই। পরম পূজনীয় আরাধ্য দেবতা তুমি।
তোমার মনের কখনও আনন্দ, কখনও দুঃখ ভরা এ কথা গুলিই আমাদের মনের খোরাক গানের স্বরলিপির, আর তানপুরায় ঝংকৃত হয়।
তুমি তোমার
কাব্যগীতিকে সুরের লহরীতে গেঁথে গেছো মনের মাধুরী মিশায়ে রচণা করে গেছো গান আর গান।
জনমে জনমে যেনো তোমার গানের মাঝেই দেখা পাই তোমায়।
“অপরূপ তুমি” ক্ষণিকের তরে স্বপ্ন হয়ে এসেছিলে দেবত্ব সৌন্দর্যের জলছবি হয়ে।
পান্ডিত্বে, ব্যাক্তিত্বে, দর্শনে, তুমি ছিলে সাগরসম।
সমূদ্রের ঢেউয়ের মতো রাশি রাশি তোমার কাব্যমালা।
অসীমাকাশের নক্ষত্রের ন্যায় অগণিত।
সবুজ বনানীর ছায়ায় বসে দূর দিগন্তে স্বপ্নময় শান্তিনিকেতনে——-
আজো তোমার পদধূলি কুড়িয়ে পাই।
পুরানো প্রথায় শিক্ষা নিকেতনের স্বাদ শিক্ষার্থীরা
আজো আস্বাদন করে চলেছে অদ্যাবধি।
প্রকৃতির ছায়াঘেরা নীল আকাশের নীচে যান্ত্রিক বিদ্যুতের কোন প্রয়োজন নেই। কবি গুরু তুৃমি আমাদের শিক্ষা গুরু, শিক্ষার আলোকবর্তিকা।
যুগে যুগে তুমি জন্ম গ্রহন করো আমাদের বসুধায়।।