আর্ত মানবতার সেবায় ভাটি বাংলার গণমানুষের নেতা আহমদ আলী মুকিব
আলম হোসেন
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মতো হবিগঞ্জের অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। বন্ধ হয়ে যায় মানুষের দৈনন্দিন আয়, উপার্জন। এরকম এক বেহাল পরিস্থিতির শিকার হয়ে যখন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বেড়ে যায়। ঠিক তখনই নাড়ির ঠানে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসী রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ি আহমদ আলী মুকিব। তিনি হবিগঞ্জ-২ বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ ভাটি বাংলার গণমানুষের নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যেপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি শুধুর প্রবাসে বসবাস করলেও করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত জনগনকে ভুলে যাননি। নির্বাচনী এলাকার মাটি ও মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তার নির্বাচনী এলাকা বানিয়াচং আজমেরীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের অসহায় দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। আহমদ আলী মুকিব এর পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী বিভিন্ন গ্রামে পৌছানোর কাজে সহযোগি এবং মনিটরিং করেছেন বিএনপি ছাত্রদল যুবদলের ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আহমদ আলী মুকিবের এ মহৎ উদ্যোগ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। তিনির উপহার সামগ্রী পেয়ে মানুষ খুবই খুশি হয়েছেন। স্থানীয় জনসাধারণের সাথে মোবাইলে আলাপ করে এমনটা জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত সংকটময় পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২১০০ অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বুধবার (২০মে ২০২০) বানিয়াচং উপজেলায় এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৮ মে ২০২০) দুপুরে আজমেরীগঞ্জ শিবপাশা আহমদ আলী মুকিবের নিজ গ্রাম থেকে শুরু করে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে হতদরিদ্র, খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষের মাঝে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছে ত্রান পৌছে দেওয়া হয় ।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন জনসেবামুলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ক্লিন ইমেজের রাজনীতির মাধ্যমে আহমেদ আলী মুকিব সুনাম অর্জন করেছেন। একজন সদালাপী, পরোপকারি এই মানুষের কিছু পরিচিতি এবং সামাজিক, রাজনৈতিক কার্যক্রম এখানে তুলে ধরছি।
জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব ২৫ মার্চ ১৯৬৪ সালের হবিগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ঝড় তোলা বিএনপির এই তরুণ নেতা মুকিবের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুস শহীদ ও মাতা আমেনা বেগম। চার ভাই, দুই বোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ মুকিব।
১৯৯৪ সালের আগস্ট বানিয়াচং ঐতিহ্যবাহী পরিবারের মেয়ে আকিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিবাহিত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক কন্যার গর্বিত পিতা। বড় ছেলে তারিক সৌদি আরবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করে মাস্টার্স অধ্যায়নরত আছেন । কন্যা রিম সৌদি আরবের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ‘এ’ লেভেলে পড়াশোনা করছেন।
আহমদ আলী মুকিবের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তরুণ বয়সে আশির দশকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে তিনি সৌদি আরব পাড়ি জমান। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন সৌদি আরব শাখা বিএনপির রাজনীতিতে।
দেশ প্রেমিক এই রাজনীতিবিদ ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের জন্য তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২৪ ঘণ্টাই ডুবে থাকেন দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে। এরপর ১৯৯৮ সালে সৌদি আরব শাখা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যান দলের জন্য এবং সাংগঠনিক কাজে চষে বেড়াচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যে থেকে ইউরোপে।
এছাড়া, ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাঠে থেকে তাকে প্রবাসে আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
দেশব্যাপি ২০০৪ সালের প্রলয়ংকরি বন্যার সময়েও তিনি ক্ষতি গ্রস্থদের পাশে সহযোগির হাত প্রসারিত করেছিলেন।
তিনি ২০০৯ সালে পদোন্নতি পেয়ে সৌদি আরব শাখা বিএনপির সভাপতি হন। সাম্প্রতিক সময়ে আহমদ আলী মুকিবকে দীর্ঘদিনের ত্যাগের মূল্যায়ণ হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী আহমদ আলী মুকিব বিগত ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি এক তরফা নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রবাসে জনমত গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। গুম-খুন, মামলা-হামলাসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলেন ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে। সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছেন অদ্যাবধি।
বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন। বিএনপিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইডিসির সদস্য পদ লাভে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এছাড়া সরকারের প্রতিটি অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে প্রবাসে জোরালো কর্মসূচি পালনে ভূমিকা রাখেন তিনি। আমি তিনির সুস্বাস্হ, দীর্ঘ জীবন এবং আরোও সফলতা কামনা করছি।
লেখক : বেলজিয়াম প্রবাসী