কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :
কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে। বিক্ষোভকালে নিউইয়র্কে আটক হয়েছেন, বেশ কয়েকজন। প্রতিবাদের মুখে মিনিয়াপোলিস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় পুলিশের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী থেকে ঘাড়ে পা দিয়ে আটকের বিষয়টি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিলসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হেফাজতে প্রাণ হারানো কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড এখন বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক। বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে প্রতিদিনই রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ, সমাবেশ।
নিউইয়র্কে কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভকালে আটক হন অনেকে। ডেট্রয়েটে বিক্ষোভকারীদের সাথে পিস মার্চে যোগ দেন পুলিশ সদস্যরাও। আর ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলে অস্কারের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন সেলিব্রেটিরা।
ফ্লয়েডের এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায়না। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই বর্ণবাদের ঘটনা ঘটছে।
বর্ণবাদ ও পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। সমঅধিকার নিশ্চিতেই এ আন্দোলন।
বিক্ষোভকালে বৃদ্ধকে ধাক্কা দিয়ে আহত করার ঘটনায় দুই পুলিশকে বরখাস্তের পর নিউইয়র্কের বাফেলো ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম থেকে পদত্যাগ করেছেন ৫৭ পুলিশ সদস্য। আর পুলিশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী থেকে ঘাড়ে পা দিয়ে আটক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর।
ফ্লয়েড হত্যা আর বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কানাডায় আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়াতে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারো মানুষ। মেক্সিকোতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। পুলিশের বর্ণবাদ আচরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ব্রাজিলে। ফ্লয়েড হত্যার বিচার ও বর্নবাদ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্সসহ ইউরোপের দেশে দেশে।