ফ্লয়েডের মৃত্যু: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :
বর্ণবাদ এবং পুলিশের নৃশংসতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শান্তিপূর্ণ র্যালি করেছে হাজার হাজার মানুষ। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ১২তম দিনে সেখানে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ ওয়াশিংটন ডিসিতে মিছিল করে। হোয়াইট হাউজের পথগুলো বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। নিউইয়র্ক, শিকাগো ও সান ফ্রান্সিসকোতেও একইভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে অনেক অনেক মানুষ।
নর্থ ক্যারোলিনার যেখানে জর্জ ফ্লয়েডের জন্ম হয়েছিলো, সেখানকার বাসিন্দারাও সম্মান প্রদর্শন করে তার প্রতি।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়। প্রতিবাদের ঝড় ছড়িয়ে অন্যান্য দেশেও। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট স্কয়ার কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে প্রতিবাদী জনগণে। যদিও সেখানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে জনসমাগম না করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তাছাড়া লন্ডন, ম্যানচেস্টার, কার্ডিফ, লাইসেস্টার ও শেফিল্ডেও অনেকে প্রতিবাদ জানায়।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনেও হয়েছে প্রতিবাদ। ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনেও অনেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনেকে প্ল্যাকার্ডে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লিখে রাস্তায় নেমে আসে। সেখানকার মেয়র মুরিয়েল বাউজার জনগণকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই ভিড় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিচ্ছে। ট্রাম্পের চার্চ যাওয়ার পথ মুক্ত করতে ভিড় সরাতে টিয়ার গ্যাসও ছড়ানো হয়।’
বাউজার বলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে এমন করতে পারলে তিনি সব রাজ্যেই এমন করতে পারেন। কেউ তার কাছে নিরাপদ নয়। আমাদের সৈনিকদের সঙ্গে এমন করতে পারেন না।
গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় মারা যান ৪৬ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড।
৪৪ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনকে তার মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, বেশ কয়েক মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে থাকেন চাওভিন। ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন, তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না।