প্রচ্ছদ

এবিএম সালেহ উদ্দীন-এর কবিতা

  |  ০৯:০৮, জুন ১২, ২০২০
www.adarshabarta.com

সে

এবিএম সালেহ উদ্দীন

১.

যখন আসে
আলোর দরকার হয়না
আঁধারে খুঁজে পাই তাকে
দৃষ্টির লেজারে দেখি
গোলাপি ওড়না
এলোচুলের আড়ালে ভাসে
সেই মুখ ।
কখনো
হেমন্তবিকেল ছুঁয়ে যায় মন
শিউলিভরা
শরতরাতে,বর্ষার
বারিধারায়
একাকী নি:সঙ্গতায় আসে
পত্রাবলী ।
পূর্বপুরুষ আটকাতে পারে
না
ধূর্তশাসকও পারে না
থামাতে
হৃদয়ের ভালোবাসা ।
ডাকপিয়ন ঠিকই দুয়ারে
কড়া নাড়ে ।
মাঝে মাঝে বুক কাঁপে(!)
অন্ধকারবাতাসে কাঁপে
স্মৃতির মৌনচৌখ ।
সহসা কানে বাজে
অমৃতসর
বাজে বর্ষার গান ।
চক্ষুদ্বয়ের স্থিরছায়া ঢেউখেলে
…..পার্ক-লেকের টলটলে জলে ।
কখনো
গ্রাম্যমোড়ল,পাতি-মাস্তানের
ধমকানিতে
থেমে যায় সুজুকি । আবার
কখনো সাহসেরা
গা ঝারা দিয়ে ওঠে হিন্দোলা রাগের মতো—
কৃষকের খড়-বিচালি-ঘাস’
খাওয়ার দৃশ্য দেখে
আমিও চেষ্টা করি ঘুরে
দাঁড়ানোর । তেমনই
দুতিময় হয়ে ওঠে সুখের
পর্দ্দা ।
অন্ধকারের নিঝুমদ্বীপ
হতে
সমুদ্রের খ্যাপা ঢেউয়ের
আতঙ্ককে দূরে ঠেলে
মৃত্যুর পাঁজরে লাথি মেরে
যোগ দিই
সময়ের প্রতিভাসে ।
এখনও ঢেউ খেলে তার
ছবি
অন্ধকারে বয়ে যায়
কলকল জলধারা ।
স্মৃতির পাতায়
চোখের তারায় ভাসে
সেইমুখ..

২.

তাকে
অন্বেষণ করতে পারলে
নিবিড় লাবণ্যে পেয়ে যাবে
আকাশের তারা
শব্দের নিমগ্ন ধ্বনিতে
কেটে যাবে শঙ্কা
আঁধারে নেমে আসবে
আলোর ঝর্নাধারা
ভালোবাসার অনন্ত
সমাহারে
সজীব হয়ে উঠবে আনন্দ
ভূবন…