মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে এনডিপির শোক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ জুন) বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় এই গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। গত ৫ জুন থেকে তিনি কোমায় রয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জুন) মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভির শাকিল জয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তার বাবা আগের মতোই আছেন। অবস্থার কোনো উন্নতি বা পরির্বতন হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাতে মোহাম্মদ নাসিমের মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যঅধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছিলেন, নাসিমের শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। অবস্থার উন্নতির জন্য সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চেষ্টা করা হচ্ছে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে তার করোনা ভাইরাস টেস্ট দেওয়া হয় এবং ওইদিন রাতে তার করোনা পজিটিভ আসে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলেও পরদিন থেকেই মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা উন্নতি হয়। কিন্তু গত ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে জরুরি ভাবে ওই দিনই তার অপারেশন করা হয়। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।
অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। সোমবার (৭ জুন) ওই সময় পার হওয়ার পরও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই তিনি কোমায় রয়েছেন। তবে ৯ জুন পুনরায় তার করোনা পরীক্ষায় করলে নেগেটিভ আসে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মূর্তজা, মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন।
(বাপসনিউজ)