প্রচ্ছদ

যে দুই শর্তে সকল কারখানা খোলার অনুমতি দিল সরকার

  |  ১৩:২৪, এপ্রিল ২৩, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শ বার্তা ডেস্ক :

শর্ত সাপেক্ষে সকল কলকারখানা খোলার অনুমতি দিল সরকার। শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে ঔষধ, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কারাখানা খোলা রাখা যাবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের ২ (ঙ) নং শর্তে বলা হয়েছে, ‘ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।’ তবে কবে থেকে কলকারখানা খোলা রাখা যাবে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে এক জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘হ্যাঁ, সরকার শর্ত সাপেক্ষে সকল কলকারখানা খোলার সুযোগ দিয়েছে।’ এ বিষয়ে পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,’ আপনি যা বুঝেছেন, আমিও তাই বুঝতে পেরেছি।’ অর্থ্যাৎ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে সকল কলকারখানা খোলা রাখতে পারবে। এছাড়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি থাকাকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। এ সময় সীমিত আকারে ১৮টি মন্ত্রণালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে পৃথক দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উভয় প্রজ্ঞাপনে একটিতে ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে নতুন কিছু শর্ত যোগ করা হয়েছে। অন্যটিতে সীমিত আকারে যে ১৮ টি মন্ত্রণালয় খোলা থাকবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জরুরী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য অফিস ও পরিবহণও ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম দফা জারি করা প্রজ্ঞাপনে ছুটির বিষয়ে বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ২৬ এপ্রিল হতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ৩ মে হতে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে। এই ছুটির সঙ্গে ১ ও ২ মে সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত থাকবে। তবে ছুটিকালীন সময়ে জরুরি পরিষেবা, যেমন-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন; সড়ক ও নৌ পথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল করবে। এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সবের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

একইসঙ্গে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ঔষধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যমে (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) নিয়োজিত কর্মীগণ এ ছুটির আওআবহির্ভুত থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প- কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে। আর ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে সীমিত আকারে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ