ব্রিটেনে স্মৃতির আঙ্গিনায় জাগ্রত একটি দিন
:: মিজানুর রহমান মিজান ::
স্রষ্টার অপরূপ, বৈচিত্রময় সৃষ্টি এ অবিনশ্বর পৃথিবী থরে বিথরে সাজিয়েছেন প্রয়োজনানুসারে। শ্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষ। সকল সৃষ্টি এক একটি নিয়ামত বলে পরিগণিত। আমাদেরকে অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করতে হয় এক একটি নিয়ামত প্রাপ্তি, ভোগ-উপভোগ গণ্যে। আমরা তা কি করে থাকি? মহান আল্লাহর দরবারে কায়মন বাক্যে আরাধনা জানাই আমাদেরকে তওফিক প্রদানের শুকরিয়া জ্ঞাপনের। “অজানকে জানা, অচেনাকে চেনা” এর প্রতি মানুষের অতি উৎসাহ, আগ্রহ, অনুপ্রেরণা সঙ্গত কারণে স্বভাবজাত প্রক্রিয়া বলে খ্যাত। আমি এ অনুধায় সিক্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভিজিটর ভিসায় গমন করি সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে টেমস নদীর তীরে অবস্থানরত লন্ডন শহরে বিগত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে। যা হোক এখানে ভ্রমণের পূর্ণবৃত্তান্ত বিবৃত করার ইচ্ছা নয়। যেহেতু পূর্ণাঙ্গ একটি বই লেখার অভিলাষ এবং সেভাবে আমি তত্ব ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। আজকের এই নিবন্ধে আমার জীবন খাতার একটি পাতার উদ্ধৃতি তুলে ধরার সচেষ্টতায় অগ্রসরমান।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি অনুজ প্রতিম মো. কয়েস আলী সৌজন্য সাক্ষাত এবং বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট ম্যাগাজিনের কপি নিতে এবং এক সময়ের অনুষঙ্গীর কুশলবার্তা অবহিত হবার দুরন্ত প্রত্যাশায় করেন আগমন। প্রায় বছর পূর্বে তিনি লন্ডন আগমন করেন এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত “সাপ্তাহিক বাংলাদেশ“ নামক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পদে অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন আলাপ আলোচনান্তে নিমন্ত্রণ করে গেলেন পত্রিকা অফিসে যাবার। নূতন পরিবেশ,শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে দুদিন পরই হাজির হলাম পত্রিকা অফিসে। প্রথমেই সাক্ষাত ও পরিচয় ঘটে অভিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ সম্পাদক শেখ মোজাম্মেল হোসেন কামাল সাহেবের সাথে। তাদের অতিথি বৎসলতায় যে কেহ বিমুগ্ধ হবেন অবশ্যই। সেদিন জনাব কয়েস আলীর মাধ্যমে পরিচিত হলাম একে একে বিশ্বনাথের দুই গর্বিত ও কৃতী সন্তান জনাব মির্জা আসহাব বেগ ও ড. মুজিবুর রহমান মুজিবের সাথে। যারা অনেকদিন পূর্ব থেকে সেদেশে বসবাস করছেন। এ যাত্রায় উভয়ের পক্ষ থেকে আমাকে আমন্ত্রন জানানো হলো ২৭শে ফেব্রুয়ারী বার্মিংহামস্থ বিয়া লাউঞ্জে গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকেস্থ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ গ্রহণের। একদিকে সম্মেলনে যোগ দেবার একান্ত প্রত্যাশা, অপরদিকে লন্ডন শহর থেকে অন্য শহরে যেতে পারিপার্শ্বিক ও চতুঃপার্শ্বের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী অবলোকনের মোক্ষম সুযোগ, হাতিয়ার গন্যে অংশ গ্রহনের তড়িৎ সিদ্ধান্তে উপনীত হই।
২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টায় যথারীতি কয়েছ ভাই এর দিক নির্দেশনা মাফিক হোয়াইট চ্যাপেলস্থ বেঙ্গল এয়ার ট্রাভেল্স অফিসের সম্মুখ মাঠে উপস্থিত হই যেখানে থেকে যাত্রারম্ভ হবার কথা। উপস্থিত হয়েই পেয়ে যাই কয়েস ভাইকে এবং প্রথম সাক্ষাৎ লাভ ঘটে কয়েছ ভাইয়ের সাথে থাকা বিশ্বনাথের আরেক গর্বিত সন্তান জনাব আবুল হাসনাত এর সাথে। এ সময় আসছিলেন একে একে অভিযাত্রার যাত্রীবৃন্দ। তাদের সাথে পরিচিত হতে পেরে এবং সহযাত্রী হবার সুবাদে মনে অবশ্যই লেগেছিল আনন্দের বন্যা। এটুকু বলেই ক্লান্ত হলে কার্পন্যতার বহিঃপ্রকাশ হবে ভেবে এবং মন কিছুতেই সায় দিচ্ছে না হেতু সর্বাগ্রে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাতে চাই গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ সম্মানিত সকল সদস্য/সদস্যাদের প্রতি। বিশেষ করে মহান আল্লাহর শোকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি র’ল সশ্রদ্ধ সালাম ও অভিবাদন প্রত্যেকের তরে এদিনের যাত্রায় অংশ গ্রহনের সুযোগ করে দিলেন যারা। তাছাড়া যে সকল পত্রিকা আমার আগমন সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে বেঁধেছে কৃতজ্ঞতার নাগপাশে। দশটায় গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলে ও গাড়ী ছাড়া হল দশটা চল্লিশ মিনিটে। প্রারম্ভিক যাত্রায় মাইক্রোফোন হাতে তুলে নিয়ে অত্যন্ত সুস্পষ্ট উচ্চারণে সাবলীল ভঙ্গিমায় কখন ও রসাত্মক, কখন ও ব্যঙ্গাত্মক, উপহাস ইত্যাদিতে ভরপুর প্রাঞ্জল ও প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় সুললিত মাধুর্য্যে ড. রোয়াব উদ্দিন সাহেব পরিচয় পূর্ব সমাপনান্তে প্রত্যেকের তরে আহবান জানাচ্ছিলেন কিছু বলার। উপস্থাপকের সরস উপস্থাপনার গুনে কেহ বিরত থাকার অনুধায় সিক্ত হলে ও সম্ভব হচ্ছিল না।“গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন” শব্দটি যথোপযুক্ত প্রয়োগ ছিল প্রযোজ্য।
গাড়ীতে যাদের সরব উপস্থিতি লক্ষনীয় ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এম এ মন্নান, কে এম আবু তাহের চৌধুরী, শিহাবুজ্জামান কামাল, মির্জা আসহাব বেগ, ড. মুজিবুর রহমান, আতাউর রহমান আতা সহ অনেকেই। স্বল্প পরিসরে সবার নাম এখানে উদৃত হলো না বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যেহেতু দীর্ঘায়িত এ মুহূর্তে করার ইচ্ছা আমার নেই স্থান সংকুলানের ভয়ে। তবে অত্যন্ত আশা বাদী ও প্রত্যয় রয়েছে “এখানে নয়,অন্য কোন খানে” বৃহৎ আঙ্গিকে পরিপূর্ন রূপদানের। কিছুক্ষন পর পর সবার মধ্যে বিতরণ করছিলেন ড. মুজিবুর রহমান মুজিব বিস্কুট, সুইট, চুইংগ্রাম, পানি ইত্যাদি ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিবারণের সহায়তাকারী, দেহ মনের সতেজতা আনয়নের মাধ্যমে সময়টুকু আনন্দ উল্লাসে ব্যয়িত হবার নিমিত্তে। আমার ভাবতে কষ্ট হচ্ছিল সম্পূর্ণ নূতন পরিবেশে, পরিচয়ের ক্ষনিক ব্যবধানে, ভিন্ন আঙ্গিকে, নবতর সঙ্গী সাথীদের মধ্যে সময় অতিক্রান্তের। মনে হচ্ছিল বার বার স্বদেশেই বন্ধু বান্ধবের সান্নিধ্যে থেকে সময়টুকু ব্যয়ের। ভুলে গিয়েছিলাম বিদেশ বিভুইয়ে অবস্থানের কথা।
উপস্থাপকের অনুরোধে সর্বাধিক সংখ্যাক স্ব-রচিত কবিতা, গান ইত্যাদি পড়ে শোনান কবি শিহাবুজ্জামান কামাল সাহেব। একটানা গাড়িটি চলে বার্মিংহামের উদ্দেশ্যে। আমরা গন্তব্যে পৌছি বেলা ১:৩০ টায়। গাড়ি থেকে অত্যন্ত ধীরগতিতে একে একে সবাই নেমে পড়েন। এখানে নেই বাংলাদেশের মত হুড়াহুড়ি, কার আগে কে নামবেন সেই প্রতিযোগিতা। বেলা ২ঘটিকার সময় পরিবেশিত হয় খাবার। খাওয়া দাওয়া শেষে স্বল্প অপেক্ষা ছিল প্রধান অতিথির আগমনের বিলম্বতায়। তবে এ বিলম্বতা মোটেই বিরক্তির পর্যায়ে ছিল না। ছিল সহনীয় পর্যায়ের অন্তর্ভূক্ত। লোকে লোকারণ্য সমাবেশে মির্জা আছহাব বেগ ও ড. জাকি রিজওয়ানের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্টিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় বিদায়ী চেয়ার পার্সন মোহাম্মদ মনছব আলী এবং প্রধান অতিথির আসন গ্রহন করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে যুক্ত রাজ্যস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড.সাইদুর রহমান খান, বো বেথনাল গ্রিনের লেবার দলীয় এমপি ও শ্যাডো ওভারসিজ ডেভেলাপমেন্ট মিনিস্টার রুশনারা আলী, শ্যাডো ইমিগ্রেশন মিনিষ্টার ও বার্মিংহাম থেকে নির্বাচিত লেবার দলীয় শাবানা মাহমুদ এমপি, টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের চেয়ার কাউন্সিলর মতিনুজ্জামান,চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদুস সামাদ চৌধুরী , ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহগীর বখত ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের মধ্য সময় আমি, কয়েস আলী ও আবুল হাসনাত বেরিয়ে যাই পার্শ্ববতী স্মলহিথ পার্ক দেখতে যেখানে ১৯৭১ সালে প্রবাসী বাংলাদেশী কর্তৃক বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয় স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে। সেখানে কয়েকটি ফটো করি উত্তোলন আমাদের যাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে। কিছু সময় অতিবাহিতে আবুল হাসনাত সাহেবের মুঠোফোনে আমাদের অবস্থান অবহিত হয়েই তিনির এক আত্মীয় আসেন গাড়ি নিয়ে অনতি দূরে তাদের বাসায় আমাদেরকে নিয়ে যেতে। আমরা চলে যাই সেখানে। চা এর সহিত অনেকগুলো উপাদেয় খাদ্য পরিবেশিত হলেও স্বল্প মাত্রায় গ্রহন শেষে আবার চলে আসি সমাবেশ স্থলে। উপস্থিত হবার কিছু পর পরই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কর্তৃক সারা দেশ থেকে আগত গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের রিজিওনাল নেতৃবৃন্দ, ডেলিগেট, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও অতিথিদের অংশ গ্রহনে আগামী দিনের কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে অন্য কোন প্রতিদ্বন্ধী প্যানেল না থাকায় ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান আতা চেয়ার পারর্সন, মির্জা আছহাব বেগ জেনারেল সেক্রেটারী ও সিরাজ খানকে ট্রেজারার করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয় এবং তা স্বতঃস্ফূর্ত করতালির মাধ্যমে গৃহীত ও অভিনন্দিত হয়।
লন্ডন শহর থেকে বার্মিংহাম যেতে রাস্তার উভয় পার্শ্বে অতি মনোরম বিভিন্ন স্থাপনা সহ স্থানে স্থানে পার্ক, চাষাবাদ যোগ্য ভুমি, বন জঙ্গল আকৃতির এলাকা, ভেড়া ও ঘোড়ার বিচরণ আমাকে সত্যিই বিমুগ্ধ করে। তাছাড়া বিভিন্ন আকৃতির পার্ক ও খেলার মাঠে যুব, শিশু স¤প্রদায়ের খেলাধুলার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুবিধার উল্লেখযোগ্য নির্দশন। আমাদের দেশে অনেক অনেক উপজেলা পর্যায়ে একটি পার্ক বা খেলার মাঠ নেই। যার অভাবে আমাদের শিশু কিশোররা খেলাধুলার ক্ষেত্রে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না বা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের দরিদ্রতা ,অধিক জন সংখ্যা, ভুমির স্বল্পতা ইত্যাদি দায়ী। এ দেশের মতো পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেলে আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো উপযুক্ত খেলোয়াড় তৈরির মাধ্যমে গৌরবজনক অবস্থান তৈরিতে সহায়ক হবার আশাবাদী অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি হত আশাব্যঞ্জক। তাছাড়া অল্প ক’টি বিল্ডিং এর পর পরই পার্ক তৈরি করে রাখা হয়েছে বিনোদনের নিমিত্ত্বে। অথচ বাংলাদেশে ইউনিয়ন, উপজেলা পর্যায়ে ও একটি পার্ক নেই। বিস্তর ব্যবধান। দিন রাত ফারাক যা অধিক কল্পনাতীত। আমাদের দেশে ভুমি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র খন্ডে বিভক্ত। দিনের পর দিন তা আরো বহুবিধ খন্ডের সম্ভাব্যতা বিদ্যমান। অথচ সে দেশের ভুমি যেটুকু দৃষ্টি গোচরীভূত হয়েছে তা বৃহদাকার এবং ট্রাক্টর দ্বারা চাষাবাদ করে নাকি (পরিচিত জনকে জিজ্ঞাসায় জ্ঞাত) গম জাতীয় ফসল উৎপাদিত হয়। অর্থ্যাৎ প্রায় ক্ষেত্রেই বৈপরিত্য পরিলক্ষিত। যাক এ প্রসঙ্গে এখানেই সমাপ্তি টেনে মূল আলোচনার ক্ষেত্রে আলোকপাত করতে চাই।
গাড়িতে যাবার বেলা এবং সমাবেশে বিভিন্ন বক্তার আলোচনা থেকে গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা অবহিত হলাম তা হচ্ছে সে দেশে অবস্থানরত কমিউনিটির বিভিন্ন দাবী দাওয়া, স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে সোচ্চার ও সচেতনতার পাশাপাশী স্বদেশের তথা সিলেট বিভাগের আর্থ সামাজিক সহ দারিদ্র্য জনগোষ্টির মৌলিক অধিকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্রতা বিমোচনে সহায়তার হাত সুপ্রসারিত ও অধিক ব্যায়িত অর্থ্যাৎ সকল কার্যক্রম জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যাপৃত।“মানুষ মানুষের জন্য”বাক্যাটির বহুল প্রচলন ও ব্যবহার অধিক মাত্রায় সাযুজ্য। যা থেকে মানুষের নৈতিকতাবোধ,উদার মন মানসিকতার পরিচয় পরিস্ফুটিতে বহুলাংশে উৎসর্গীত জীবন সুন্দর সুষমায় ভরে মানবতা পায় অনাবিল সুধা মাধুরী। জগত হয় মহিমাম্বিত, আলোর বিচ্ছুরণে বিচ্ছুরিত। আমি তাদের কার্যক্রম দেখে হয়েছি বিমোহিত, মুগ্ধ বিহ্বল। তাদের যাত্রা হউক আরো গতিময় এ কামনা মহান আল্লাহর দরবারে নিরন্তর। সমাবেশের সমাপ্তি হয় রাত নয়টায়। সাথে সাথে নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠে আমাদের ফিরতি যাত্রা শুরু। রাতের রাস্তা ছিল অনেকটা যানযট মুক্ত এবং আলোর ঝলকানিতে উদ্ভাসিত। রাত বারোটায় এসে আমাদের গাড়ী লন্ডন শহরের পূর্বোক্ত স্থানে এসে ঐ দিনের ভ্রমনের যবনিকাপাত ঘটে। আমি ঐ স্থান থেকে একা একা একটু ভয় ও সংশয় নিয়ে বাসাভিমুখে যাত্রা করি।
অত্যন্ত সুন্দর, আনন্দঘন উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত হয়েছিল যা হৃদয় রাজ্যে চির জাগরুক। যাত্রার সমাপনের মধ্যে দিয়ে একটি দিন ঝরে গেল জীবন খাতার পাতা থেকে অজানিত বিস্মৃতির অতল গহব্বরে। দয়াময় আল্লাহ তায়ালা সকলের প্রচেষ্টাকে কবুল করে প্রশান্তির ছোঁয়ায় যেন দেন ভরে এ প্রত্যয় ও প্রত্যাশান্তে এবং সঙ্গে থাকছে সবার সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা।
লেখক: মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সভাপতি বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব, সিলেট।