দেলওয়ার হোসেন সেলিম এর ফেইসবুক টাইম লাইন থেকে (২৫ এপ্রিল ২০২০)
করোনাভাইরাস দেশে দেশে … (৫)
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসে মানব জাতি এখন এক ক্রান্তিকাল পার করছেন। বিভিন্ন দেশে দফায় দফায় লক ডাউন বাড়ানো হচ্ছে। মুক্ত এবং সমাজবদ্ধ মানুষ সবাই গৃহবন্দী! পৃথিবী থমকে গেছে! এহেন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। সরকারী নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে হবে। যার যার ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী প্রার্থনা করুন।
আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল ২০২০) মালদ্বীপে বসবাসরত সিলেটের গাছবাড়ী এলাকার ব্রাম্মনগ্রামের অধিবাসী ইয়াহিয়া এর সাথে ভিডিও কলে আলাপ করেছি। ইয়াহিয়া বলেছে, ” সুস্থ্য আছি, ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ। দেশে যাওয়ার কথা ছিলো। এয়ার টিকিট কনফার্ম ছিলো। কিন্তু লকডাউনের কারণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জানিনা কবে মাতৃভুমিতে যেতে পারবো? ”
মিস্টার ইয়াহিয়া জানিয়েছে, মালদ্বীপে বাংলাদেশী প্রবাসীরা সুস্থ আছেন এবং দেশের জন্য, আত্নীয় স্বজনদের জন্য দোয়া করছেন। তারা ঘরে থেকে নিয়মিত টেলিফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন।
ভিডিও কনফারেন্স কলে
আলাপের এক পর্যায়ে ইয়াহিয়া গাছবাড়ী বাজারে আমার ফ্রেন্ডশীপ এন্টারপ্রাইজ অফিসে বসে রকমারি আলাপের স্মৃতি চারণ করলো। তার নামে প্রথমে ইমেইল আইডি করে ফেইসবুক আইডি খোলে দেয়া এবং ব্যাবহার করা শেখানোর কথা সে এখনো ভুলে যায়নি। কৃতজ্ঞতাও পুনরায় প্রকাশ করলো। রোজ পত্রিকায় কি কি নিউজ করতাম সেগুলি দেখতো। পত্রিকায় আমার নিউজ লেখা ইত্যাদিতে চোখ রাখতো নিয়মিত। এক কথায় ইয়াহিয়া ছিলো আমার গুণমুগ্ধ শুভাকাঙ্ক্ষীদের একজন। আমাকে শ্রদ্ধা করতো। তার ব্যাবহার ছিলো নম্র, ভদ্র। আমিও তাকে স্নেহভরে দেখতাম। অবসরে ফ্রেন্ডশীপ এন্টারপ্রাইজে বসে কম্পিউটারে গান শোনা, মুখরোচক অনেক খাবার চকলেট, সিদ্ধ চানা দিয়ে খিসুড়ি খাওয়া, লাল চা পান করতাম একসাথে। সে তখন আমাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি তার মামার দোকান নাদিয়া ট্রেডার্স পরিচালনা করতো। এইসব ২০১১ সালের আগের কথা!
সেই ২০১১ সালের পর থেকে ইয়াহিয়ার সাথে সরাসরি দেখা হচ্ছে না। প্রবাস জীবনে পাড়ি দেয়ার জন্য। ভালো থাকিস ভাগ্না। মনে রাখিস আমাকে।
বিপদ দূর হোক। এসেছে রহমত ও নাজাতের মাস। রামাদান মোবারক।
হে করুণাময়, করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্বের মানব জাতিকে বাঁচান। আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমিন।
* ফেইসবুকে আপলোড়ের তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২০, সময় ১৭:৪৭ মিনিট।