যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৪৪ তম বার্ষিকীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৪৪তম বাষির্কী উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ট বন্ধু ও আস্থাভাজন অংশীদার। তিনি বলেন, আমাদের দুটি দেশ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের নীতির অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এই অভিন্ন মনোভাবের ভিত্তিতে আমরা প্রতিটি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে আমাদের দুটি দেশ এবং জনগণের মধ্যকার অংশীদারিত্ব আরও জোরদার ও বিকশিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক এক বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের নীতির অভিন্ন মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দুটি দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খা নিয়ে পরস্পরের বড় অংশীদার।
শেখ হাসিনা বলেন, দুটি দেশের সামাজিক নীতি ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমরা আমাদের বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব জোরদার করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহায়তার বাইরেও বহুমুখী ও বিকশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, দুটি দেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরস্পরকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি ও মূল্য দেয়।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় দৃঢ় ও অব্যাহত সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর, সম্প্রসারিত ও জোরদার হবে।
প্রসঙ্গত প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ জন্মদিনটি উদযাপন করে মার্কিনিরা। আয়োজন করা হয় বিশাল জনসমাবেশ, কুচকাওয়াজ এবং কনসার্ট। চোখ ধাঁধানো আতশবাজিও থাকে অন্যতম আকর্ষণ। স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ম্লান হয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপন।
স্বাধীনতার জন্য জীবন দেন ২৫ হাজার আমেরিকান এবং ২৭ হাজার ব্রিটিশ ও জার্মান সেনা। ২৪৪ বছর আগে ১৭৭৬ সালের ২ জুলাই ইংল্যান্ডের শাসন থেকে পৃথক হওয়ার জন্য ভোট দেন আমেরিকার দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস। এর দুই দিন পর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু পৃথক হতে ব্রিটেনের সঙ্গে চূড়ান্ত স্বাক্ষর ২ আগস্ট হলেও, প্রতি বছর ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে যুক্তরাষ্ট্র।