প্রচ্ছদ

ভারত পাকিস্তান শিথিল করছে লকডাউন

  |  ১০:৫০, এপ্রিল ২৬, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শ বার্তা ডেস্ক :

বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ কমে আসায় লকডাউন তুলতে শুরু করেছে ইউরোপ। তবে ভারত ও পাকিস্তানে সংক্রমণ না কমলেও লকডাউন বহাল রেখেই কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
পাকিস্তানে ৯ মে পর্যন্ত লকডাউন দেয়া থাকলেও দেশটির সরকার গতকাল থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা মেনে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে জোর তৎপরতা শুরুর কথাও জানিয়েছে দেশটি।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আসাদ উমর বলেছেন, ‘আক্রান্ত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পৃথক করার মাধ্যমে আমরা যেমন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, তেমনি অর্থনীতিকে সচল করে লোকজনকে কাজে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারবো।’ রমজান মাসে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার উপরই সরকারের পরবর্তী সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলেও জানান করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পাকিস্তানের নেয়া পদক্ষেপসম‚হ দেখভাল করা এ মন্ত্রী। দেশটির কর্তৃপক্ষ রমজান উপলক্ষে সিন্ধু প্রদেশ ছাড়া বাকি সব এলাকার মসজিদগুলোও খুলে দিয়েছে।

সিন্ধুতে কোভিড-১৯ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, চিকিৎসকদের এ সতর্কতার পর সেখানকার মসজিদগুলোর ওপর বিধিনিষেধ বহাল রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির ১১ হাজার ৯৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; মৃত্যু ছাড়িয়েছে আড়াইশ।

এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল থেকে আবাসিক এলাকায় ছোট ছোট দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সংক্রমণের হটস্পট বলে বিবেচিত এলাকাগুলো এ নির্দেশের বাইরে থাকবে। মদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন বেশিরভাগ জিনিসের বিক্রি আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, কেবল আবাসিক এলাকাই নয় শহর ও শহরাঞ্চলের বাইরে বিভিন্ন বাজারের দোকানও খোলার অনুমতি দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে শপিং মল ও সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ থাকবে। যেসব দোকানপাট খোলা যাবে, সেখানে আগের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী থাকতে পারবে না। কর্মীদেরকে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে; মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাও। ই-কমার্স সংস্থাগুলোও অত্যাবশকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে, বলা হয়েছে শুক্রবার রাতে দেয়া নির্দেশনায়।

ভারতে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫০৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৭৫ এ। দেশটিতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন দেয়া আছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনাও চলছে।

সূত্র : রয়টার্স