সচল হচ্ছে বিমানের সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে সচল হচ্ছে বিমানের সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিস্তৃত আলোচনা হয় এবং ফ্লাইট ফের চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা এক বাক্যে স্বীকার করেন যে করোনা ঠেকাতে লন্ডন থেকে সিলেটগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এবং লাগেজ হস্তান্তরে ঢাকায় নিষ্পন্ন হওয়ার যে যুক্তি দেখানো হয়েছে তা অত্যান্ত দুর্বল। বলা হচ্ছে কারও উপসর্গ থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে, সিলেটে তো এই সুবিধা নেই। এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, যে যুক্তিতে লন্ডন-সিলেট ফ্লাইটটি বন্ধের নোটিশ করেছিল তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। কারণ সর্বোচ্চ ৫-১০ শতাংশ যাত্রীর করোনা উপসর্গ থাকতে পারে এবং তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর প্রয়োজন পড়তে পারে। আমরা স্থানীয়ভাবে সেই ফ্যাসিলিটিজ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিলেটের ধোপাদীঘির পাড়ের একটি অত্যাধুনিক হোটেল এবং সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের একটি হোস্টেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সুবিধা সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবুও সিলেটে ফ্লাইট চালু রাখতে হবে, কারণ এটা সিলেটবাসী এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিকদের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের কমিটমেন্ট। বিমান কেনার আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিও সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট চালুর দাবি ছিল প্রবাসীদের। এটা চালু হয়েছে, কেউ বন্ধ করতে পারবে না। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আলোচনা এবং অন্যান্য সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মাত্র দুটি দেশে যেতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে, বাকিদের উপসর্গ না থাকলে সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। আমিরাতসহ ওই দু’টি দেশে নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রদর্শন বাধ্যতামূলক, অন্যত্র তা নেই।
এদিকে করোনার কারণে লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে জানিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে। এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সিলেটে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সুবিধা সৃষ্টি সম্পন্ন হলে বিমান লন্ডন থেকে সিলেটগামী যাত্রীগণকে সরাসরি সিলেটে পৌঁছাবে। বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত ৩০শে জুলাই’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট বন্ধের প্রেক্ষিতে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে এ জারির কথা বলা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় যে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে তার কোনো উল্লেখ ছিল না। বরং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাজ্যের ডিএফটির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে বিমান।